Saturday, September 12, 2020

ঔষধের নাম ও তার শত্রুভাবাপন্ন ঔষধের তালিকা



ঔষধ নির্বানের সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হলো - উক্ত রোগীর পুর্বে কি ঔষধ ব্যবহার করা হয়েছে। এই বিষয়টি নিশ্চিত করা।একজন ডাক্তারকে নিচের তালিকা মাথায় রাখা জরুরী। এব্যাপারে অসতর্ক হলে মারাত্বক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
কেহ যদি মনে করে যে,হোমিওপ্যাথিক ঔষধে কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই তবে ভুল করবেন।রোগীর রোগীলিপি সংরক্ষণ প্রয়োজন।হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারগন রোগীর ইতিহাস দেখে নতুন ঔষধ নির্বাচন করুন।

প্রতিটি ঔষধের অনুপুরক, প্রতিষেধক, শত্রুভাবাপন্ন ঔষধের জ্ঞান না থাকলে সঠিক চিকিৎসা হবে না। এমনকি রোগ আরোগ্যে বাধা ও ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে জানুন। রোগ আরোগ্যে সঠিক পথ অনুসরণ করুন।

ঔষধের নামঃ-       শত্রু ভাবাপন্ন ঔষধ

১।এসিড এসেটিঃ-  বোরাক্স, কষ্টিকাম, নাক্স, র‍্যানান বাল্ব, সার্সাপ্যারিলা।

২।এসিড ল্যাকটিকঃ-  কফিয়া।

৩।এসিড নাইট্রিকঃ-  ল্যাকেসিস পরে ক্যাল্কেরিয়া কার্ব।

৪।এলিয়াম সেপাঃ-  এলিয়াম সেট, এলো সকোট্রিনা, স্কুইলাস হিপ।

৫।এলিয়াম সেটাইভাঃ-   এলো, এলিয়াম সেফা, স্কুইলাস।

৬।এলো সকোট্রিনাঃ-  এলিয়াম স্যাট।

৭।অ্যামোনিয়াম কার্বঃ-  ল্যাকেসিস।

৮।এপিসঃ-  রাসটক্স।

৯। অরাম ট্রিফাইলামঃ- ক্যালাডিয়াম।

১০।এষ্টিরিয়াস রিউবেন্স: কফিয়া।

১১।অরাম মিউর নেট্রঃ- কফিয়া, নাক্স।

১২।ব্যারাইটা কার্বঃ- ক্যাল্কেরিয়া কার্বের পরে।

১৩। বেলেডোনাঃ- এসিড-এসিটিক, ডালকামরা।

১৪।বোরাক্সঃ- এসিড-এসিটিক, ভাইবানাম।

১৫।বোভিষ্ঠাঃ- কফিয়া।

১৬।ক্যালা্ডিয়ামঃ- অরাম ট্রিফাইলাম।

১৭।ক্যাল্কেরিয়া কার্বঃ-এসিড নাইট্রিক, ব্যারাইটা-কার্ব এবং সালফারে পরে খাটে না।

১৮।ক্যালেণ্ডুলাঃ- ক্যাম্ফার।

১৯।ক্যাম্ফারঃ- পরে কেলি-নাইট্রিকাম।

২০।ক্যান্থারিসঃ- কফিয়া।
২১।কার্বো-অ্যানিমেলিসঃ- কার্বো-ভেজ।

২২।কার্বো-ভেজঃ- কার্বো-অ্যানিমেলিস, ক্রিয়োজোট খাটে না।

২৩। কলোফাইলামঃ- কফিয়া।

২৪।কষ্টিকামঃ এসিড- এসেটিক, কফিয়া, ফসফরাস, গুয়েকাম, নাক্স ভুমিকা।

২৫।ক্যামমিলাঃ জিঙ্কাম।

২৬।চায়নাঃ- ডিজিটেলিস এবং সেলিনিয়াম।

২৭।সিষ্টাসঃ- কফিয়া।

২৮।কোকিউলাসঃ- কফিয়া।

২৯।কফিয়াঃ-ক্যান্থারিস, কক্কাস, ইগ্নেসিয়া, কষ্টিকাম।

৩০।ডিজিটেলিসঃ-নাইট্রি-স্পিরিডল।

৩১।ডালকামারাঃ-এসিড-এসেটিক, বেল, ল্যাকেসিস।

৩২।ফেরামঃ- এসিড এসেটিক।

৩৩।ইগ্নেসিয়াঃ-কফিয়া, নাক্স, ট্যাবেকাম।

৩৪।কেলি-বাইক্রমঃ- ক্যাল্কেরিয়া পরে খাটে না।

৩৫।কেলি-নাইট্রিকামঃ- ক্যাম্ফার পরে খাটে না।

৩৬।ক্রিয়োজোটঃ- কার্বোভেজের পরে।

৩৭। ল্যাকেসিসঃ-এসিড এসেটিক, এসিড-কার্বোলিক, এসিড নাইট্রিক।

৩৮।ডলকামারাঃ- এমন-কার্ব, সোরিনাম।

৩৯।লাইকোঃ- সালফারের পরে সালফ চক্রের ভেতর ব্যতীত ক্যাল্কেরিয়া, লাইকো, কফিয়া।

৪০।মার্কসলঃ-এসিড-এসেটিক, সাইলি কর্মক্ষম করারআগে বা পরে বিসদৃশ মার্কারি অপক্কবস্তুর উপর কাজ করে।

৪১।মিলিফোলিয়ামঃ- কফিয়া।

৪২।নাক্স ভমিকাঃ- এসিড-এসেটিক, ইগ্নেসিয়া, জিঙ্কাম।

৪৩।ফসফরাসঃ- কষ্টিকাম।

৪৪।সোরিনামঃ- সিপিয়া।

৪৫।র‍্যানান বাল্বঃ-এসিড-এসেটিক, স্টাফি, সালফার, ভাইবারনাম।

৪৬।রাস-টক্সঃ- এপিস বিসদৃশ কিন্তু ফসফরাস ভাল খাটে (কেন্ট)।

৪৭।সার্সাপেরিলাঃ- এসিড এসেটিক।

৪৮।সেলিনিয়ামঃ- চায়না, ভ্যানাডিয়াম।

৪৯।সিপিয়াঃ- ব্রায়োনিয়া, ল্যাকেসিস।

৫০।সাইলিসিয়াঃ- মার্কসল।

৫১।স্কুইলাসঃ- এলিয়াম সেফা।

৫২।স্টাফিসেগ্রিয়াঃ- র‍্যানান-বাল্ব।

৫৩।ষ্ট্রামোনিয়ামঃ- কফিয়া।

৫৪।সালফারঃ- লাইকোর পরে সালফার খাটে কিন্তু সালফারের পরে লাইকো খাটে না
( কেন্ট),র‍্যানান-বাল্ব ।

৫৫। ভেস্পাঃ- আর্জেন্ট নাইট্রিকাম।

৫৬। জিঙ্কামঃ- ক্যামোমিলা, নাক্স, ভাইনাম।

শত্রুভাবাপন্ন হোমিওপ্যাথিক ঔষধ ব্যবহার করে রোগীর ক্ষতি করা একজন ডাক্তারের জন্য নীতি বিরুদ্ধ কাজ। কোন ক্রমেই এই রুপ ভুল করা উচিৎ নয়। একজন রোগীর জন্য উপকার করতে না পারার চেয়ে ভুল ঔষধ প্রয়োগ করা, কোন ক্রমেই মেনে নেয় যায় না।উপরে উল্লেখিত তালিকা মেনে সঠিক ঔষধ নির্বচনই কাম্য।

Monday, July 13, 2020

যৌন_রোগে_হোমিওপ্যাথি_চিকিৎসা



যৌন রোগে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা অন্ধকারে যেন আলোর  দিশারী  । যৌন  সমস্যা বর্তমানে একটি জটিল সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে । এ রোগীর হার দিন দিন বেরেই চলেছে । এই সুযোগে দেশের আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে নানা রংবেরংগের পোস্টার সাজিয়ে বিভিন্ন দাওয়া খানা ও চমকপ্রদ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান । যেখানে চিকিৎসার নামে করা হয় বিভিন্নভাবে প্রতারনা । হতাশা গ্রস্থ যুব সমাজ আরো বেশী হতাশা গ্রস্থ হচ্ছে । এক পর্যায় তারা মনে করে এ রোগের মনে হয় আর চিকিৎসার নেই । অতিরিক্ত হস্তমৈথুন, যৌনবাহিত রোগ( সিফিলিস, গনোরিয়া).রক্তে সেক্স-হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ।

এছাড়াও ডায়াবেটিস, দুশ্চিন্তা,টেনশন, অবসাদ, ও অ-পুষ্টি, যৌনরোগ বা এইডস ভীতি ।  সেক্স-এডুকেশের অভাব, বয়সের পার্থক্য, পার্টনারকে অপছন্দ । নারীর ত্রুটিপূর্ণ যৌনাসন, মানসিক ও শারীরিক সম্যসা। ইত্যাদি কারণে এ রোগ বা সমস্যা  হতে পারে । এ সমস্যা যে কোন বয়সেই হতে পারে, সে ক্ষেএে লজ্জা, অবহেলা, আজ কাল, না করে জটিল হওয়ার পূর্বেই দ্রুত চিকিৎসা নেয়া আবশ্যক। সমস্যার সহজ সমাধান হল সময় নিয়ে  হোমিওচিকিতসা গ্রহন করা । হোমিও ঔষধ পাশাপাশি কাউনসিলিং এর সাহায্যে, পুরুষত্বহীনতা বা যৌনরোগের সহজ এবং স্বল্প খরচে কোন রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন প্রাকৃতিক ভাবে শতভাগ আরোগ্য করে। অন্যদিকে মহিলাদেরও যৌন দুরবলতা, যৌনকর্মে ‍অনীহা ইত্যাদি থাকতে পারে এবং হোমিওপ্যাথিতে তারও চমৎকার চিকিৎসা আছে। হোমিও ঔষধের কোনো বিরূপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। তাই লজ্জা ও জড়তা  ফেলে খোলা মনে ডাঃ এর সাথে আলাপ করুন। এ সমস্যা খুবই সাধারণ এবং এর সফল চিকিৎসাও পাবেন ।

পুরুষত্বহীনতা কি?
ইহা পুরুষের যৌনকার্যে  অক্ষমতাকে বুঝায়।

শ্রেণীবিভাগঃ
সাধারণত পুরুষত্বহীনতাকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
১| ইরেকশন ফেইলিউরঃ পুরুষের লিঙ্গের উথ্বানে ব্যার্থতা।
২|পোনিট্রেশন ফেলিউরঃ লিঙ্গের যৌনিদ্বার ছেদনে ব্যার্থতা বা অক্ষমতা।
৩|প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশনঃ সহবাসে দ্রুত বীর্যপাত তথা স্বায়ীত্বের অভাব।

যৌন রোগে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ব্যবহৃত কিছু ঔষধের তালিকা নিম্নে আলোচনা করা হল :

Lycopodium clavatum:
লাইকোপোডিয়াম ধ্বজভঙ্গের একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। মাত্রাতিরিক্ত ধূমপানের কারণে ধ্বজভঙ্গ হলে এটি খেতে পারেন। লাইকোপোডিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো এদের পেটে প্রচুর গ্যাস হয়।  এদের ব্রেন খুব ভালো কিন্তু স্বাস্থ্য খুব খারাপ, এদের প্রস্রাব অথবা পাকস্থলী সংক্রান্ত কোন না কোন সমস্যা থাকবেই । অকাল বার্ধক্য, সকাল বেলা দুর্বলতা ইত্যাদি ইত্যাদি।

Agnus Castus:
সাধারণত গনোরিয়া রোগের পরে যৌন দুর্বলতা দেখা দিলে এটি ভালো কাজ করে। পুরুষাঙ্গ ছোট এবং নরম হয়ে যায়, পায়খানা এবং প্রস্রাবের আগে-পরে আঠালো পদার্থ নির্গত হয়, ঘনঘন স্বপ্নদোষ হয়।

Caladium seguinum:
যারা যৌনমিলনে কোন আনন্দ পান না বা যৌনমিলনের পর বীর্য নির্গত হয় না বা যাদের বীর্য তাড়াতাড়ি নির্গত হয়ে যায় ।বা যারা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন করে দুবর্ল হয়ে পড়েছেন, তাদের জন্য কার্যকরী।

Origanum marjorana:
ওরিগ্যানাম ঔষধটি পুরুষ এবং নারীদের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। তবে এটি নিম্নশক্তিতে খাওয়া উচিত কেননা উচ্চশক্তিতে কোন ফল পাওয়া যায় না।

Selenium:
যৌন শক্তির দুর্বলতা, দ্রুত বীর্য নির্গত হওয়া, স্বপ্নদোষ, মাথার চুল পড়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যায় সেলিনিয়াম একটি প্রথম শ্রেণীর ঔষধ। বিশেষত যাদের কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি ভালো কাজ করে।

Caladium seguinum:
যারা যৌনমিলনে কোন আনন্দ পান না বা যৌনমিলনের পর বীর্য নির্গত হয় না বা যাদের বীর্য তাড়াতাড়ি নির্গত হয়ে যায় ।বা যারা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন করে দুবর্ল হয়ে পড়েছেন, তাদের জন্য কার্যকরী।

Origanum marjorana:
ওরিগ্যানাম ঔষধটি পুরুষ এবং নারীদের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। তবে এটি নিম্নশক্তিতে খাওয়া উচিত কেননা উচ্চশক্তিতে কোন ফল পাওয়া যায় না।

Moschus Moschiferus:
ডায়াবেটিস রোগীদের ধ্বজভঙ্গে এটি ভালো কাজ করে। এটি ক্ষুদ্রাকৃতি হয়ে যাওয়া পুরুষাঙ্গকে পূর্বের আকৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

Salix nigra:
মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম, হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ প্রভৃতি কারণে সৃষ্ট পুরুষদের যৌনকর্মে দুর্বলতা বা অক্ষমতার একটি শ্রেষ্ট ঔষধ হলো স্যালিক্স নাইগ্রা। এসব কারণে যাদের ওজন কমে গেছে, এই ঔষধ একই সাথে তাদের ওজনও বাড়িয়ে দিয়ে থাকে যথেষ্ট পরিমাণে। পাশাপাশি অবিবাহিত যুবক-যুবতী বা যাদের স্বামী-স্ত্রী বিদেশে আছেন অথবা মারা গেছেন । এই ঔষধ তাদের মাত্রাতিরিক্ত উত্তেজনা কমিয়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে সাহায্য করে।

Sabal serrulata:
সেবাল সেরুলেটা পুরুষদের যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে এবং পাশাপাশি হজমশক্তি, ঘুম, শারীরিক শক্তি, ওজন (কম থাকলে) ইত্যাদিও বৃদ্ধি পায়। এটি মেয়েদেরও যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে থাকে ।  ক্ষুদ্রাকৃতির স্তনবিশিষ্ট মেয়েদের স্তনের আকৃতি বৃদ্ধি করে থাকে। বয়ষ্ক পুরুষদের প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধিজনিত যে-কোন সমস্যা এবং ব্রঙ্কাইটিস নির্মূল করতে পারে।

Staphisagria:
পুরুষদের যৌন দুর্বলতা দূর করার ক্ষেত্রে স্টেফিসেগ্রিয়া একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। বিশেষত অতিরিক্ত যৌনকর্ম করার কারণে বা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে যাদের ধ্বজভঙ্গ হয়ে গেছে, তাদের ক্ষেত্রে বেশী প্রযোজ্য। বিয়ের প্রথম কিছুদিনে মেয়েদের প্রস্রাব সম্পর্কিত অথবা যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত কোন সমস্যা হলে নিশ্চিন্তে স্টেফিসেগ্রিয়া নামক ঔষধটি খেতে পারেন। কারণ স্টেফিসেগ্রিয়া একই সাথে যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত রোগে এবং আঘাতজনিত রোগে সমান কাযর্কর।

Conium:
স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা অধিক কিন্তু অক্ষম।সহবাস কালে সোহাগ আলিঙ্গনের সময় লিঙ্গ শিথিল হইয়া পড়ে।

