যৌবনকালে অনেকেরই মুখে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এক প্রকার স্ফোটক বাহির হয় যাকে আমরা বয়স পোড়া বা বায়োব্রন এবং ইরেজিতে acne বলে।
★এবার আমরা জানবো ব্রণ কি?
আমাদের ত্বক থেকে সেবাসিয়াম গ্রন্থি সেবাম নামে এক প্রকার তৈলাক্ত পদার্থ নিঃসরন করে যা ত্বককে মসৃন রাখে। কোন কারনে সেবাসিয়াম গ্রন্থির নালির মুখ বন্ধ হয়ে গেলে সেবাম নিঃসরনের বাধার সৃষ্টি হয়। এবং তা ভিতরে জমে ফুলে উঠে যা (acne) ব্রণ নামে পরিচিত। এতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমন হয়। এভাবে জীবানুর বিষক্রিয়ায় ত্বকে ব্রণ সৃষ্টি হয়। ব্রণ তৈরি হওয়ার পর্যায়ে এর মুখ বন্ধ থাকায় সাদাটে দেখায়। প্রায় ব্রণের চার পাশে প্রদাহ শুরু হয় এবং এর রং লাল দেখায়। এর উপর জীবানু সংক্রমন ঘটলে পুজ তৈরি হয়। বাইরে থেকে এদের ছোট দেখালেও এরা বেশ গভির হতে পারে।
এ জন্য ব্রনের সংক্রমন সেরে গেলেও মুখে কালো দাগ থেকে যেতে পারে।
★এবার জানবো ব্রণ হলে কি করা যাবে আর কি করা যাবে না?
১) ব্রণে হাত লাগানো যাবে না।
২) রাতে ঠিকমতো ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
৩) মানসিক চাপ পরিহার করুন।
৪) প্রচুর পরিমানে ফল,সবজি ও পানি পান করুন।
৫) রাতে ঘুমানোর আগে ভালো করে মুখ পরিস্কার করে ঘুমাবেন।
৬) হজমের গোলমাল হলে তার চিকিৎসা করুন।
★এবার আমরা জানবো কত বছর বয়স থেকে ব্রণ হয়?
ছেলেদের ক্ষত্রে ১৬-১৮ বছর বয়সের মাঝে এবং মেয়েদের ১৪-১৬ বছর বয়সে ব্রণ হওয়ার প্রবনতা দেখা যায়। তবে ৮০ শতাংশের ক্ষত্রে ২০ বছরের পর থেকে ব্রণ হওয়ার হার কমে যায়। তবে অনেকের ৩০-৪০ বছর বয়স পর্যন্ত ব্রণ হওয়ার প্রবনতা থেকে যায়।
★প্রয়োজনে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিতে পারেন।
লক্ষনের উপর নির্ভর করে ভিবিন্ন হোমিওপ্যাথিক ঔষধ খেতে পারেন। তবে সংক্ষিপ্ত ভাবে আমরা কিছু ঔষধের বর্ণনা দিচ্ছি।
১) বোভিষ্টা২০০(Bovista) দৈনিক ৪ ডোজ খেতে পারেন। ত্রিশ-চল্লিশ দিন সেবনে আরোগ্য হওয়া যায়।
২)অরাম মেট ২০০, দৈনিক তিন ডোজ, বোভিষ্টার পর ভালো কাজ দেয়।
৩) বোভিষ্টা ২০০ ও হিপার সালফ ২০০ এর সংমিশ্রণ প্রত্যহ চার ডোজ সেবন করিলে প্রথম কিছু বাহির হইয়া পরে সারিয়া যায়।
৪) হিপার সালফ ও নাইট্রিক এসিড ২০০ এর সংমিশ্রণ প্রত্যহ দুই ডোজ এবং ষ্ট্যাফাইসেগরিয়া ২০০ রাত্রে এক ডোজ সেবন করিয়া মুক্তি পেতে পারেন।
৫) কালী ব্রোম ২০০ প্রতিদিন দুই ডোজ সেবন করিয়া সুফল লাভ করা যায়।
৬) সোরিনাম ২০০, ক্যালকেরিয়া ফস ২০০,প্রতিদিন দুই ডোজ সেবনে অনেক ভালো ফল পাওয়া যায়।
৭) আর্সেনিক ২০০ ও নেট্রাম মিউর ৩০ সংমিশ্রণ সেবনে খুব ভাল ফল পাওয়া গেছে।
৮) নাট্রিক এসিড ২০০ এবং থুজা টিংচার এর সংমিশ্রন আধ ড্রাম ২ আউন্স গ্লিসারিন মিশিয়ে ব্রণে লাগাইলে খুব ভালো কাজ পাওয়া যায়। ঠোট ফাটাতেও ইহা বিশেষ কর্যকরী।
No comments:
Post a Comment