1. প্রস্রাব করার পর পুরুষের শরীর ঝাঁকি দেয়,
সেটা শরীরের একটা স্বাভাবিক কার্য। কারন আমরা জানি- পুরুষের টুনটুনির (পুরুষাঙ্গ) দুই কাজ , ইউরিনেশন ও জননাঙ্গ ।তাই এক কার্য করতে গেলে আরেক কার্যের গেট বন্ধ করা লাগে। তাই প্রস্রাবের রাস্তার মাঝে সেই গেট বা ইউরেথ্রাল ভাল্ভ থাকে । যখন প্রস্রাব শেষ হয় , তখন ঐ ভাল্ভ ক্লোজ হয় এবং ইউরেথ্রাল অবশিষ্ট ইউরিনকে বের করতে পুরো শরীরের একটা মিনিমাম খিঁচুনি ভাব হয় । প্রস্রাবের বেগ থাকলে সেইবার বেশী হয় এমন। যা আমাদের অটোনমিক নার্ভাস সিস্টেম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। একে “পোস্ট মিকচুরিশন কনভালশন” ও বলা হয়ে থাকে। যা শরীরেরর জন্য খুবি স্বাভাবিক মেকানিজম।
একে যদি কেউ রোগ বলে তাবিজ ব্যবসা করে তাকে জোচ্চুরি ছাড়া কিছু বলা যায় না।
2 .ঠান্ডা পানিতে নামলে শরীর কাঁপে । এটাও
আমাদের শরীরের জন্য একটা প্রোটেক্টিভ
উপায়। কারন হঠাৎ অতিরিক্ত ঠান্ডায় গেলে
আমাদের শরীরের তাপমাত্রা খুব দ্রুত কমে যায়।
কিন্তু আমাদের শরীরের তাপমাত্রা কন্ট্রোল
হয় ব্রেইনের হাইপোথ্যালামাস দিয়ে।
হাইপোথ্যালামাস তাপমাত্রা ব্যালেন্স করার জন্য
শরীরের কিছু মেজানিজম চালু করে। তার মধ্যে
একটা হলো – “ফিভারিং বা ইনভলান্টারি মাসল কন্ট্রাকশন” ।
আমরা জানি মাসল কন্ট্রাকশনে যে এনার্জি তৈরি হয়, তা হিট বা তাপমাত্রায় রূপান্তরিত হয়। যা আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায় । সুতরাং
অনেক ঠান্ডায় শরীর কাঁপা শরীরের নরমাল
ফিজিওলজি। কেউ যদি শরীরে নরমাল ঘটনাকে রোগ সাজিয়ে চিকিৎসা করে তার পাছা এসিড দিয়া পোড়াই দেয়া উচিত।।
3. সবচেয়ে মারাত্মক জোচ্চুরি করে যেই গোপন বিষয়টা নিয়ে সেটা হলো- 'যৌন দূর্বলতা" র
দোহাই । কারন তারা আপনাকে এমন কিছু উদাহরণ দিবে,
সেটা শুনার পর “আপনার নিজেকে দুনিয়ার
সবচেয়ে দূর্বল পুরুষ মনে হবে”।
ঐ সব ব্যবসায়ী হকাররা প্রথমে আপনার ব্রেইন ওয়াশ করে নিবে , পরে পকেট কেটে নিবে।
আমাদের দেশে যেহেতু উন্নত বিশ্বের মত
সেক্স এডুকেশন সিস্টেম নাই, সুতরাং মানব
শরীরের যৌন ধারনা আসে বন্ধুর গল্প, পর্ন মুভি
ও কিছু বই ইন্টারনেট ঘেটে। এতে করে সব
কিছুই মুভিকে স্ট্যান্ডার্ড মনে করে । মুভিতে
নায়ক দুই ঘন্টা সক্ষম, কিন্তু বাস্তবে দুই মিনিট
সক্ষম না। তার মানে এখানেই দূর্বলতা আছে
ভেবেই ভিড়ে ঐ ভন্ডদের কাছে। আর ঐ
ভন্ডরাও মানুষের মাইন্ড রিড করে ওখানেই আঘাত করে। দূর্বল প্রমাণ করেই ছাড়ে আপনাকে।
4 . “প্রিম্যাচুর ইজাকুলেশন” এর ভয় ৯৯% পুরুষ মানুষের মনে। তারা ভাবে "পর্ন সিনেমা" ঘন্টা খানেক, কিন্তু নিজের বেলায় কয়েক মিনিটের। ।তাইলে নিশচয় নিজের দূর্বলতা আছে।
এমনকি বিয়ে করতে ভয় পাচ্ছেন ইত্যাদি দোহাই
ঠেলে দেয়। কিন্তু মেডিকেল সাইন্স বলে
প্রিম্যাচুর ইজাকুলেশনের সংজ্ঞাও দিয়ে
দিয়েছেন। international Classification of disease -10 অনুযায়ী – সেক্সুয়াল
ইন্টারকোর্সের সময় ১৫ সেকেন্ডের কম
হলে তাকে প্রিম্যাচুর বলে। তবে ইন্টারন্যাশনাল
ইউরোলজি স্ট্যান্ডার্ড টাইম হলো ৪-৮ মিনিট । এই
ভ্রান্ত ধারনার জন্য লাখো কোটি মানুষ ভুল চিকিৎসা নিচ্ছেন । অপ্রয়োজনে ডাক্তারের পিছনে দৌড়াচ্ছেন, অকারনে ডিপ্রেশনে আছেন, আংটি তাবিজের ব্যবসাকে রমরমা করে দিচ্ছেন । অথচ সুস্থ্য শরীরকে মানসিক রোগী বানাচ্ছেন ফ্রি।
সুতরাং- সবাই নিজে সচেতন হতে ও আশে
পাশের মানুষকে ভ্রান্ত ধারনা হতে মুক্তি পেতে
সাহায্য করুন। ব্যাখ্যার প্রয়োজনে কিছু সেন্সরড
শব্দ ব্যবহারের জন্য দুঃখিত। সবাই ক্ষমাসুন্দর
দৃষ্টিতে দেখবেন।
No comments:
Post a Comment