Calcarea Carb:
ক্যালকেরিয়া কার্ব যৌনশক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। বিশেষত মোটা, থলথলে স্বাস্থ্যের অধিকারী লোকদের বেলায় এটি ভালো কাজ করে।

Natrum carbonicum:
যে সব নারীদের পুরুষরা আলিঙ্গন করলেই বীযর্পাত হয়ে যায় (সহবাস ছাড়াই) । অর্থাৎ অল্পতেই তাদের তৃপ্তি ঘটে যায় এবং পরে আর সঙ্গমে আগ্রহ থাকে না, তাদের জন্য উৎকৃষ্ট ঔষধ হলো নেট্রাম কার্ব। এই কারণে যদি তাদের সন্তানাদি না হয় (অর্থাৎ বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়)।  তবে নেট্রাম কার্বে সেই বন্ধ্যাত্বও সেরে যাবে।

Nux Vomica:
নাক্স ভমিকা ঔষধটি যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ । বিশেষত যারা শীতকাতর, যাদের পেটের সমস্যা বেশী হয়, সারাক্ষণ শুয়ে-বসে থাকে ।  শারীরিক পরিশ্রম কম করে, মানসিক পরিশ্রম বেশী করে ইত্যাদি ইত্যাদি।

যৌন রোগে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিন এবং সুস্থ থাকুন ।  ডাক্তারের পরার্মশ ছাড়া ঔষধ খাবেন না।

Sunday, May 10, 2020

বায়োকেমিক বার টি ঔষধের সংক্ষিপ্ত পরিচয়:


বায়োকেমিক ঔষধ গ্রহণ করলে দেহ রোগমুক্ত হয় । এই ঔষধগুলো সাধারণত পাউডার অথবা ট্যাবলেট রূপে পাওয়া যায় । শক্তির মাত্রা ৩এক্স,৬এক্স,১২এক্স ইত্যাদি ।

ট্যবলেটগুলি সাধারণত ৩/৪টি করে দিনে ৩/৪ বার খেতে হয় । গরম পানিতে গুলে খেলে এর ক্রিয়া ভালভাবে হয় । সম্ভব না হলে চিবিয়েও খাওয়া যায় ।

আবার এই ১২টি ঔষিই হোমিওপ্যাথি পদ্ধতিতে শক্তিকৃত করে হোমিওপ্যাথি মতে (সদৃশ্য বিধান) রোগীর দেহে প্রয়োগ করা হয় । সেক্ষেত্রে শক্তির মাত্রা ৩/৬/৩০/২০০/১০০০/১০,০০০/১০০,০০০ এই রকম ।

আমরা এই মহা মুল্যবান ১২টি ঔষধের ক্রিয়া আলোচনা করব ।
১/ ক্যালকেরিয়া ফ্লোর
পরিচয় : ক্যালসিয়াম ফ্লোরাইড,ফ্লোরম্পার ।
প্রয়োগ ক্ষেত্র – চোখের ছানি, কোমর ব্যথা, মচকা ব্যথা, স্তনে গুটি, দাঁত উঠতে দেরি হওয়া, দাঁতের ক্ষয় ও প্রদাহ, চামড়া ফাটা, সহজেই রক্তপাত, বংশগত সিফিলিস,এ্যাডিনয়েডস ।

২/ ক্যালকেরিয়া ফস
পরিচয় : ক্যালসিয়াম ফসফেট,ফসফেট অফ লাইম ।
প্রয়োগ ক্ষেত্র – স্নায়ুর দুব©লতা, মৃগী, অন্ত্রের প্রদাহ, পরিপোষণ বা মেটাবলিজমের ত্রুটি, দাঁত উঠতে দেরি হওয়া, ক্ষয়রোগ, পায়খানার সাথে অভুক্ত দ্রব্য, পেটে বায়ু । ডায়াবেটিস রোগীদের অস্তিভঙ্গ, মস্তিস্কের অবসাদ, ব্রাইটস ডিজিস, রসযুক্ত চম©রোগ ।

৩/ ক্যালকেরিয়া সালফ
পরিচয় : ক্যালসিয়াম সালফেট,জিপসাম, প্লাস্টার অফ প্যারিস ।
প্রয়োগ ক্ষেত্র – ফোঁড়া, কাবা©ঙ্কল, পুঁজযুক্ত ব্রণ, পোড়া ঘাঁ, চুলকানি, ফিস্টুলা, গ্রন্থিস্ফীতি, স্নায়বিক দুব©লতা, জনন ইন্দ্রিয়ের দুব©লতা, পরিবত©শীল মানসিকতা, পায়ের তালুতে জ্বালা-পড়া এবং চুলকানি, অ্যালোপ্যাথিক ঔষধ খাওয়ার পর শারীরিক দুব©লতা ।

৪/ ফেরাম ফস
পরিচয় : ফেরোসো ফেরিক ফসফেট, ফসফেট অফ আয়রণ ।
প্রয়োগ ক্ষেত্র – অ্যানিমিয়া, রক্তপাতের ফলে রক্তাল্পতা, নাড়ীর গতি দ্রুত, মাথার যন্ত্রণা, জিভের প্রদাহ, জিভ লেপাকৃত অথবা রক্তাভ, অক্ষুধা, দেহের ওজন এবং শক্তি কমে যাওয়া, শিশুদের মানসিক ও দৈহিক বল হ্রাস, শীণ©তা, ক্ষুধামান্দ্য ।

৫/ ক্যালি মিউর
পরিচয় : পটাসিয়াম ক্লোরাইড ।
প্রয়োগ ক্ষেত্র – হাটে©র দুব©লতা, বুক ধড়ফড় করা, হৃদপিণ্ড বৃদ্ধি পাওয়া, পেরিকাডা©ইটিস, থ্রম্বসিস, গ্রন্থ বৃদ্ধি, ফুসফুস প্রদাহ, নিউমোনিয়া, পিত্ত নিঃসরণ কম হওয়ার ফলে অজীণ©, অক্ষুধা, গলক্ষত, লিভারের দুব©লতা ।

৬/ ক্যালি ফস
পরিচয় : পটাসিয়াম ফসফেট ।
প্রয়োগ ক্ষেত্র – মানসিক দুব©লতা, মানসিক বিপয©য়, মানসিক অবসাদ, মানসিক কারণে মাথার যন্ত্রণা, মস্তিস্কের দুব©লতা ও অবসাদ, পেটে বায়ু এবং সে কারণে হৃদপিণ্ডের অপক্রিয়া, দুগ©ন্ধযুক্ত পায়খানা, উঠে দাড়ালে মাথা ঘোরা, সেরিব্রাল অ্যানিমিয়া, জননাঙ্গের দুব©লতা ।

৭/ ক্যালি সালফ
প্রয়োগ ক্ষেত্র – হাম,বসন্ত চম©পীড়া, বুকে ঘড়ঘড় শব্দযুক্ত হাঁপানী, বিকালের জ্বর,চমে©র উপর ইহার ক্রিয়া অনেক বেশি,স্রাব আঠালো, সবুজবণে©র, দুগ©ন্ধযুক্ত, ইহার অভাবে চম© থেকে খুশকি উঠে ।

৮/ ম্যাগ ফস
পরিচয় : ম্যাগনেসিয়াম ফসফেট ।
প্রয়োগ ক্ষেত্র – বিভিন্ন প্রকার ব্যথা ও যন্ত্রণা, মাথার যন্ত্রণা, পেটে ব্যথা, স্নায়ুশূল, স্প্যাজমেডিক পেইন, স্মৃতিশক্তিহীনতা, চিন্তাশক্তির দুব©লতা, স্নায়বিক দুব©লতা, দাঁড়ানো অবস্থায় এবং চলতে চলতে মলত্যাগের ইচ্ছা । এই ঔষধটি স্নায়ুকোষে পুষ্টি জোগায় ।

৯/ ন্যাট্রাম মিউর
পরিচয় : সোডিয়াম ক্লোরাইড ।
প্রয়োগ ক্ষেত্র – নুন বেশি খাওয়ার প্রবণতা, কোষ্টকাঠিন্য, মাথা যন্ত্রণা (হাপানি সহ), সদি© কাশির প্রবণতা, হাঁচি, নাক দিয়ে কাঁচা পানি পড়া, হিস্টিরিয়াম, সংজ্ঞালোপ, টাইফয়েড, জ্বরে প্রলাপ বকা, পেটে শূল বেদনা, লিভারের গোলযোগ, বোধ শক্তির অভাব, ক্রিমি, মস্তিস্কের দুব©লতা ।

১০/ ন্যাট্রাম ফস
পরিচয় : সোডিয়াম ফসফেট ।
প্রয়োগ ক্ষেত্র – অম্লরোগ, পাকস্থলী এবং অন্ত্রের গোলযোগ, শিশুদের অতিরিক্ত দুধ খাওয়ানোর ফলে ল্যাকটিক এসিড বৃদ্ধি পাওয়া, গনোরিয়া জিভে হালকা প্রলেপ, বুকের বাঁদিকে ব্যথা (নিপ্ল এর নীচে) ডান কাধে বাত জনিত ব্যথা, স্বপ্নদোষ ব্যতিত ধাতুক্ষয়, অপথ্যালমিয়া, কান থেকে রস পড়া ।

১১/ ন্যাট্রাম সালফ
পরিচয় : সোডিয়াম সালফেড, প্লবারস সল্ট ।
প্রয়োগ ক্ষেত্র – গ্যাসট্রাইটিস, পেটে বায়ু, পেটে ব্যথা, লিভারের গোলমাল, নখের গোড়ায় প্রদাহ এবং পুজ, অবসাদ, তন্দ্রলুতা, আঁচিল - চোখের চার পাশে, মাথায়, মুখে, বুকে ও মলদ্বারে, নেফ্রাইটিস, মেরুদন্ডে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা, সেক্রামে ব্যথা ।

১২/ সাইলিসিয়া
পরিচয় : সিলিকা, সিলিসিক অক্সাইড ।
প্রয়োগ ক্ষেত্র – রিকেট, বাতরোগ, প্রস্টেট গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধি, মধ্য কানের প্রদাহ, দেহের কোথাও পুঁজ, গেঁটেবাত, কোষ্টকাঠিন্য, অম্ল, অজীণ©, পুরানো কাশি ।      

লেখক : মুহাঃ আব্দুর রহিম (হোমিওপ্যাথ)

Monday, February 17, 2020

ব্রণ

যৌবনকালে অনেকেরই মুখে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এক প্রকার স্ফোটক বাহির হয় যাকে আমরা বয়স পোড়া বা বায়োব্রন  এবং ইরেজিতে acne বলে।

★এবার আমরা জানবো ব্রণ কি?
আমাদের ত্বক থেকে সেবাসিয়াম গ্রন্থি সেবাম নামে এক প্রকার তৈলাক্ত পদার্থ নিঃসরন করে যা ত্বককে মসৃন রাখে। কোন কারনে সেবাসিয়াম গ্রন্থির নালির মুখ বন্ধ হয়ে গেলে সেবাম নিঃসরনের বাধার সৃষ্টি হয়। এবং তা ভিতরে জমে ফুলে উঠে যা (acne) ব্রণ নামে পরিচিত। এতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমন হয়। এভাবে জীবানুর বিষক্রিয়ায় ত্বকে ব্রণ সৃষ্টি হয়। ব্রণ তৈরি হওয়ার পর্যায়ে এর মুখ বন্ধ থাকায় সাদাটে দেখায়। প্রায় ব্রণের চার পাশে প্রদাহ শুরু হয় এবং এর রং লাল দেখায়। এর উপর জীবানু সংক্রমন ঘটলে পুজ তৈরি হয়। বাইরে থেকে এদের ছোট দেখালেও এরা বেশ গভির হতে পারে।
এ জন্য ব্রনের সংক্রমন সেরে গেলেও মুখে কালো দাগ থেকে যেতে পারে।

★এবার জানবো ব্রণ হলে কি করা যাবে আর কি করা যাবে না?
১) ব্রণে হাত লাগানো যাবে না।
২) রাতে ঠিকমতো ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
৩) মানসিক চাপ পরিহার করুন।
৪) প্রচুর পরিমানে ফল,সবজি ও পানি পান করুন।
৫) রাতে ঘুমানোর আগে ভালো করে মুখ পরিস্কার করে ঘুমাবেন।
৬) হজমের গোলমাল হলে তার চিকিৎসা করুন।

★এবার আমরা জানবো কত বছর বয়স থেকে ব্রণ হয়?
ছেলেদের ক্ষত্রে ১৬-১৮ বছর বয়সের মাঝে এবং মেয়েদের ১৪-১৬ বছর বয়সে ব্রণ হওয়ার প্রবনতা দেখা যায়। তবে ৮০ শতাংশের ক্ষত্রে ২০ বছরের পর থেকে ব্রণ হওয়ার হার কমে যায়। তবে অনেকের ৩০-৪০ বছর বয়স পর্যন্ত ব্রণ হওয়ার প্রবনতা থেকে যায়।

★প্রয়োজনে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিতে পারেন।
লক্ষনের উপর নির্ভর করে ভিবিন্ন হোমিওপ্যাথিক ঔষধ খেতে পারেন। তবে সংক্ষিপ্ত ভাবে আমরা কিছু ঔষধের বর্ণনা দিচ্ছি।
১) বোভিষ্টা২০০(Bovista) দৈনিক ৪ ডোজ খেতে পারেন। ত্রিশ-চল্লিশ দিন সেবনে আরোগ্য হওয়া যায়। 
২)অরাম মেট ২০০, দৈনিক তিন ডোজ, বোভিষ্টার পর ভালো কাজ দেয়।
৩) বোভিষ্টা ২০০ ও হিপার সালফ ২০০ এর সংমিশ্রণ প্রত্যহ চার ডোজ সেবন করিলে প্রথম কিছু বাহির হইয়া পরে সারিয়া যায়। 
৪) হিপার সালফ ও নাইট্রিক এসিড ২০০ এর সংমিশ্রণ প্রত্যহ দুই ডোজ এবং ষ্ট্যাফাইসেগরিয়া ২০০ রাত্রে এক ডোজ সেবন করিয়া মুক্তি পেতে পারেন।
৫) কালী ব্রোম ২০০ প্রতিদিন দুই ডোজ সেবন করিয়া সুফল লাভ করা যায়।
৬) সোরিনাম ২০০, ক্যালকেরিয়া ফস ২০০,প্রতিদিন দুই ডোজ সেবনে অনেক ভালো ফল পাওয়া যায়। 
৭) আর্সেনিক ২০০ ও নেট্রাম মিউর ৩০ সংমিশ্রণ সেবনে খুব ভাল ফল পাওয়া গেছে।
৮) নাট্রিক এসিড ২০০ এবং থুজা টিংচার এর সংমিশ্রন আধ ড্রাম ২ আউন্স গ্লিসারিন মিশিয়ে ব্রণে লাগাইলে খুব ভালো কাজ পাওয়া যায়। ঠোট ফাটাতেও ইহা বিশেষ কর্যকরী।

সর্বাধিক জরুরি হোমিওপ্যাথিক ঔষধের নাম সাথে প্রধান প্রধান লক্ষণসহ


১)**একোনাইট নেপিলাস-Aconitum  napellus :- যে-কোন  রোগই  হউক  না  কেন (জ্বর-কাশি-ডায়েরিয়া-আমাশয়-নিউমোনিয়া-পেটব্যথা-হাঁপানি-মাথাব্যথা-বুকেব্যথা-শ্বাসকষ্ট-বার্ড  ফ্লু-বুক  ধড়ফড়ানি  প্রভৃতি),  যদি  হঠাৎ  শুরু  হয়  এবং  শুরু  থেকেই  মারাত্মকরূপে  দেখা  দেয়  অথবা  দুয়েক  ঘণ্টার  মধ্যে  সেটি  মারাত্মক  আকার  ধারণ  করে,  তবে  একোনাইট  ঔষধটি  হলো  তার  এক  নাম্বার  ঔষধ।  একোনাইটকে  তুলনা  করা  যায়  ঝড়-তুফান-টর্নেডোর  সাথে…..প্রচণ্ড  কিন্তু  ক্ষণস্থায়ী।  একোনাইটের  রোগী  রোগের  যন্ত্রণায়  একেবারে  অস্থির  হয়ে  পড়ে।  রোগের  উৎপাত  এত  বেশী  হয়  যে,  তাতে  রোগী  মৃত্যুর  ভয়ে  ভীত  হয়ে  পড়ে। রোগী  ভাবে  সে  এখনই  মরে  যাবে।

২)**ব্রাইয়োনিয়া এলবম- Bryonia  alba :  ব্রায়োনিয়ার  প্রধান  প্রধান  লক্ষণ  হলো  রোগীর  ঠোট-জিহ্বা-গলা  শুকিয়ে  কাঠ  হয়ে  থাকে,প্রচুর  পানি  পিপাসা  থাকে,  রোগী  অনেকক্ষণ  পরপর  একসাথে  প্রচুর  ঠান্ডা  পানি  পান  করে,  নড়াচড়া  করলে  রোগীর  কষ্ট  বৃদ্ধি  পায়,  রোগীর  মেজাজ  খুবই  বিগড়ে  থাকে,  কোষ্টকাঠিন্য  দেখা  দেয়  অর্থাৎ  পায়খানা  শক্ত  হয়ে  যায়,  প্রলাপ  বকার  সময়  তারা  সারাদিনের  পেশাগত  কাজের  কথা  বলতে  থাকে  অথবা  বিছানা  থেকে  নেমে  বাড়ি  যাওয়ার  কথা  বলে,  শিশুদের  কোলে  নিলে  তারা  বিরক্ত  হয়,  মুখে  সবকিছু  তিতা  লাগে।  যে-কোন  রোগই  হউক  না  কেন,  যদি  উপরের  লক্ষণগুলোর  অন্তত  দু-তিনটি  লক্ষণও  রোগীর  মধ্যে  পাওয়া  যায়,  তবে  ব্রায়োনিয়া  সেই  রোগ  সারিয়ে  দিবে।  ব্রায়োনিয়া  ঔষধটি  নিউমোনিয়ার  জন্য  আল্লাহ্‌র  একটি  বিরাট  রহমত  স্বরূপ।  সাধারণত  নিম্নশক্তিতে  খাওয়ালে  ঘনঘন  খাওয়াতে  হয়  কয়েকদিন  কিন্তু  (১০,০০০  বা  ৫০,০০০  ইত্যাদি)  উচ্চশক্তিতে  খাওয়ালে  দুয়েক  ডোজই  যথেষ্ট।

 ৩)**রাস টক্স- Rhus  toxicodendron :  রাস  টক্সের  প্রধান  প্রধান  লক্ষণ  হলো  প্রচণ্ড  অস্থিরতা,  রোগী  এতই  অস্থিরতায়  ভোগে  যে  এক  পজিশনে  বেশীক্ষণ  স্থির  থাকতে  পারে  না,  রোগীর  শীতভাব  এমন  বেশী  যে  তার  মনে  হয়  কেউ  যেন  বালতি  দিয়ে  তার  গায়ে  ঠান্ডা  পানি  ঢালতেছে,  নড়াচড়া  করলে  (অথবা  শরীর  টিপে  দিলে)  তার  ভালো  লাগে  অর্থাৎ  রোগের  কষ্ট  কমে  যায়,  স্বপ্ন  দেখে  যেন  খুব  পরিশ্রমের  কাজ  করতেছে।  বর্ষাকাল,  ভ্যাপসা  আবহাওয়া  বা  ভিজা  বাতাসের  সময়কার  যে-কোন  জ্বরে (বা  অন্যান্য  রোগে)  রাস  টক্স  এক  নাম্বার  ঔষধ।  রাস  টক্স  খাওয়ার  সময়  ঠান্ডা  পানিতে  গোসল  বা  ঠান্ডা  পানিতে  গামছা  ভিজিয়ে  শরীর  মোছা  যাবে  না।  বরং  এজন্য  কুসুম  কুসুম  গরম  পানি  ব্যবহার  করতে  হবে।  কেননা  ঠান্ডা  পানিতে  গোসল  করলে  রাস  টক্সের  একশান  নষ্ট  হয়ে  যায়।  (*  ব্রায়োনিয়া  এবং  রাস  টক্সের  প্রধান  দুটি  লক্ষণ  মনে  রাখলেই  চলবে ;  আর  তা  হলো –  নড়াচড়া  করলে  ব্রায়োনিয়ার  রোগ  বেড়ে  যায়  এবং  রাস  টক্সের  রোগ  হ্রাস  পায় / কমে  যায়।)

৪)**লাইকোপোডিয়াম-  Lycopodium  clavatum :  লাইকোপোডিয়ামের  প্রধান  প্রধান  লক্ষণ  হলো  রোগের  মাত্রা  বিকাল  ৪-৮টার  সময়  বৃদ্ধি  পায়,  এদের  রোগ  ডান  পাশে  বেশী  হয়,  রোগ  ডান  পাশ  থেকে  বাম  পাশে  যায়,  এদের  পেটে  প্রচুর  গ্যাস  হয়,  এদের  সারা  বৎসর  প্রস্রাবের  বা  হজমের  সমস্যা  লেগেই  থাকে,  এদের  দেখতে  তাদের  বয়সের  চাইতেও  বেশী  বয়ষ্ক  মনে  হয়,  এদের  স্বাস্থ্য  খারাপ  কিন্তু  ব্রেন  খুব  ভালো,এরা  খুবই  সেনসিটিভ  এমনকি  ধন্যবাদ  দিলেও  কেঁদে  ফেলে  ইত্যাদি  ইত্যাদি।  উপরের  লক্ষণগুলোর  দু’তিনটিও  কোন  রোগীর  মধ্যে  থাকলে  লাইকোপোডিয়াম  তার  যে-কোন  রোগ (জ্বর-কাশি-ডায়েরিয়া-আমাশয়-নিউমোনিয়া-পেটব্যথা-হাঁপানি-মাথাব্যথা-বুকেব্যথা-শ্বাসকষ্ট-বার্ড ফ্লু-বুক  ধড়ফড়ানি-চুলপড়া-ধ্বজভঙ্গ  প্রভৃতি)  সারিয়ে  দেবে।

৫)**বেলেডোনা-  Belladonna :  তিনটি  লক্ষণের  উপর  ভিত্তি  করে  বেলেডোনা  ঔষধটি  প্রয়োগ  করা  হয়ে  থাকে,  যথা-উত্তাপ,  লাল  রঙ  এবং  জ্বালা-পোড়া  ভাব।  যদি  শরীরে  বা  আক্রান্ত  স্থানে  উত্তাপ  বেশী  থাকে,  যদি  আক্রান্ত  স্থান  লাল  হয়ে  যায় (যেমন- মাথা  ব্যথার  সময়  মুখ  লাল  হওয়া,  পায়খানার  সাথে  টকটকে  লাল  রক্ত  যাওয়া),  শরীরে  জ্বালা-পোড়াভাব  থাকে,  রোগী  ভয়ঙ্কর  সব  জিনিস  দেখে,  ভয়ে  পালাতে  চেষ্টা  করে,  অনেক  সময়  মারমুখী  হয়ে  উঠে  ইত্যাদি  ইত্যাদি।  জ্বরের  সাথে  যদি  রোগী  প্রলাপ  বকতে  থাকে,  তবে  বেলেডোনা  তাকে  উদ্ধার  করবে  নিশ্চিত।  উপরের  লক্ষণগুলো  কোন  রোগীর  মধ্যে  পাওয়া  গেলে  যে-কোন  রোগে (জ্বর-কাশি-ডায়েরিয়া-আমাশয়-রক্তআমাশয়-পেটব্যথা-মাথাব্যথা-বুকেব্যথা-শ্বাসকষ্ট-বার্ড  ফ্লু-বুক  ধড়ফড়ানি  প্রভৃতি)  বেলেডোনা  প্রয়োগ  করতে  পারেন।

৬)**আর্সেনিক এলবম-  Arsenicum  album :  আর্সেনিকের  প্রধান  প্রধান  লক্ষণ  হলো  রোগীর  মধ্যে  প্রচণ্ড  অস্থিরতা (অর্থাৎ  রোগী  এক  জায়গায়  বা  এক  পজিশনে  বেশীক্ষণ  থাকতে  পারে  না।  এমনকি  গভীর  ঘুমের  মধ্যেও  সে  নড়াচড়া  করতে  থাকে।),  শরীরের  বিভিন্ন  স্থানে  ভীষণ  জ্বালা-পোড়া  ভাব,  অল্প  সময়ের  মধ্যেই  রোগী  দুর্বল-কাহিল-নিস্তেজ  হয়ে  পড়ে,  রোগীর  বাইরে  থাকে  ঠান্ডা  কিন্তু  ভেতরে  থাকে  জ্বালা-পোড়া,  অতি  মাত্রায়  মৃত্যু  ভয়,  রোগী  মনে  করে  ঔষধ  খেয়ে  কোন  লাভ  নেই- তার  মৃত্যু  নিশ্চিত,  গরম  পানি  খাওয়ার  জন্য  পাগল  কিন্তু  খাওয়ার  সময়  খাবে  দুয়েক  চুমুক।  বাসি-পচাঁ-বিষাক্ত  খাবার  খেয়ে  যত  মারাত্মক  রোগই  হউক  না  কেন,  আর্সেনিক  খেতে  দেরি  করবেন  না।  ফল-ফ্রুট  খেয়ে (ডায়েরিয়া,  আমাশয়,  পেট ব্যথা  ইত্যাদি)  যে-কোন  রোগ  হলে  আর্সেনিক  হলো  তার  এক  নম্বর  ঔষধ।

৬)**আর্নিকা মন্টেনা-  Arnica  montana :  যে-কোন  ধরনের  আঘাত, থেতলানো, মচকানো, মোচড়ানো,  ঘুষি,  লাঠির  আঘাত  বা  উপর  থেকে  পড়ার  কারণে  ব্যথা  পেলে  আর্নিকা  খেতে  হবে।  শরীরের  কোন  একটি  অঙ্গের  বেশী  ব্যবহারের  ফলে  যদি  তাতে  ব্যথা  শুরু  হয়,  তবে  আর্নিকা  খেতে  ভুলবেন  না।  আক্রান্ত  স্থানে  এমন  তীব্র  ব্যথা  থাকে  যে,  কাউকে  তার  দিকে  আসতে  দেখলেই  সে  ভয়  পেয়ে  যায় (কারণ  ধাক্কা  লাগলে  ব্যথার  চোটে  তার  প্রাণ  বেরিয়ে  যাবে)।  রোগী  ভীষণ  অসুস্থ  হয়েও  মনে  করে  তার  কোন  অসুখ  নেই,  সে  ভালো  আছে।  উপরের  লক্ষণগুলোর  কোনটি  থাকলে  যে-কোন  রোগে  আর্নিকা  প্রয়োগ  করতে  পারেন।

 ৭)**মার্ক সল- Mercurius  solubilis:  মার্ক  সল  ঔষধটির  প্রধান  প্রধান  লক্ষণ  হলো  প্রচুর  ঘাম  হয়  কিন্তু  রোগী  আরাম  পায়  না,  ঘামে  দুর্গন্ধ  বা  মিষ্টি  গন্ধ  থাকে,  কথার  বিরোধীতা  সহ্য  করতে  পারে  না,  ঘুমের  মধ্যে  মুখ  থেকে  লালা  ঝরে,  পায়খানা  করার  সময়  কোথানি,  পায়খানা  করেও  মনে  হয়  আরো  রয়ে  গেছে,  অধিকাংশ  রোগ  রাতের  বেলা  বেড়ে  যায়।  রোগী  ঠান্ডা  পানির  জন্য  পাগল।  ঘামের  কারণে  যাদের  কাপড়ে  হলুদ  দাগ  পড়ে  যায়,  তাদের  যে-কোন  রোগে  মার্ক  সল  উপকারী।  এটি  আমাশয়ের  এক  নম্বর  ঔষধ।  উপরের  লক্ষণগুলো  থাকলে  যে-কোন  রোগে  মার্ক  সল  প্রয়োগ  করতে  পারেন।

 ৮)**জেলসেমিয়াম- Gelsemium  sempervirens :  জেলসিমিয়ামের  প্রধান  প্রধান  লক্ষণ  হলো  রোগীর  মধ্যে  ঘুমঘুম  ভাব  থাকে  বেশী,  রোগী  অচেতন-অজ্ঞান-বে‍ঁহুশের  মতো  পড়ে  থাকে,  দেখা  যাবে  গায়ে  প্রচণ্ড  জ্বর  অথচ  রোগী  নাক  ডেকে  ঘুমাচ্ছে,  মাথা  ঘুড়ানি  থাকে,  শরীর  ভারভার  লাগে,  মাত্রাতিরিক্ত  দুর্বলতার  কারণে  রোগী  নড়াচড়া  করতে  পারে  না  এবং  একটু  নড়াচড়া  করতে  গেলে  শরীর  কাঁপতে  থাকে,  ওপর  থেকে  পড়ে  যাওয়ার  ভয়  এবং  হৃৎপিন্ড  বন্ধ  হয়ে  যাওয়ার  ভয়,  সাহসহীনতা,  শরীরের  জোর  বা  মনের  জোর  কম  হওয়া,  ইত্যাদি  লক্ষণ  আছে।  পরীক্ষার  বা  ইন্টারভিউর  পূর্বে  বেশী  উৎকন্ঠিত  হলে  Argentum  nitricum  অথবা  Gelsemium (শক্তি  ৩০)  এক  মাত্রা  খেয়ে  নিতে  পারেন।

৯)**হিপার সালফ-  Hepar  sulph‍:  হিপার  সালফের  প্রধান  প্রধান  লক্ষণ  হলো  এরা  সাংঘাতিক  সেনসেটিভ (over-sensitiveness),  এতই  সেনসেটিভ  যে  রোগাক্রান্ত  স্থানে  সামান্য  স্পর্শও  সহ্য  করতে  পারে  না,  এমনকি  কাপড়ের  স্পর্শও  না।  কেবল  মানুষের  বা  কাপড়ের  স্পর্শ  নয়,  এমনকি  ঠান্ডা  বাতাসের  স্পর্শও  সহ্য  করতে  পারে  না।  সাথে  সাথে  শব্দ (গোলমাল)  এবং  গন্ধও  সহ্য  করতে  পারে  না।  হিপারের  শুধু  শরীরই  সেনসেটিভ  নয়,  সাথে  সাথে  মনও  সেনসেটিভ।  অর্থাৎ  মেজাজ  খুবই  খিটখিটে।  ইহা  সাধারণত  ফোড়া, ঘা,  ক্ষত  ইত্যাদি  অর্থাৎ  ইনফেকশান  দূর  করার  জন্য  এন্টিবায়োটিক  হিসাবে  বেশী  ব্যবহৃত  হয়ে  থাকে ।  তবে  লক্ষণ  থাকলে  যে-কোন  রোগে  হিপার  প্রয়োগ  করতে  পারেন ।

 ১০)**ফসফরাস- Phosphorus :  ফসফরাসের  প্রধান  প্রধান  লক্ষণ  হলো  এই  রোগীরা  খুব  দ্রুত  লম্বা  হয়ে  যায় (এবং  এই  কারণে  হাঁটার  সময়  সামনের  দিকে  বেঁকে  যায়),  অধিকাংশ  সময়  রক্তশূণ্যতায়  ভোগে,  রক্তক্ষরণ  হয়  বেশী,  অল্প  একটু  কেটে  গেলেই  তা  থেকে  অনেকক্ষণ  রক্ত  ঝরতে  থাকে,রোগী  বরফের  মতো  কড়া  ঠান্ডা  পানি  খেতে  চায়,মেরুদন্ড  থেকে  মনে  হয়  তাপ  বেরুচ্ছে,  একা  থাকতে  ভয়  পায়,  হাতের  তালুতে  জ্বালাপোড়া  ইত্যাদি  ইত্যাদি  লক্ষণ  থাকলে  যে-কোন  রোগে  ফসফরাস  প্রয়োগ  করতে  হবে। 

১১)**নাক্স ভুমিকা-  Nux  vomica :  যারা  অধিকাংশ  সময়ে  পেটের  অসুখে-বদহজমে  ভোগে,  বদমেজাজী,  ঝগড়াটে,  বেশীর  ভাগ  সময়  শুয়ে-বসে  কাটায়,  কথার  বিরোধীতা  সহ্য  করতে  পারে  না  এবং  অল্প  শীতেই  কাতর  হয়ে  পড়ে,  এটি  তাদের (জ্বর-কাশি-ডায়েরিয়া-আমাশয়-রক্তআমাশয়-পেটব্যথা-মাথাব্যথা-বুকেব্যথা-শ্বাসকষ্ট প্রভৃতি)  ক্ষেত্রে  ভালো  কাজ  করে।  অধিকাংশ  রোগ  রাতের  বেলা  বেড়ে  যায়।  পান-সিগারেট-মদ-গাজা-ফেনসিডিল-হিরোইন  দীর্ঘদিন  সেবনে  শরীরের  যে  ক্ষতি  হয়,  নাক্স  ভমিকা  তাকে  পুষিয়ে  দিতে  পারে।  পাশাপাশি  এটি  মদ-ফেনসিডিলের  নেশা  ছাড়তে  ব্যবহার  করতে  পারেন।  লক্ষণ  মিলে  গেলে  এটি  জ্বর,  আমাশয়,  পেটব্যথা,  নিদ্রাহীনতা,  কোষ্টকাঠিন্য,  গ্যাস্ট্রিক  আলসার,  হিস্টেরিয়া,  খিচুনি,  ধনুস্টংকার,  পাইলস,  দুর্বলতা,  ক্ষুধাহীনতা,  প্যারালাইসিস,  ধ্বজভঙ্গ  বা  যৌন  দুর্বলতা  প্রভৃতি  রোগের  একটি  শ্রেষ্ট  ঔষধ  গণ্য  হতে  পারে। 

১২)**পালসেটিলা-  Pulsatilla  pratensis :  পালসেটিলার  প্রধান  প্রধান  লক্ষণ  হলো  গলা  শুকিয়ে  থাকে  কিন্তুকোন  পানি  পিপাসা  থাকে  না,ঠান্ডা  বাতাস-ঠান্ডা  খাবার-ঠান্ডা  পানি  পছন্দ  করে,  গরম-আলো-বাতাসহীন  বদ্ধ  ঘরে  রোগীনী  বিরক্ত  বোধ  করে  ইত্যাদি  ইত্যাদি।  আবেগপ্রবন,  অল্পতেই  কেঁদে  ফেলে  এবং  যত  দিন  যায়  ততই  মোটা  হতে  থাকে,  এমন  মেয়েদের  ক্ষেত্রে  পালসেটিলা  ভালো  কাজ  করে।এসব  লক্ষণ  কারো  মধ্যে  থাকলে  যে-কোন  রোগে  পালসেটিলা  খাওয়াতে  হবে।  বাতের  ব্যথা  ঘনঘন  স্থান  পরিবর্তন  করলে  পালসেটিলা  খেতে  হবে  (যেমন- সকালে  এক  জায়গায়  ব্যথা  তো  বিকালে  অন্য  জায়গায়।)।  মাসিক  বন্ধ  থাকলে  পালসেটিলা  সেটি  চালু  করতে  পারে।  ঘি-চবি  জাতীয়  খাবার  খেয়ে  যে-কোন  রোগ  হলে  পালসেটিলা  অবশ্যই  খাবেন।এটি  নারী-পুরুষ  উভয়ের  যৌন  উত্তেজনা  বৃদ্ধি  করতে  পারে।  গর্ভবতী  মেয়েদের  প্রায়  সকল  সমস্যাই  পালসেটিলা  দূর  করে  দিতে  পারে।  প্রসব  ব্যথা  বাড়িয়ে  দিয়ে  পালসেটিলা  প্রসবকাজ  দ্রুতগতিতে  সম্পন্ন  করতে  পারে।পালসেটিলা  বুকের  দুধ  বৃদ্ধি  করতে  পারে।  এমনকি  গর্ভস্থশিশুর  পজিশন  ঠিক  না  থাকলে  তাও  ঠিক  করে  দেওয়ার  মতো  অলৌকিক  ক্ষমতা  পালসেটিলার  আছে।

১৩)**ক্যান্থারিস-  Cantharis :  জ্বালা-পোড়া  এবং  ছিড়ে  ফেলার  মতো  ব্যথা  হলো  ক্যান্থারিসের  প্রধান  লক্ষণ।  প্রস্রাবে  জ্বালাপোড়া  এবং  ঘনঘন  প্রস্রাবের  সমস্যায়  ইহা  একটি  যাদুকরী  ঔষধ।  ভীষণ  জ্বালাপোড়া  থাকলে  যে-কোন  রোগে  ক্যান্থারিস  ব্যবহার  করতে  পারেন।  এটি  জলাতঙ্ক  রোগের  একটি  শ্রেষ্ট  ঔষধ।  এটি  যৌন  উত্তেজনা  বৃদ্ধি  করে  থাকে  ভীষণভাবে।  কোন  জায়গা  পুড়ে  গেলে  একই  সাথে  খাওয়ান  এবং  পানির  সাথে  মিশিয়ে  পোড়া  জায়গায়  লাগান।  এটি  পেটের  মরা  বাচ্চা,  গর্ভফুল  বের  করে  দিতে  পারে  এবং  বন্ধ্যাত্ব  নির্মূল  করতে  পারে।

 ১৪)**কোলোসিন্থ- Colocynthis :  পেটের  ব্যথা  যদি  শক্ত  কোন  কিছু  দিয়ে  পেটে  চাপ  দিলে  অথবা  সামনের  দিকে  বাঁকা  হলে  কমে  যায়,  তবে  কলোসিন্থআপনাকে  সেই  ব্যথা  থেকে  মুক্ত  করবে।কলোসিনে’র  ব্যথা  ছুরি  মারার  মতো  খুবই  মারাত্মক  ধরণের  অথবা  মনে  হবে  যেন  দুটি  পাথর  দিয়ে  পেটের  নাড়ি-ভূড়িগুলোকে  কেউ  পিষতেছে।  যে-কোন  রোগের  সাথে  যদি  এরকম  চিড়িক  মারা  পেট  ব্যথা  থাকে,  তবে  কলোসিন্থেসেই  রোগ  সেরে  যাবে (হউক  তা  ডায়েরিয়া-আমাশয়  অথবা  টিউমার)।  রেগে  যাওয়া,  অপমানিত  হওয়া,  ঝগড়া-ঝাটি,  ফল-ফ্রুট  খাওয়া,  ঠান্ডা  পানি  পান  করা  ইত্যাদি  কারণে  ডায়েরিয়া  হলে  তাতে  কলোসিন্থ  খেতে  হবে।

১৫)**থুজা অক্সিডেন্টাল-  Thuja  occidentalis : সোরিক ,সিফিলিটিক ও সুগভীর সাইকোটিক ।তিনটি দোষের সমন্বয়যুক্ত এই ঔষধটি দোষঘ্ন চিকিৎসা ক্ষেত্রে একটি সুদৃঢ স্তম্ভ বিশেষ । সাইকোসিস দোষের উপরই ইহার ক্রিয়া সর্বাধিক , কাজেই সাইকোসিস দোষজ ঔষধসমূহের মধ্যে থুজা শীর্ষমণিরুপে অভিহিত হইবার যোগ্য । সাইকোসিস দোষজাত যত প্রকার মনোবৃত্তি আছে ,তাহার সমস্ত ইহাতে বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যায় । মানব মনের বুদ্ধিবৃত্তির সুদৃঢ লৌহকপাটটিকে বিপর্যস্ত করিয়া নানা প্রকার কাল্পনিক ধারনা ও ভ্রান্ত অনুভূতি সৃষ্টি করাই ইহার মুখ্য উদ্দেশ্য এবং ইহাই থুজার বৈশিষ্ট্যজনক মানসিক লক্ষণ । সংক্ষিপ্ত চিত্র । সাইকোটিক শ্রেণীভূক্ত ঔষধসমূহের মধ্যে অনুভবাত্বক লক্ষণে থুজাই শ্রেষ্টত্বই সর্বাধিক । বহু প্রকার অবান্তর ও অসত্য অনুভূতিই ইহাতে বর্তমান । থুজার সমস্যাদৃশ্যযুক্ত লক্ষণসমুহ চাপা দেওয়ার ফলে সাইকোসিস দোষযুক্ত বহু রোগীই পাগল হয়ে থাকে । নানা প্রকার জান্তব বিষ এবং পেয়াজ ,রসুন ইত্যাদির কুফলে থুজার দ্বারা প্রতিষেধিত হয় ,আবার ঐ বস্তগুলির দ্বারাই থুজার ক্রিয়াও নষ্ট হয় কাজেই ঐ সকল বস্তুসমুহ থুজার সহিত প্রতিষেধক ও শক্রতাভাবাপন্ন এই দুই প্রকার সমন্ধেই আবদ্ধ, একথা মনে রাখিতে হয় ।  যে-কোন  টিকা (বিসিজি,  ডিপিটি,  পোলিও,  এটিএস  ইত্যাদি)  নেওয়ার  কারণে  জ্বর  আসলে  অথবা  অন্য  যে-কোন (মামুলি  অথবা  মারাত্মক  ধরণের)  রোগ  হলে  সেক্ষেত্রে  থুজা  একটি  অতুলনীয়  ঔষধ।যে-কোন  টিকা  নেওয়ার  সময়  পাশাপাশি  রোজ  তিনবেলা  করে  থুজা  খান,  তাহলে  সেই  টিকার  ক্ষতিকর  পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া  থেকে  বাঁচতে  পারবেন।  জ্বরের  মধ্যে  কেউ  যদি  ‘উপর  থেকে  পড়ে  যাওয়ার’  স্বপ্ন  দেখে,  তবে  সেটি  যেই  নামের  জ্বরই  হোক  না  কেন,  থুজা  তাকে  নিরাময়  করে  দিবে।  আঁচিল  বা  মেঞ্জের  এক  নম্বর  ঔষধ  হলো  থুজা।  গনোরিয়া  রোগে  এবং  মাসিকের  সময়  ব্যথা  হলে  থুজা  সবচেয়ে  ভালো  ঔষধ।  প্রস্রাবের  অধিকাংশ  সমস্যা  থুজায়  নিরাময়  হয়ে  যায়।  নরম  টিউমার  ইহাতে  আরোগ্য  হয়।  যে-সব  রোগ  বর্ষাকালে  বা  ভ্যাপসা  আবহাওয়ার  সময়  বৃদ্ধি  পায়, সে-সব  রোগে  থুজা  খান।

১৬)**হাইপেরিকাম-  Hypericum  perforatum :  যে-সব  আঘাতে  কোন  স্মায়ু  ছিড়ে  যায়,  তাতে  খুবই  মারাত্মক  ব্যথা  শুরু  হয়  যা  নিবারণে  হাইপেরিকাম  খাওয়া  ছাড়া  গতি  নেই।  শরীরের  সপর্শকাতর  স্থানে  {যেমন- ব্রেন  বা  মাথা,  মেরুদন্ড,  (পাছার  নিকটে)  কণ্ডার  হাড়ে,  আঙুলের  মাথায়,  অণ্ডকোষে  ইত্যাদিতে}  আঘাত  পেলে  বা  কিছু  বিদ্ধ  হলে,  তাতে  হাইপেরিকাম  খেতে  দেরি  করবেন  না।আঘাত  পাওয়ার  স্থান  থেকে  প্রচণ্ড  ব্যথা  যদি  চারদিকে  ছড়াতে  থাকে  বা  খিঁচুনি  দেখা  দেয়  অথবা  শরীর  ধনুকের  ন্যায়  বাঁকা  হয়ে  যায় (ধনুষ্টঙ্কার),তবে  হাইপেরিকাম  ঘনঘন  খাওয়াতে  থাকুন।  (তবে  যে-সব  ক্ষেত্রে  পেশী  এবং  স্নায়ু  দুটোই  আঘাত  প্রাপ্ত  হয়েছে  বলে  মনে  হয়,  তাতে  আর্নিকা  এবং  হাইপেরিকাম  একত্রে  মিশিয়ে  খেতে  পারেন।)  হাইপেরিকাম  খেতে  পারলে  আর  এটিএস  ইনজেকশন  নেওয়ার  কোন  দরকার  হবে  না।

১৭)**কেমোমিলা-  Chamomilla  :  যদি  ব্যথার  তীব্রতায়  কোন  রোগী  দিগ্‌বিদিক  জ্ঞানশূণ্য  হয়ে  পড়ে, তার  ভদ্রতাজ্ঞানও  লোপ  পেয়ে  যায়,  সে  ডাক্তার  বা  নার্সকে  পযর্ন্ত  গালাগালি  দিতে  থাকে;  তবে  তাকে  ক্যামোমিলা  খাওয়াতে  হবে।ক্যামোমিলা  হলো  অভদ্র  রোগীদের  ঔষধ।  স্কুলের  শিক্ষকদের  হাতে  শিশুরা  মার  খাওয়ার  ফলে,  অপমানিত  হওয়ার  কারণে,  শারীরিক-মানসিক  নিরযাতনের  ফলে  কোন  রোগ  হলে  ক্যামোমিলা  খাওয়াতে  ভুলবেন  না।যারা  ব্যথা  একদম  সহ্য  করতে  পারে  না,  ক্যামোমিলা  হলো  তাদের  ঔষধ।  যে-সব  মেয়েরা  প্রসব  ব্যথায়  পাগলের  মতো  হয়ে  যায়,  তাদেরকে  এটি  খাওয়াতে  হবে।  গরম  কিছু  খেলে  যদি  দাঁত  ব্যথা  বেড়ে  যায়,  তবে  ক্যামোমিলা  প্রযোজ্য।  ডায়েরিয়া  বা  আমাশয়ের  পায়খানা  থেকে  যদি  পঁচা  ডিমের  গন্ধ  আসে,  তবে  এটি  খাওয়াতে  হবে।  শিশুদের  দাঁত  ওঠার  সময়ে  পেটের  অসুখ  হলে  ক্যামোমিলা  খাওয়াবেন।  কোন  শিশু  যদি  সারাক্ষণ  কোলে  ওঠে  থাকতে  চায়,  তবে  তাকে  যে-কোন  রোগে  ক্যামোমিলা  খাওয়ালে  তা  সেরে  যাবে।

১৮)**প্লান্টেগো মেজোরা  Plantago  Major :  দাঁত,  কান  এবং  মুখের  ব্যথায়  প্লানটাগো  মেজর  এমন  চমৎকার  কাজ  করে  যে,  তাকে  এক  কথায়  যাদু  বলাই  যুক্তিসঙ্গত।একদিন  পত্রিকায়  দেখলাম,  একজন  প্রখ্যাত  সাংবাদিকের  দাঁতব্যথা  সারাতে  না  পেরে  ডেন্টিস্টরা  শেষ  পযর্ন্ত  একে  একে  তাঁর  ভালো  ভালো  চারটি  দাঁতই  তুলে  ফেলেছেন।  আহা !  বেচারা  ডেন্টিস্টরা  যদি  প্লানটাগো’র  গুণের  কথা  জানত,  তবে  প্রবীণ  এই  সাংবাদিকের  দাঁতগুলো  শহীদ  হতো  না।

১৯)**লিডাম পাল-  Ledum  palustre :  সূচ,  আলপিন,  তারকাটা,  পেরেক,  টেটা  প্রভৃতি  বিদ্ধ  হলে  ব্যথা  কমাতে  এবং  ধনুষ্টঙ্কার / খিচুনি  ঠেকাতে  লিডাম  ঘনঘন  খাওয়ান।পক্ষান্তরে  ধনুষ্টঙ্কার  দেখা  দিলে  বা  আক্রান্ত  স্থান  থেকে  তীব্র  ব্যথা  শরীরের  বিভিন্ন  দিকে  যেতে  থাকলে  এবং  শরীর  ধনুকের  মতো  বাঁকা  হয়ে  গেলে  হাইপেরিকাম (Hypericum  perforatum)  ঘনঘন  খাওয়াতে  থাকুন।   চোখে  ঘুষি  বা  এই  জাতীয়  কোনো  আঘাত  লাগলে  লিডাম  এক  ঘণ্টা  পরপর  খেতে  থাকুন।  ইদুর  এবং  পোকার  কামড়ে  লিডাম  খেতে  হবে।এটি  উকুনের  একটি  শ্রেষ্ট  ঔষধ,  তেল  বা  পানির  সাথে  মিশিয়ে  ব্যবহার  করতে  পারেন।  বাতের  ব্যথায়  উপকারী  বিশেষত  যাদের  পা  দুটি  সব  সময়  ঠান্ডা  থাকে।  আঘাতের  স্থানে  কালশিরা  পড়া  ঠেকাতে  অথবা  কালশিরা  পড়লে  তা  দূর  করতে  লিডাম  খেতে  পারেন।

২০)**ক্যাম্ফোরা-  Camphora :  ক্যাম্ফরা  হলো  শেষ  মুহূর্তের  ঔষধ।  কোন  রোগের  কারণে  অথবা  কোন  দুর্ঘটনার  ফলে  যদি  কেউ  মৃত্যুর  কাছাকাছি  পৌঁছে  যায়,  তবে  তাকে  মৃত্যুর  হাত  থেকে  রক্ষা  করতে  ঘনঘন  ক্যাম্ফরা  খাওয়াতে  থাকুন।  যখনই  কেউ  অজ্ঞান  হয়ে  যায়,  হাত-পা  বরফের  মতো  ঠান্ডা  হয়ে  যায়  কিন্তুতারপরও  সে  কাপড়-চোপড়  গায়ে  দিতে  চায়  না,  রক্তচাপ  কমে  যায়,  কপালে  ঠান্ডা  ঘাম  দেখা  দেয়,  নিঃশ্বাস  গভীর  হয়ে  পড়ে,  তখন  বুঝতে  হবে  তার  মৃত্যু  খুবই  নিকটে।  সেক্ষেত্রে  মৃত্যুর  হাত  থেকে  বাঁচাতে  ঘনঘন  ক্যামফরা  খাওয়াতে  থাকুন।  অন্যকোন  হোমিও  ঔষধে  রিয়েকশন  করলে  ক্যামফরা  খেতে  থাকুন ;  কেননা  এটি  শতকরা  নব্বই  ভাগ  হোমিও  ঔষধের  একশান  নষ্ট  করে  দিতে  পারে।হঠাৎ  কোনো  কারণে  হৃৎপিন্ডের  ক্রিয়া  বন্ধ  হওয়ার  উপক্রম  হলে  বা  অত্যধিক  বুক  ধড়ফড়ানি  শুরু  হলে  ক্যাম্ফরা  পাঁচ  মিনিট  পরপর  খাওয়াতে  থাকুন।  এটি  পুরুষদের  যৌনশক্তি  বৃদ্ধি  করতে  পারে।

২১)**টিক্রিয়াম এম- Teucrium  Marum  verum :  টিউক্রিয়াম  হলো  সবচেয়ে  নিরাপদ  এবং  কাযর্কর  ক্রিমির  ঔষধ।  ছেলে-বুড়ো  সকলেই  এটি  খেতে  পারেন।  রোজ  দুই/তিন  বার  করে  দুই/তিন  দিন  খাওয়া  উচিত।  নাক  বন্ধ  হয়ে  থাকলে,  নাকের  পলিপ (নরম  টিউমার)  এবং  জরায়ুর  পলিপ  ইত্যাদি  ক্ষেত্রে  টিউক্রিয়াম  প্রযোজ্য।

২২)**এলিয়াম সিপা - Allium  cepa :  পেয়াজের  রস  থেকে  তৈরী  করা  এলিয়াম  সেপা  নামক  ঔষধটি,  ক্লার্কের  মতে,  হোমিওপ্যাথিতে  সর্দির  সবচেয়ে  ভালো  ঔষধ।  সর্দির  সাথে  জ্বর,  মাথাব্যথা  অথবা  স্বরভঙ্গ  থাকলেও  এটি  খেতে  পারেন।

২৩)**ইউপ্যাটোরিয়াম-  Eupatorium  perfoliatum :  ইউপেটোরিয়াম  পারফো  নামক  ঔষধটি  প্রধানত  ডেঙ্গু  জ্বরে  ব্যবহৃত  হয়।  তবে  যে-কোন  জ্বরে  এটি  খেতে  পারেন  যদি  তাতে  ডেঙ্গু  জ্বরের  মতো  প্রচণ্ড  শরীর  ব্যথা  থাকে।  জ্বরের  মধ্যে  যদি  শরীরে  এমন  প্রচণ্ড  ব্যথা  থাকে  যেন  মনে  হয়  কেউ  শরীরের  সমস্ত  হাড়  পিটিয়ে  গুড়োঁ  করে  দিয়েছে।  পানি  বা  খাবার  যাই  পেটে  যায়  সাথে  সাথে  বমি  হয়ে  যায়।আইসক্রীম  বা  ঠান্ডা  পানি  খেতে  ইচ্ছে  হয়।  রোগী  খুবই  অস্থির  থাকে,  এক  মুহূর্ত  স্থির  হয়ে  বসতে  পারে  না।  ইনফ্লুয়েঞ্জা  বা  সিজনাল  ভাইরাস  জ্বরেও  যদি  প্রচণ্ড  শরীর  ব্যথা  থাকে  তবে  ইউপেটোরিয়াম  খেতে  হবে।

 ২৪)**ক্যালকেরিয়া ফস- Calcarea  Phosphorica :  ক্যালকেরিয়া  ফস  শিশু  এবং  বৃদ্ধদের  জন্য  পৃথিবীর  সেরা  একটি  ভিটামিন।  মায়ের  পেট  থেকে  শুরু  করে  মৃত্যু  পযর্ন্ত  এটি  খেয়ে  যাওয়া  উচিত।  সাত  দিন  বা  পনের  দিন  পরপর  একমাত্রা  করে  খাওয়া  উচিত।  গর্ভকালীন  সময়ে  খেলে  আপনার  সন্তানের  হাড়,  দাঁত,  নাক,  চোখ,  ব্রেন  ইত্যাদির  গঠন  খুব  ভালো  হবে  এবং  আপনার  সন্তান  ঠোক  কাটা,  তালু  কাটা,  হাড়  বাঁকা,  খোঁজা,  বামন,  বুদ্ধি  প্রতিবন্ধি  প্রভৃতি  দোষ  নিয়ে  জন্মনোর  হাত  থেকে  রক্ষা  পাবে।  এটি  শিশুদের  নিয়মিত  খাওয়ালে  তাদের  স্বাস্থ্য  ভালো  থাকবে  এবং  অসুখ-বিসুখ  কম  হবে।  যে-সব  শিশুদের  মাথার  খুলির  হাড়  ঠিক  মতো  জোড়া  লাগেনি,  তাদেরকে  অবশ্যই  ক্যালকেরিয়া  ফস  খাওয়াতে  হবে।  নাকের,  পায়খানার  রাস্তার  এবং  জরায়ুর  পলিপ  বা  নরম  টিউমার  এই  ঔষধে  দুর  হয়ে  যায়।  হাড়  ভেঙে  গেলে  ক্যালকেরিয়া  ফস  দ্রুত  জোড়া  লাগিয়ে  দেয়।  কোন  শিশু  বিরাট  বড়  মাথা  নিয়ে  জন্মালে (hydrocephalus)  অথবা  জন্মের  পরে  মাথা  বড়  হয়ে  গেলে,  ক্যালকেরিয়া  ফস  তার  এক  নম্বর  ঔষধ।  রোগের  কথা  চিন্তা  করলে  যদি  রোগের  উৎপাত  বেড়ে  যায়,  তবে  তাতে  এই  ঔষধ  প্রযোজ্য।  এটি  টনসিলের  সমস্যা  এবং  মুখের  ব্রণের  সেরা  ঔষধ।যাদের  ঘনঘন  সর্দি  লাগে,  তারা  অবশ্যই  এই  ঔষধ  খাবেন।  ডায়াবেটিসের  এটি  একটি  শ্রেষ্ট  ঔষধ।  শিশুদের  দাঁত  ওঠার  সময়  অবশ্যই  ক্যালকেরিয়া  ফস  খাওয়ানো  উচিত। এটি  নারী-পুরুষদের  যৌন  ক্ষমতা  বৃদ্ধি  করে  থাকে।

২৫)**কোকুলাস ইন্ডিকা-  Cocculus  Indicus :  ককুলাস  হলো  মাথা  ঘুরানির  এক  নম্বর  ঔষধ।ককুলাসের  প্রধান  লক্ষণ  হলো  মাথার  ভেতরটা  ফাঁপা  বা  হালকা  মনে  হয়।  সড়ক-রেল-সমুদ্র  ভ্রমণজনিত  সমস্যায়  (মাথাঘুরানি-বমিবমি  ভাব  ইত্যাদিতে)  এটি  খেতে  পারেন।  ঠিক  মতো  ঘুম  না  হলে  অথবা  রাত  জেগে  কাজ  করার  ফলে  পরদিন  যে-সব  সমস্যা  হয়,  তাতে  ককুলাস  সবচেয়ে  ভালো  কাজ  করে।  তেল  বা  পানির  সাথে  মিশিয়ে  চুলে  মেখে  কিছুক্ষণ  পর  চুল  ধুয়ে  ফেললে  অথবা  পাতলা  চিরুনি  দিয়ে  আচড়ালে  উকুঁন  সাফ  হয়ে  যাবে।

পুরুষের জন্য ডিম

পুরুষরা ডিমের সাদা অংশটি খেয়ে ডিমের কুসুম খান না। কিন্তু পুরুষদের জন্য বিশেষ উপকারী কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে ডিমের কুসুমে, যা অনেকেই জানেন না। চলুন জেনে নেয়া যাক উপকারিতাগুলো।
১। ডিমের কুসুমে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডস থাকে, যা ছেলেদের স্পার্ম কাউন্ট বাড়াতে সাহায্য করে।
২। কুসুমে অতিরিক্ত পরিমাণে কপার থাকে, যা ছেলেদের টাক পড়া রোধ করে।
৩। কুসুমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকায় ছেলের মাংসপেশি এবং অ্যাবস শক্তিশালী হয়।
৪। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকায় ডিমের কুসুম খেলে হাড় শক্ত হয়।
৫। ডিমের কুসুমে কোলিন থাকে, যা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৬। কুসুমে প্রচুর মাত্রায় আয়রন থাকায় তা অ্যানিমিয়া রোধে সাহায্য করে।
৭। ডিমের কুসুমে ভিটামিন-ই থাকে, যা ছেলেদের ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করে।
৮। কুসুমে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস থাকে, যা খেলে দাঁত এবং মাড়ি মজবুত হয়।
৯। ক্যানসার প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও ডিমের কুসুম উপকারী। কারণ এতে ভিটামিন কে থাকে।

হোমিওপ্যাথিক ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, সতর্কতা এবং নিষেধাজ্ঞাঃ-



★★★অনেকে ইনবক্স করেন ঔষধের বর্ননা দিলেন সতর্কতা দিলেন না।তাদের কথা মাথায় রেখেই বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে আজকের পোষ্টটি।আশা করি সবাই সংগ্রহ করে রাখবেন।

★★★কষ্টিকাম (Causticum) ঔষধটিকে কখনও ফসফরাসের (Phosphorus) আগে বা পরে ব্যবহার করবেন না ।

★★★বিশেষত Sulphur, Silicea, Psorinum, Phosphorus, Lachesis, Kali carb, Graphities, Carcinosinum, Zincum নামক ঔষধগুলি ভুলেও উচ্চশক্তিতে খাবেন না । কেননা এতে রোগ বেড়ে যেতে
পারে মারাত্মকভাবে এবং তাছাড়াও অন্য ধরণের বিরাট ক্ষতি হয়ে যেতে পারে । এজন্য প্রথমে নিম্নশক্তিতে (৩০, ২০০) ব্যবহার করে উপকৃত হলেই কেবল প্রয়োজনে উচ্চশক্তিতে প্রয়োগ করতে পারেন ।

★★★লাইকোপোডিয়াম (Lycopodium) নিম্নশক্তিতে দীর্ঘদিন ভুল প্রয়োগে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে । এমনকি মৃত্যু পযর্ন্ত হতে পারে ।

★★★হ্যানিম্যানের মতে, সালফারের ( Sulphur ) পূর্বে ক্যালকেরিয়া কার্ব ( Calcarea
Carbonica ) ব্যবহার করা উচিত নয় । ( এতে শরীর মারাত্মক দুর্বল হয়ে যেতে পারে )।

★★★ক্যাল্কেরিয়া কার্ব ( Calcarea Carbonica ) এবং ব্রায়োনিয়া ( Bryonia alba ) শত্রুভাবাপন্ন
( inimical ) ঔষধ । কাজেই এই দুটিকে কাছাকাছিসময়ে একটির আগে বা পরে অন্যটিকে ব্যবহার করা নিষেধ ।

★★★মার্ক সল ( Mercurius solbulis ) এবং সিলিশিয়া ( Silicea ) ঔষধ দুটির একটিকে অপরটি ( কাছাকাছি সময় ) আগেবা পরে ব্যবহার করাউচিত নয় ।

★★★ জ্বরের উচ্চ তাপের সময় নেট্রাম মিউর ( Natrum mur ) ঔষধটি প্রয়োগ করা নিষেধ।

★★★ক্যাল্কেরিয়া কার্ব ( Calcarea Carbonica )ঔষধটি সালফার বা নাইট্রিক এসিডের ( Nitricumacidum ) পূর্বে ব্যবহার করা নিষেধ ।

★★★ লিডাম ( Ledum ) খেয়ে সৃষ্ট দুর্বলতার চিকিৎসায় চায়না ব্যবহার করা ক্ষতিকর ।

★★★ কোন রোগীর যদি নিদ্রাহীনতা থাকে তবে তাকে রাতের বেলা সালফার ( Sulphur )দিতে পারেন । পক্ষান্তরে যেই রোগী ভালো ঘুমায়, তাকে সকাল বেলায় সালফার খাওয়ানো উচিত । কেননা রাতের বেলা সালফার দিলে তার ঘুমে অসুবিধা হতে পারে ।

★★★নাক্স ভমিকা ( Nux vomica ) রাতে এবং সালফার সকালে দিতে পারেন যদি তাদের সম্পূরক ( complementary ) ক্রিয়া প্রত্যাশা করেন ।

★★★ বাম ফুসফুসের ব্যথায় ফসফরাস ( Phosphorus ) ঔষধটি ঘন ঘন প্রয়োগ করা বিপদজ্জনক । কেননা এতে রোগীর তাড়াতাড়ি যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

★★★মেডোরিনাম ( Medorrhinum ) ঔষধটি হৃদরোগীদেরকে কখনও উচ্চশক্তিতে দিতে নাই । এতে করে তার হৃদরোগ বৃদ্ধি পেয়ে মৃত্যুর সম্ভাবনা আছে । প্রথমে ২০০ শক্তিতে প্রয়োগ করে তারপর সহ্য শক্তি অনুযায়ী উপরের শক্তি প্রয়োগ করা যেতে পারে ।

★★★ কলিনসোনিয়া ক্যান ( Collinsonia Canadensis ) ঔষধটি হৃদরোগীদের ক্ষেত্রে কখনও নিম্নশক্তিতে প্রয়োগ
করতে নাই ।

★★★ Apis, Lac defloratum, Gossipium,Pinus lamb, Viscum album ইত্যাদি ঔষধ গর্ভবতীদের দেওয়া নিষেধ ।কেননা এতে গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে ।

★★★সিলিশিয়া ( Silicea ) ঔষধটি কারো কোন অপারেশনের ছয়মাসের মধ্যে ব্যবহারনিষিদ্ধ । অন্যথায় সেখানে ঘা / পূঁজ হয়ে জোড়া ছুটে যেতে পারে ।

★★★কয়েকদিন যাবত অচেতন রোগীদেরকে জিংকাম মেট ( Zincummetallicum ) দিতে হয় । কিন্তু ভুলেও এক মাত্রার বেশী দিবেন না ।

"""" জর্জ ভিথুলকাসের মতে, কোন রোগীর মধ্যে যদি কোন একটি ঔষধের ১০০ ভাগ লক্ষণ পাওয়া যায়, তবে সেই রোগীকে সেই ঔষধটি নিম্নশক্তিতে খাওয়ানো তাকে হত্যা করার সমতুল্য""" কাজেই আপনার রোগীর লক্ষণের সাথে যদি আপনার নির্বাচিত ঔষধটির লক্ষণ যদি অনেক মিল থাকে, তবে ভূলেও ৩০ শক্তির নীচে প্রয়োগ করবেন না ।

"""সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পেতে হলে জানতে হবে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ/নির্দেশনা
ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা  উচিত নয়"""

প্রচলিত কিছু ভুল ধারনা

1. প্রস্রাব করার পর পুরুষের শরীর ঝাঁকি দেয়,
সেটা শরীরের একটা স্বাভাবিক কার্য। কারন আমরা জানি- পুরুষের টুনটুনির (পুরুষাঙ্গ) দুই কাজ ,  ইউরিনেশন ও জননাঙ্গ ।তাই এক কার্য করতে গেলে আরেক কার্যের গেট বন্ধ করা লাগে। তাই প্রস্রাবের রাস্তার মাঝে সেই গেট বা ইউরেথ্রাল ভাল্ভ থাকে । যখন প্রস্রাব শেষ হয় , তখন ঐ ভাল্ভ ক্লোজ হয় এবং ইউরেথ্রাল অবশিষ্ট ইউরিনকে বের করতে পুরো শরীরের একটা মিনিমাম খিঁচুনি ভাব হয় । প্রস্রাবের বেগ থাকলে সেইবার বেশী হয় এমন। যা আমাদের অটোনমিক নার্ভাস সিস্টেম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। একে “পোস্ট মিকচুরিশন কনভালশন”  ও বলা হয়ে থাকে। যা শরীরেরর জন্য খুবি স্বাভাবিক মেকানিজম। 

একে যদি কেউ রোগ বলে তাবিজ ব্যবসা করে তাকে জোচ্চুরি ছাড়া কিছু বলা যায় না।

2 .ঠান্ডা পানিতে নামলে শরীর কাঁপে । এটাও
আমাদের শরীরের জন্য একটা প্রোটেক্টিভ
উপায়। কারন হঠাৎ অতিরিক্ত ঠান্ডায় গেলে
আমাদের শরীরের তাপমাত্রা খুব দ্রুত কমে যায়।
কিন্তু আমাদের শরীরের তাপমাত্রা কন্ট্রোল
হয় ব্রেইনের হাইপোথ্যালামাস দিয়ে।

হাইপোথ্যালামাস তাপমাত্রা ব্যালেন্স করার জন্য
শরীরের কিছু মেজানিজম চালু করে। তার মধ্যে
একটা হলো – “ফিভারিং বা ইনভলান্টারি মাসল কন্ট্রাকশন” । 

আমরা জানি মাসল কন্ট্রাকশনে যে এনার্জি তৈরি হয়, তা হিট বা তাপমাত্রায় রূপান্তরিত হয়। যা আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায় । সুতরাং
অনেক ঠান্ডায় শরীর কাঁপা শরীরের নরমাল
ফিজিওলজি। কেউ যদি শরীরে নরমাল ঘটনাকে রোগ সাজিয়ে চিকিৎসা করে তার পাছা এসিড দিয়া পোড়াই দেয়া উচিত।। 

3. সবচেয়ে মারাত্মক জোচ্চুরি করে যেই গোপন বিষয়টা নিয়ে সেটা হলো- 'যৌন দূর্বলতা" র
দোহাই । কারন তারা আপনাকে এমন কিছু উদাহরণ দিবে,

 সেটা শুনার পর “আপনার নিজেকে দুনিয়ার
সবচেয়ে দূর্বল পুরুষ মনে হবে”। 

ঐ সব ব্যবসায়ী হকাররা প্রথমে আপনার ব্রেইন ওয়াশ করে নিবে , পরে পকেট কেটে নিবে।

আমাদের দেশে যেহেতু উন্নত বিশ্বের মত
সেক্স এডুকেশন সিস্টেম নাই, সুতরাং মানব
শরীরের যৌন ধারনা আসে বন্ধুর গল্প, পর্ন মুভি
ও কিছু বই ইন্টারনেট ঘেটে। এতে করে সব
কিছুই মুভিকে স্ট্যান্ডার্ড মনে করে । মুভিতে
নায়ক দুই ঘন্টা সক্ষম, কিন্তু বাস্তবে দুই মিনিট
সক্ষম না। তার মানে এখানেই দূর্বলতা আছে
ভেবেই ভিড়ে ঐ ভন্ডদের কাছে। আর ঐ
ভন্ডরাও মানুষের মাইন্ড রিড করে ওখানেই আঘাত করে। দূর্বল প্রমাণ করেই ছাড়ে আপনাকে।

4 . “প্রিম্যাচুর ইজাকুলেশন” এর ভয় ৯৯% পুরুষ মানুষের মনে। তারা ভাবে "পর্ন সিনেমা" ঘন্টা খানেক, কিন্তু নিজের বেলায় কয়েক মিনিটের। ।তাইলে নিশচয়  নিজের দূর্বলতা আছে।

এমনকি বিয়ে করতে ভয় পাচ্ছেন ইত্যাদি দোহাই
ঠেলে দেয়। কিন্তু মেডিকেল সাইন্স বলে
প্রিম্যাচুর ইজাকুলেশনের সংজ্ঞাও দিয়ে
দিয়েছেন। international Classification  of disease -10 অনুযায়ী – সেক্সুয়াল
ইন্টারকোর্সের সময় ১৫ সেকেন্ডের কম
হলে তাকে প্রিম্যাচুর বলে। তবে ইন্টারন্যাশনাল
ইউরোলজি স্ট্যান্ডার্ড টাইম হলো ৪-৮ মিনিট । এই

ভ্রান্ত ধারনার জন্য লাখো কোটি মানুষ ভুল চিকিৎসা নিচ্ছেন । অপ্রয়োজনে ডাক্তারের পিছনে দৌড়াচ্ছেন, অকারনে ডিপ্রেশনে আছেন, আংটি তাবিজের ব্যবসাকে রমরমা করে দিচ্ছেন । অথচ সুস্থ্য শরীরকে মানসিক রোগী বানাচ্ছেন ফ্রি। 

সুতরাং- সবাই নিজে সচেতন হতে ও আশে
পাশের মানুষকে ভ্রান্ত ধারনা হতে মুক্তি পেতে
সাহায্য করুন। ব্যাখ্যার প্রয়োজনে কিছু সেন্সরড
শব্দ ব্যবহারের জন্য দুঃখিত। সবাই ক্ষমাসুন্দর
দৃষ্টিতে দেখবেন।

রোগীলিপি প্রস্তুতকরণ



কেইস রেকর্ডকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করে করা যেতে পারে :
১) বর্তমান(পা থেকে মাথা পর্যন্ত সব সমস্যা)।
২)অতীত (সারাজীবনে রোগী যে সকল রোগে আক্রান্ত হয়েছে তার বিবরণ,টিকা, মানসিক ও শারীরিক আঘাত,অপারেশন,আগুনে পোড়া,সাপ ও কুকুরের কামড়,ধারালো কিছুতে কেটে যাওয়া,বিষ খাওয়া ইত্যাদি)।
৩) বংশ (রক্তের সম্পর্কীয় সবার কার কি রোগ আছে বা ছিল)।
৪) মানসিক (ইচ্ছাবৃত্তি,বুদ্ধিবৃত্তি,স্মৃতিশক্তি,স্বপ্ন)।
৫)সার্বদৈহিক (শারীরবৃত্তীয় কার্যক্রমসমূহ যেমন-ঘাম,ঘুম,লালা,মল,মূত্র,ক্ষুধা,পিপাসা,কাতরতা,
খাদ্য-ইচ্ছা,অনিচ্ছা,অসহ্য,হ্রাস বৃদ্ধি,ব্যথার ধরণ,ঋতুস্রাবের প্রকৃতি ইত্যাদি )।
----এভাবে উল্লেখিত পাঁচ ধাপে সহজেই সম্পূর্ণ 
রোগীলিপি প্রস্তুত করা সম্ভব হয়।
এটি গেল রোগীলিপির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা।নিচে একটি রোগীলিপির ফরম বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
কেস হিস্ট্রি 
কেইস নং-
বর্তমান 
তারিখ :
রোগীর নাম :
বয়স :
মোবাইল :
উচ্চতা :
গায়ের রং :
শারীরিক গঠন :
পেশা :
রক্তচাপ :
পালস :
পিতা/স্বামীর নাম :
বিবাহিত না অবিবাহিত :
সন্তান/সন্ততির সংখ্যা (নরমাল/সিজার) :
চুলের রং :
ওজন :
ধর্ম :
বর্তমান সমস্যাগুলো কী কী? 
১. 
২. 
৩. 
৪. 
৫. 
৬. 
৭. 
৮. 
৯. 
১০.
কতদিন যাবৎ ভুগছেন ?
রোগের শুরু কিভাবে হয়?
রোগের কারণ কী?
উত্তেজক ও পরিপোষক কারণ,মানসিক আঘাত,ভয়,মৃত্যু ,প্রেমে ব্যর্থতা ,পরীক্ষায় ফেল,ব্যবসায় লস,দুর্ঘটনা,অপারেশন,
কোন রোগের পর,বিষাক্ত খাদ্য খাওয়া,টীকা,তেল,
মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া,ভুল ঔষধ খাওয়া,রাসায়নিক ঔষধ গ্রহণ,সময়মতো না ঘুমানো,ইলেকট্রনিক গেজেট ব্যবহার করা।
রোগ কখন,কিসে,কি খেলে বাড়ে ?-চাপলে,ঘষলে,টাই 
পড়লে,দড়ি পেচালে,বসলে,
শুইলে,দাড়ালে,
হাটলে,নির্দিষ্ট ঋতুতে বা ঋতুর পরিবর্তনে,
ঘুমে,খালিপেটে,
ভরাপেটে,বদ্ধরুমে থাকলে,খোলা জায়গায় গেলে,উদ্বিগ্নতার সময়।
রোগ কখন,কিসে,কি করলে,কি খেলে কমে ?
রোগের যন্ত্রণার ধরণ কেমন এবং কিভাবে এর মোকাবেলা করেন ?
রোগ বৃদ্ধির সময় আপনার কেমন অনুভূতি হয় ?
শারীরিক এবং মানসিক কোন ধরণের বিকৃতি এবং অসুবিধা আছে কিনা ?
মাথা : 
ব্যথা,গরম,
জ্বালাপোড়া,
মাথাঘোরা,বমিবমিভাব,টাক,চুলপড়া,
খুসকি,উকুন।
চোখ : 
চোখ উঠা,ছানি,
গ্লুকোমা,চোখে কালি পড়া,পাতা নাচা,অঞ্জনি,কম দেখা,নালিঘা,চোখ লাল,এলার্জি,চোখে আঘাত,দিনকানা,
রাতকানা,টেরা চক্ষু,চোখে ব্যথা,চোখ করকর করা,চোখ দিয়ে পানি পড়া,চোখে পিচুটি জমা।
নাক : 
সাইনুসাইটিস,
পলিপাস,নাক বন্ধ,কোল্ড এলার্জি,সর্দি,হাচি,
কাশি,সামান্যতেই ঠান্ডা লাগা,শ্বাসপ্রশ্বাসে দুর্গন্ধ,নাকের হাড়ে ক্ষত,নাক দিয়ে রক্তপাত,নাকের স্রাবের ধরণ- আঠালো,পাতলা,রং হলুদ,সাদা।নাক ডাকা,ঘ্রাণশক্তি কম,
ফ্যার্রংজাইটীস।
কান :
মুখ : 
দুর্গন্ধ,জিহ্বায় ক্ষত,টনসিলাইটিস,
আলজিহ্বা ফোলা,তোৎলা,বোবা,মাঢ়ী থেকে রক্ত পড়ে।
 স্বাদ -লোনা,তিতা,ঝাল।
জিহ্বা : 
কম্পমান জিহ্বা,লাল টকটকে জিহ্বা,জিহ্বায় ঘা ও ফাটল।
দাত :
দন্তক্ষয় (আগা থেকে/গোড়া থেকে)।দাতে ব্যথা,দাগ,দাতের বিন্যাস ও আকৃতি (করাতের মতো,এলোমেলো)।দাত ভঙ্গুর।
গলা : 
ব্যথা,ঢোক গিলতে অসুবিধা,গলায় কাটা ফুটে থাকার অনুভূতি, গলায় গোলা/বল/ঢিবলির মতো কিছু আটকে আছে এমন অনুভব।গলগন্ড,স্বরভঙ্গ,গলনালী সংকোচন,ক্ষত,
হাইপোথাইরয়েডিজম।
বুক :
ব্যথা,চাপবোধ,
ভারীবোধ,শূণ্যবোধ,যক্ষ্মা,ফুসফুস ও হার্টের সমস্যা,সৃষ্ট শব্দ।পানি ও শ্লেষ্মা জমা,গড়গড় আওয়াজ,
পালপিটেশন,
ব্রেস্টে সমস্যা,নিপল ফাটা-ভেতরের দিকে ঢুকে যাওয়া,ব্যথা,চাকা।
পিঠ :
ব্যথা,মেরুদন্ডে সমস্যা ও ব্যথা,বিকৃতি,মেরুদন্ডের যে কোন অংশে
সমস্যা।
চর্ম :
দাদ,একজিমা,
আচিল,টিউমার।ফাটা,শুষ্ক,আর্দ্র,তেল চকচকে।
পেট এবং কোমর :
ব্যথা,সাইড,লিভার,কিডনি,মৃত্রনালী,পাকস্থলী,
প্যনক্রিয়াস,গলব্লাডার,বায়ুজমা,গ্যাস্টাইটিস,বদহজম,ঢেকুর উঠা,এপেনডিসাইটিস,পেটে
জল জমা,আলসার।
হাত-পা :
জ্বালাপোড়া,ব্যথা,
আঙ্গুল হাড়া,নখকুনি,কড়া,
একজিমা,সোরাইসিস,
নখ-ভঙ্গুর-ক্ষয়প্রাপ্ত,এবড়ো থেবড়ো।
পুরুষ জননাঙ্গ :
স্ক্রুটামে সমস্যা,ফোলা,অন্ডকোষ শক্ত,নরম।পেনিসে অসুবিধা।পেনিসের সমস্যা,
উত্থানে দুর্বল।
স্ত্রী জননাঙ্গ :
প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া,ওভারীতে সিস্ট,জরায়ুতে টিউমার,ভ্যাজাইনা শুষ্ক,স্যাঁতস্যাঁতে।
ইউটেরাইন প্রোলাপস।
শারীরিক অবস্থা :
দুর্বল,সবল,সিড়ি বেয়ে উঠানামায় কষ্ট,পরিশ্রম করতে পারেনা।
রোগীর বাসস্থান :
শুকনো,স্যাঁতস্যাঁতেভাব,সাগর তীরে,পাহাড়ে,ডোবা ও নর্দমার পাশে,বস্তি    
এলাকায়,রাস্তার পাশে কোলাহল ও ধুলিময় স্থানে,বাসায় বন্যার পানি উঠে কিনা,অপরিচ্ছন্ন কিনা,আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা আছে কিনা,রাসায়নিক কারখানার কারখানার পাশে কিনা।
অতীত:
গর্ভে থাকাকালীন সময়ে মায়ের যে সকল শারীরিক ও মানসিক অসুবিধা,দুর্ঘটনা এবং রোগ ছিল তার বিবরণ এবং কি কি চিকিৎসা হয়েছিল তার বিবরণ।
জন্ম হওয়া থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত রোগী যে সকল রোগ হয়েছিল তার নাম,ভোগকাল,ধরণ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত।
যেমন-চুলকানি,
পাচড়া,দাদ,
একজিমা,
নিউমোনিয়া,
টাইফয়েড,যক্ষ্মা,হাম,কালাজ্বর,পক্ষাঘাত,উন্মাদ,আচিল,
ক্যান্সার, আলসার,ফোড়া,
ফিস্টুলা, 
ইরিসিফেলাস,বাগী,
যৌনরোগ।-সিফিলিস,গণোরিয়া,
প্রস্রাবে ইনফেকশন,বসন্ত,
বাত,জন্ডিস,প্লুরিসি,
হাইপারটেনশন,ম্যালেরিয়া,
কুষ্ঠ,যক্ষা,আমাশয়,
গলস্টোন,রেনাল স্টোন,পাইলস।
মানসিক আঘাত আছে কিনা ?-প্রেমে ব্যর্থতা,পরীক্ষায় ফেল,ব্যবসায়ে আর্থিক ক্ষতি,অপমানের কুফল,ডিভোর্স,নিকট জনের মৃত্যু,তীব্র আতংকিত হওয়া বা ভয়
পাওয়ার ইতিহাস।
শারীরিক আঘাত আছে কিনা ?
একসিডেন্ট,হাড় ভাঙা, মচকে যাওয়া,হাড়ে ফাটল,অপারেশন,ধারালো কিছু দিয়ে কেটে যাওয়া,পুড়ে যাওয়া,লাঠির আঘাত,গুলির আঘাত,মাথায় আঘাত,মেরুদন্ডে আঘাত,বিষ খাওয়ার ইতিহাস,কুকুর-সাপ-বিড়াল এবং মৌমাছি ভীমরুলসহ বিষাক্ত পোকামাকড় 
কামড়ের  ইতিহাস।
টীকা নেওয়ার ইতিহাস ও দাগ (D.P.T,পোলিও ও অন্যান্য)।
এক্সরে ও বৈদুতিক শকের ইতিহাস।
বংশ :
বংশে কার কি রোগ আছে তার বিবরণ।
ম্যালেরিয়া,জন্ডিস,হাপানী,নিউমোনিয়া,যক্ষ্মা,ডায়াবেটিস,
স্ট্রোক,হার্ট ডিজিজ,বাত ব্যথা,চর্মরোগ,উন্মাদ,প্রতিবন্ধি,আত্মহত্যা,মানসিক রোগ।
মা-
বাবা-
ভাই-
বোন-
দাদা-
দাদি-
নানা-
নানি-
চাচা-
ফুপু-
মামা-
খালা-
চাচাতো/ফুপাতো/মামাতো/খালাতো ভাইবোন-
মানসিক লক্ষণ :
১.স্বভাব :
রাগী/শান্ত-রাগের ধরণ।-কতক্ষণ থাকে,কেন রাগে,রাগলে কী করতে ইচ্ছে হয় ?
ভাঙতে,মারতে,
কাটতে,আগুন লাগিয়ে দিতে,গালি দিতে,খুন করতে,নিজেকে আঘাত করতে।
রাগলে কেমন প্রতিক্রিয়া হয় ?
কান্না করে,শরীর কাপে,ঝগরাটে,
গালিগালাজপূর্ণ।
শান্তনায় রাগ বাড়ে নাকি কমে ?
খিটখিটে মেজাজ।
২.স্মরণশক্তি প্রখর,ভুলে যায়- নাম,ঠিকানা,
বাজারের লিস্ট,পড়া।
 ৩.ভয়- মৃত্যুভয়,অপমানের ভয়,কুকুর,সাপ,
বিড়াল,পোকামাকড়,তেলাপোকা,ইদুর,
অন্ধকার,জীনভূত,
একা থাকলে,পরীক্ষাভীতি,পুলিশ,রক্ত,
বজ্রপাতে,সুইভীতি।
৪.বুদ্ধি- বেশি,কম,চালাক,
সৃজনশীল,বোকা,
উদাসীন,সচেতন।
৫.প্রধান চিন্তা ও দুশ্চিন্তাসমূহ- যে সকল বিষয় নিয়ে রোগী বেশি ভাবে,যে চিন্তাগুলো বারবার মনে আসে,যে সকল বিষয় নিয়ে রোগী বারবার দুশ্চিন্তা করে এবং মানসিক চাপে থাকে।
৬.দয়ালু/নিষ্ঠুর- দানশীল,
সহানুভূতিশীল,
অতিথি আপ্যায়ন করে,ক্ষমা করে,ক্ষমায় শর্ত দেয়,অহংকারী,
একগুয়ে,মানুষ ও পশুপাখিকে কষ্ট দেয়,গালি দেয়।
৭.সাহসী/ভীতুপ্রকৃতির/লাজুকতা/প্রতিবাদ।
৮.ইনট্রোভারটেড/এক্সট্রোভারটেড/লোকসঙ্গ চায় নাকি অপছন্দ করে।
৯.Honest/Dishonest.
১০.অলস/কর্মঠ।
১১.প্রফুল্ল/বিষন্ন/হাসিমুখ-মুচকি হাসে, উচ্চশব্দে হাসে,ক্রন্দনশীল।
১১.কথা বেশি বলে (বাচাল)/কথা কম বলে/চাপাস্বভাব/গম্ভীর/গোপনপ্রিয়।
১২.মিথ্যা বলার অভ্যাস আছে কিনা/সত্যবাদী।
১৩.ঘরমুখী/ভ্রমণের ইচ্ছা।
১৪.মনে কোন ধরণের চাপা কষ্ট বিরাজ করছে কিনা?করলে সেটি কোন বিষয়ে?
১৫.হিসেবী/বেহিসেবী।
১৬.আত্মহত্যার ইচ্ছা।
১৭.সন্দেহপরায়ণ,
হিংসুক।
১৮.কথাবার্তা এবং পোষাক শালীন/অশালীন।
১৯.প্রেম এবং যৌনতা।যৌনজীবন সম্পর্কে হতাশা।
২০.অতিপরিষ্কার নাকি নোংরা।
গোছালো/অগোছালো।
২১.গান বাজনায় প্রতিক্রিয়া কেমন?
সঙ্গীতপ্রিয়।
২২.ধর্মের প্রতি আসক্তি কেমন?ধর্মোম্মাদ।
২৩.
আশংকাপরায়ণতা।
২৪.ধীরগতির/দ্রুত কাজকর্ম করে,দ্রুত হাটে,লিখে বা কথা বলে।
২৫.ডেলুশন বা ভ্রান্তি :
নিজেকে বড় মনে করে,পেছনে কেউ আসছে মনে করে,কেউ তাকে নিয়ন্ত্রণ করছে মনে করে,কাল্পনিক শব্দ এবং নির্দেশ শুনে,শরীরে ময়লা লেগে আছে মনে করে ,দুর্গন্ধ পায়।
জীন ভূত দেখে,সাপ দেখে।
চর্তুদিকে বিষ ও কীটনাশক ছড়ানো আছে দেখে।
২৬.ড্রীম-
প্রাণী,বিড়াল,কুকুর,সাপ,চোর,ডাকাত,
ভূত,পানি,গাছ,নদী,সমুদ্র,আকাশে উড়া,পুলিশ,খুন,
অগ্নিকান্ড,ঝড়,বৃষ্টি,
দৈনন্দিন কাজকর্ম,মৃত মানুষ ও আত্মীয়স্বজন,যৌনতা,
একই স্বপ্ন বারবার।
২৭.হতাশা ও অস্থিরতা।
২৮.রোগী নিজের মনের কথাটা কতটা জোড়ালোভাবে প্রকাশ করতে পারে নাকি ভাব প্রকাশে অক্ষম।
বদঅভ্যাস :
১. ধূমপান।
২. মদ্যপান।
৩. পতিতালয়ে যাওয়া।
৪.হস্তমৈথুন করা।
৫. পর্ণগ্রাফি দেখা।
৬. রাত্রি জাগরণ করা।
৭. সবসময় ফাস্ট ফুড খাওয়া।
৮. দীর্ঘ সময় অভুক্ত থাকা।
৯. নিয়মিত গোসল না করা।
১০. সারাক্ষণ ইলেকট্রনিক গ্যাজেট     
ব্যবহার করা।
সার্বদৈহিক :
ঘাম : বেশি,কম,অনুপস্থিত।দেহের কোন অংশে ঘাম হয়?গন্ধ,বর্ণ।
ঘুম : যে পজিশনে ঘুমায়,দাত কাটে,এপাশ ওপাশ করে কিনা,নাক ডাকে কিনা,অনিদ্রা,
তাড়াতাড়ি ঘুম ভেঙে যায় কিনা।
লালা : কখন লালা পড়ে ?
মল : কতদিন পরপর ? শক্ত /নরম,খাওয়ার পরে, ধরণ ? প্রথমে শক্ত,পরে নরম ?প্রথমে নরম,পরে শক্ত ?
মূত্র : বেশি,কম,ঘনঘন।প্রস্রাবের সময় ও আগে বা পরে যন্ত্রণা।গন্ধ,দুর্গন্ধ,ঝাঝালো গন্ধ,প্রস্রাবে পুজ বের হয়।
ক্ষুধা : কম/বেশি।ক্ষুধা কখন লাগে ? প্রতিক্রিয়া কেমন হয় ?-গা কাপে,মাথা ঘুরায়,দুর্বল লাগে,মেজাজ খারাপ হয়।
পিপাসা : আছে,নেই,বেশি।
কাতরতা/Thermal relation : গরমকাতর /শীতকাতর /উভয়কাতর।
খাদ্য :মাছ,মাংস,ডিম,দুধ,চর্বি,
পিয়াজ,রুটি,চা,কফি,
অখাদ্য।
-পছন্দ :
-অপছন্দ :
-অসহ্য :শাক,দুধ,চর্বি,আলু,চিনি।
স্বাদ :টক,ঝাল,মিষ্টি,তিতা,লবণ।
-পছন্দ :
-অপছন্দ :
ঋতুস্রাব : অনিয়মিত,নিয়মিত,
কতদিন,স্রাবের পরিমাণ,বর্ণ,গন্ধ,বেদনা।
ব্যথার ধরণ :
হ্রাস :
বৃদ্ধি :

গর্ভকালীন সময়ে হোমিও চিকিৎসা এবং এ্যালপ্যাথি চিকিৎসার অবস্থা

গর্ভকালীন সময়ে হোমিও চিকিৎসা এবং এ্যালপ্যাথি চিকিৎসার অবস্থা
ডাঃ বশীর মাহমুদ ইলিয়াস
মহিলারা গভর্ধারণ করলে আর রক্ষা নাই । গাইনী ডাক্তাররা তাদেরকে পায়খানা, প্রস্রাব, রক্ত, এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাম, এমআরআই, সিটিস্ক্যান ইত্যাদি ইত্যাদি এক বস্তা টেস্ট করতে দিবেন । কিন্তু কেন ? গভর্ধারণ করা কি কোন অপরাধ ? ববরর্তার একটা সীমা থাকা দরকার ! তারপর দিবে এক বস্তা ঔষধ / ইনজেকশান / ভ্যাকসিন, মাসের পর মাস খেতে থাক ! কেন ? এখন আমরা তো সবাই স্বচক্ষেই দেখি, জিওগ্রাফী / ডিসকভারী টিভি চেনেলগুলোতে, গরু-ছাগল-হরিণ-বাঘ-সিংহ-হাতি সবাই গর্ভধারণ করছে এবং সুস্থ-সুন্দর বাচ্চা জন্ম দিচ্ছে । কই, তাদের তো গাইনী ডাক্তারদের কাছেও যেতে হয় না, এক বস্তা টেস্টও করতে হয় না, মাসকে মাস ঔষধও খেতে হয় না কিংবা সিজারিয়ান অপারেশানও লাগে না । হাস্যকর কিছু বললাম ? না, আসলে আত্মিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক দিক থেকে আমরা ভিন্ন হলেও জৈবিক দিক দিয়ে কিন্তু পশু-পাখিদের সাথে আমাদের কোন পার্থক্য নাই ।
এবার আসা যাক গর্ভকালীন সময়ে ঔষধ খাওয়া প্রসংগে । অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে গর্ভবতীদেরকে ভিটামিন, ক্যালশিয়াম, আয়রণ, ফলিক এসিড ইত্যাদি খাওয়ানো হয় বস্তায় বস্তায় । তাদের সমস্ত ঔষধই এতবেশী ক্ষতিকর সাইড-ইফেক্টযুক্ত যে, তারা সেগুলো গর্ভবতীদের খাওয়াতে সাহস পায় না । ফলে তারা এসব ভিটামিন, ক্যালশিয়াম, আয়রণ, ফলিক এসিড ইত্যাদি খাওয়াতে থাকে জম্মের মতো । যেহেতু তারা এগুলোকে গর্ভবতীদের জন্য নিরাপদ মনে করে থাকেন । তবে এসব ঔষধের কারণে গর্ভবতী ও গর্ভস্থ শিশুর কি কি ক্ষতি হয়, তা জানার কোন উপায় নেই । কারণ প্রথমত বড় বড় ঔষধ কোম্পানীগুলো সাধারণত তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থের কারণে ঔষধের ক্ষতিকর দিকটি প্রকাশ করে না । দ্বিতীয়ত তাদের এসব ঔষধ যেহেতু ইদুঁর-বাদর-খরগোস-গিনিপিগের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আবিষ্কার করা হয় ; কাজেই কোন ঔষধ ইদুঁর-বাদর-খরগোস-গিনিপিগের ক্ষতি করে না বলে মানুষেরও ক্ষতি করবে না- এমনটা বলা যাবে না । তাছাড়া বস্তা বস্তা ক্যালশিয়াম খাওয়া যে কিডনীতে পাথর ( Renal calculus ) হওয়ার একটি মূল কারণ, এটা আমরা অনেকেই জানি । এসব ভিটামিন, ক্যালশিয়াম, আয়রণ ইত্যাদি যেহেতু আমাদের দৈনন্দিন খাবারেই যথেষ্ট পরিমাণে থাকে, কাজেই ট্যাবলেট, ক্যাপসুল ইত্যাদি ঔষধ আকারে বস্তা বস্তা খেলে তাতে শরীরে এসব উপাদানের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্ঠি হওয়াই স্বাভাবিক । এসব ভারসাম্যহীনতার কারণেই সম্ভবত গভবতী মায়েদের পেটের পানির ( placenta fluid ) পরিমাণ কমে যায়, ঠিকমতো প্রসব ব্যথা উঠতে চায় না । ফলে সিজারিয়ান অপারেশনের ( Cesarean operation ) সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকে । এসব ভিটামিন, ক্যালশিয়াম, আয়রণ, ফলিক এসিড ইত্যাদি বস্তায় বস্তায় খাওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশী নগদ যে ক্ষতিটি প্রায়ই লক্ষ্য করা যায়, তাহলো এতে অধিকাংশ মহিলাই ভীষণ রকমে মোটা (obese ) হয়ে যান । আর এখনকার সকল চিকিৎসা বিজ্ঞানীই একমত যে, মোটা মানুষরা ( এযুগের প্রধান প্রধান ঘাতক রোগ ) ক্যানসার, হৃদরোগ ( heart disease ), হাঁপানী, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট এটাক, জয়েন্টে ব্যথা ( Arthritis ) ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হয় বেশী হারে ।

সে যাক, হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা গর্ভকালীন সময়ে বাধ্যতামূলকভাবে কোন ( ভিটামিন, আয়রণ, ক্যালশিয়াম জাতীয় ) ঔষধ খাওয়ানোর পক্ষপাতী নন । বিশেষত যাদের হজমশক্তি ভালো আছে এবং মাছ-গোশত-শাক-সবজি-ফল-মূল ইত্যাদি কিনে খাওয়ার মতো সামর্থ আছে, তাদের কোন ( ভিটামিন জাতীয় ) ঔষধ খাওয়ার প্রয়োজন নাই । তবে যে-সব গর্ভবতী মায়েরা শরীরিক-মানসিক দুর্বলতা, রক্তশূণ্যতা ইত্যাদিতে ভোগছেন, অথবা যারা অভাব-অনটনের কারণে প্রয়োজনীয় পুষ্ঠিকর খাবার-দাবার কিনে খেতে পারেন না কিংবা যারা পুষ্ঠিকর খাবার কিনে খেতে পারলেও শারীরিক ত্রুটির কারণে সেগুলো যথাযথভাবে শরীরে শোষিত ( absorption ) হয় না, তাদেরকে ক্যালকেরিয়া ফস ( Calcarea phos ), ফেরাম ফস ( Ferrum phos ), ক্যালি ফস ( Kali phos ), লিসিথিন ( Lecithinum ) ইত্যাদি হোমিও ভিটামিন / টনিক জাতীয় ঔষধগুলো নিম্নশক্তিতে ( 6X ) অল্প মাত্রায় খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন । এই ঔষধগুলি মানব শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয় ক্যালশিয়াম, আয়রণ, পটাশিয়াম এবং ফসফরাস সরবরাহ করে থাকে । পাশাপাশি এই ঔষধগুলো আমাদের শরীরকে এমনভাবে গড়ে তোলে যাতে আমাদের শরীর নিজেই তার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্ঠিকর উপাদানগুলো আমাদের দৈনন্দিন খাবার থেকে শোষণ করার / গ্রহন করার যোগ্যতা লাভ করে ।
গর্ভকালীন সময়ে খেলে এই ঔষধগুলো আপনার গভর্স্থ সন্তানের হাড় ( bone ), দাঁত ( teeth ), নাক ( nose ), চোখ ( eye ), মস্তিষ্ক ( brain ) ইত্যাদির গঠন খুব ভালো এবং নিখুঁত করতে সাহায্য করবে এবং আপনার সন্তান ঠোট কাটা ( harelip ), তালু কাটা ( cleft palate ), হাড় বাঁকা ( rickets ), খোঁজা ( epicene ), বামন ( dwarfish ), পিঠ বাঁকা ( Spina bifida ), বুদ্ধি প্রতিবন্ধি ( autism ), হৃদরোগ, চর্মরোগ, কিডনীরোগ প্রভৃতি দোষ নিয়ে জন্মনোর হাত থেকে রক্ষা পাবে । এই জন্য যাদের বংশে শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্দ্বি শিশু জন্মের ইতিহাস আছে, তাদের গর্ভকালীন সময় এই ঔষধগুলো অবশ্যই খাওয়া উচিত । ভিটামিন জাতীয় এই হোমিও ঔষধগুলো গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্যের এত চমৎকার যত্ন নেয় যে, এগুলো বেশ কয়েক মাস খেলে তাদের উচ্চ রক্তচাপ ( hypertension ), হাঁপানী ( asthma ), ডায়াবেটিস ( diabetes ), মাথাব্যথা, বমিবমিভাব, ছোটখাট জ্বর-কাশি, খিচুঁনি ( eclampsia ) ইত্যাদি রোগ এমনিতেই সেরে যায় । অন্যদিকে যাদের উচ্চ রক্তচাপ, হাঁপানী, ডায়াবেটিস, খিচুঁনি, ধনুষ্টংকার ইত্যাদি রোগ নাই, তারাও এই ঔষধ তিনটি খাওয়ার মাধ্যমে সে-সব রোগে আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে বাঁচতে পারবেন ।

ঔষধ চারটি একসাথে খাওয়া উচিত নয় ; বরং একটি একটি করে খাওয়া উচিত । যেমন- ক্যালকেরিয়া ফস সাত দিন, তারপর ফেরাম ফস সাত দিন, তারপর ক্যালি ফস সাত দিন, তারপর লিসিথিন সাতদিন – এইভাবে চক্রাকারে একটির পর একটি করে খান । সাধারণত 1X, 3X, 6X, 12X ইত্যাদি নিম্নশক্তিতে খাওয়া উচিত ; যেটি মার্কেটে পাওয়া যায় । ৫ টি বড়ি করে সকাল-বিকাল রোজ দুইবার করে খান । প্রয়োজন মনে করলে গর্ভকালীন পুরো দশ মাসই খেতে পারেন এবং সন্তানকে স্তন্যদানকালীন দুই বছরও খেতে পারেন । তবে মাঝে মধ্যে সাতদিন বা পনের দিন মধ্যবর্তী বিরতি দিয়ে খাওয়াও একটি ভালো রীতি । সহজ, আরামদায়ক এবং সিজারিয়ানমুক্ত ডেলিভারির জন্য কলোফাইলাম ( Caulophyllum thalictroides ) ঔষধটি ( ৩, ৬, ১২ ইত্যাদি নিম্নশক্তিতে ) প্রসবের দুইমাস পূর্ব ( অর্থাৎ‍ আট মাস ) থেকে ( ৫ বড়ি করে ) রোজ একবার করে খেয়ে যান । এটি গর্ভ রক্ষার অর্থাৎ গর্ভস্থ শিশুকে রক্ষার একটি শ্রেষ্ট ঔষধ । এটি গর্ভস্থ শিশুর চারদিকে পানির ( placenta fluid ) পরিমাণ সঠিক মাত্রায় বজায় রাখে এবং পানির পরিমাণ কমতে দেয় না, ফলে অধিকাংশ শিশু সিজারিয়ান অপারেশন ছাড়াই স্বাভাবিক পথে ( vaginal route ) জন্ম নিয়ে ‍থাকে । এমনকি যাদের কোমরের বা তলপেটের ( pelvic cavity ) গঠন ভালো নয় বলে ডাক্তাররা সিজার করতে বলে, তাদেরও দেখেছি শিশু এবং মায়ের কোন ক্ষতি ছাড়াই নরমাল ডেলিভারি হয়ে যায় । তাছাড়া অতীতে যাদের সিজার হয়েছে, তারাও কলোফাইলাম খেয়ে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিতে পারেন, নিজের এবং শিশুর কোন ক্ষতি ছাড়াই ।

কলোফাইলাম গর্ভপাতেরও ( abortion ) একটি উত্তম ঔষধ, যাতে ভুয়া প্রসব ব্যথা দেখা দিলে এটি প্রয়োগ করতে হয় । যাদের প্রতিবারই ( তৃতীয় ‍মাস, পঞ্চম মাস ইত্যাদি ) একটি নির্দিষ্ট সময়ে গর্ভ নষ্ট হয়ে যায়, তারা সেই নির্দিষ্ট সময়ের একমাস পূর্ব থেকেই অগ্রিম এই ঔষধটি খাওয়া শুরু করতে পারেন । অন্যদিকে ডেলিভারির জন্য খাওয়াবেন পালসেটিলা ( Pulsatilla pratensis ) নামক ঔষধটি । যদি ডেলিভারি ডেট অতিক্রান্ত হওয়ার পরও ব্যথা না ওঠে অথবা প্রসবব্যথা কম ওঠে অথবা ব্যথা একবার আসে আবার চলে যায়, তবে পালসেটিলা ( Pulsatilla pratensis ) নামক হোমিও ঔষধটি আধা ঘণ্টা পরপর খাওয়াতে থাকুন । এটি প্রসব ব্যথাকে বাড়িয়ে দিয়ে তাড়াতাড়ি প্রসব কাজ সমাধা করার ব্যাপারে একটি শ্রেষ্ঠ ঔষধ । এমনকি ডাক্তাররা যদি সিজারিয়ান অপারেশান করার জন্য ছুড়িতে ধার দিতে থাকে, তখনও আপনি পালসেটিলা খাওয়াতে থাকুন । দেখবেন ছুড়ি ধার হওয়ার পূবেই বাচ্চা নরমাল ডেলিভারি হয়ে গেছে । মনে রাখবেন, নরমাল ডেলিভারির কষ্ট থাকে দুয়েক দিন, কিন্তু সিজারিয়ান অপারেশানের কষ্ট দুয়েক বছরেও যায় না । ক্ষেত্রবিশেষে অপারেশানের কষ্ট সারাজীবনই ভোগ করতে হয় । শুধু তাই নয়, সন্তানের পজিশন যদি ঠিক না থাকে, তবে পালসেটিলা তাও ঠিক করতে পারে । শিশুর মাথা যদি উপরের দিকে অথবা ডানে-বামে ঘুরে থাকে, তবে দুয়েক মাত্রা পালসেটিলা খাওয়ালেই দেখবেন শিশুর মাথা ঘুরিয়ে অটোমেটিকভাবে নীচের দিকে নিয়ে এসেছে ।

তরুণ রোগের সাংঘাতিক প্রাণঘাতী অবস্থায় ও আকস্মিক দুর্ঘটনায় কয়েকটি ক্ষেত্রে

তরুণ রোগের সাংঘাতিক প্রাণঘাতী অবস্থায় ও আকস্মিক দুর্ঘটনায় কয়েকটি ক্ষেত্রে প্রয়োগযোগ্য ঔষধের একটি সংক্ষিপ্ত রেপাটারি এখানে তুলে দেওয়া হল – 
আক্ষেপ অবস্থায় ঔষধ খাওয়ান সম্ভব না হইলে ঘ্রান লওয়ানতেও কাজ হবে ।
======================================
★★ আক্ষেপ আবস্থায় একটি জিনিস দুটি দেখলে <> জেলস – ক্রম ৩০ ।
★★ শিরঃপীড়া বশতঃ আক্ষেপ <> গ্লোনোইন – ক্রম ৩০ । 
★★ সজ্ঞান অবস্থায় আক্ষেপ <> নাক্স ভম – ক্রম ২০০, ষ্ট্রামোনিয়ম – ক্রম ৩০, ২০০ ।
★★ মুত্র বন্ধ হয়ে যায় <> কুপ্রাম, ডিজিটেলিস, ওপিয়াম, প্লাম্বাম, টেরিবিস্থ, ষ্ট্রামোনিয়ম – ক্রম ৩০, ২০০ । 
★★ দাঁত উঠার সময় মুত্র রোধ হয়ে <> টেরিবিস্থ – ক্রম ৬ ।
★★ ঋতু রোধ হয়ে <> পালস, ক্যাল্কেরিয়া ফস – ক্রম ২০০ ।
★★ ভয় পেয়ে <> একোনাইট, আর্জেন্ট নাইট, ইগ্নেসিয়া, ওপিয়াম, হাইওসিয়ামাস – ক্রম ৩০, ২০০ ।
★★ ভয় পেয়ে শিশুর আক্ষেপ <> সিনা, ওপিয়াম, হাইওসিয়ামাস – ক্রম ৩০, ২০০ ।
★★ ব্যর্থপ্রেম জনিত <> হাইওসিয়ামাস, ইগ্নেসিয়া – ক্রম ২০০ ।
★★ রাত্রি জাগরণ জনিত ( উদ্বেগের সহিত ) <> নাক্স-ভম, ককুলাস – ক্রম ৩০, ২০০ । 
★★ ক্রিমি জনিত <> সিনা, সিকুটা, টেরিবিস্থ – ক্রম ২০০, ৩০ । 
★★ পেট ব্যথার সহিত <> এগারি, প্লাম্বাম – ক্রম ৩০ ।
★★ তিরস্কারের পর ( শিশুদের ) <> ক্যামোমিলা – ক্রম ৩০ , সিনা – ক্রম ২০০, ইগ্নেসিয়া – ক্রম ২০০ । 
★★ পুড়ে যাবার পর <> এমিল নাইট – ক্রম ৬ । 
★★ শোক দুঃখ জনিত <> ইগ্নেসিয়া, ওপিয়াম, হাইওসিয়ামাস – ক্রম ২০০ । 
★★ দাঁত উঠার সময় <> ক্যামোমিলা, ক্যাল্কেরিয়া কার্ব, বেল – ক্রম ৩০ ।
★★ দাঁত উঠার সময় বিনা জ্বরে <> সিকুটা, ক্যাল্কেরিয়া ফস, ম্যাগফস – ক্রম ৩০ ।
★★ আঘাতাদির পর <> হাইপেরিকাম, লিডাম, সিকুটা – ক্রম ৩০, ২০০ । 
★★ হঠাৎ নিদ্রাভঙ্গ হয়ে শিশুর চিৎকার ও কম্পন <> ইগ্নেসিয়া – ক্রম ৩০, ২০০ ।
★★ নিদ্রাভঙ্গে ভয়ে কাউকে চিনতে পারেনা, কাছের ব্যক্তিকে আঁকড়ে ধরে <> ষ্ট্রামোনিয়ম – ক্রম ২০০ ।
★★ গর্ভস্রাবের পর <> রুটা – ক্রম ৩০, ২০০ ।
★★ ক্রুদ্ধাজননীর স্তনপানের পর <> ম্যামোমিলা, নাক্স-ভম – ক্রম ৩০ ।
★★ শঙ্কিতা জননীর স্তনপান করে <> ওপিয়াম, হাইওসিয়ামাস – ক্রম ৩০, ২০০ ।
★★ আহারের পর শিশুর বমি ও আক্ষেপ <> হাইওসিয়ামাস – ক্রম ৩০ ।
★★ টীকা নেবার পর <> সাইলিসিয়া – ক্রম ২০০ । 
★★ নবজাতকের নাড়ী কাটবার পর <> হাইপেরিকাম, বেল – ক্রম ৩০, ২০০ ।
★★ নাড়ী কাটবার পর নাভি থেকে রক্তস্রাব <> এব্রোমা, ক্যাল্কে - ফস, ক্যাল্কেরিয়া কার্ব – ক্রম ৩০ ২০০ ।
★★ নাড়ী কাটবার পর ধনুষ্টঙ্কার <> হাইপেরিকাম, ইনাস্থি –ক্রোকেটা, নিকোটিনাম ( নিকোটিনামে শ্বাস-কষ্ট , নাড়ীলোপ ) – ক্রম ৩০, ২০০ ।
★★ কাজ করতে করতে হঠাৎ হাতে পায়ে খিল ধরা বা আক্ষেপ <> ম্যাগফস – ক্রম ৩০ ।
★★ বজ্রাঘাতের শব্দে <> জেলস – ক্রম ৩০ ।
★★ প্রবল জ্বরে শিশুর আক্ষেপ <> বেলেডোনা – ক্রম ৬, ৩০, এককাপ জলে ২/৩ দানা গলিয়ে ১৫ মিঃ অন্তর ১ চা চামচ এবং পায়ে গরম জল ও মাথায় ঠাণ্ডা জল প্রয়োগ । 


আঘাতজনিত ক্ষতের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হোমিওপ্যাথিক


যে কোন আকস্মিক দূর্ঘটনায়ও হোমিওপ্যাখিক চিকিৎসা কার্যকর।অনেকেই মনে করেন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা আস্তে কাজ করে।তাই ছোটখাট দূর্ঘটনায় বুঝি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ফলদায়ক হবে না্।তাদের ভুল ভাঙ্গাতে আমার এই লেখা।যে কোন আঘাত জনিত সমস্যায় দ্রুত আরোগ্য দিতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা কার্যকর।সঠিক সদৃশ ঔষধ নির্বাচন এক্ষেত্রে জরুরি।নিম্ন লিখিত ঔষধগুলোর প্রয়োগ বিধি জানা এক্ষেতে গুবই প্রয়োজন।ঘরে এই সকর ঔষধ থাকলে আপনি নিজেই প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে পারবেন।কোন প্রকার জটিলতা ছাড়াই আপনার আঘাতজনিত ক্ষত দ্রুত আরোগ্য হবে।

আঘাতজনিত ক্ষতের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সমুহের বিবরণঃ

There are many homeopathic remedy options to help heal cuts, scrapes, and other types of open wounds quickly and naturally. Choose from the remedies below the next time you or your family gets a cut or similar injury:

ক্যালেনডুলা(Calendula): open wounds with capillary bleeding (like in hands, feet, etc.) – use compression to stop flow of blood; raw, open, and inflamed wounds whenever fever is present; early stages of infection with whitish pus draining from closed wound.

একোনাইট নেপিলাস(Aconitum napellus)
This remedy can be helpful when a person feels extremely fearful or agitated after being injured. It may help to soothe anxiety and panic and reduce the chance of shock.

স্ট্যাফিসেগ্রিয়া(Staphysagria)
incisions, stab wounds, clean cuts; lacerations and incisions that are slow to heal; wounds and lacerations to globe of eye.

বেলিস পার(Bellis perennis)
This remedy is useful for injuries to the trunk and deeper tissues—as from falls, car accidents, surgery, etc. —especially if a feeling of stiffness or coldness develops in the injured area. If Arnica has been given for an injury—especially a strain or bruise—but has not had much effect, Bellis perennis may be helpful.

হাইপেরিকাম(Hypericum perforatum)
This remedy relieves sharp pain that seems to follow the nerve's path.

আর্ণিকা(Arnica montana)
This remedy relieves pain, bruising and swelling associated with trauma, surgery or overexertion.

ক্যালকেরিয়া ফস(Calcarea phosphorica)
This remedy is useful for bone bruises, old or slow-healing fractures, or any injury that leads to soreness in the bones, especially if the area feels cold or numb and improves with warmth. The muscles near the injury may ache or stiffen.

ইপিকাক( Ipecacuanha)
This remedy can be helpful as first aid if heavy bleeding occurs after an injury, with a feeling of nausea and weakness. (Emergency care is crucial when serious bleeding occurs; pressure should be applied to a severely bleeding wound, and medical help should be found immediately.)

লিডাম পাল(Ledum palustre)
This relieves bruises from blunt objects, especially where the skin is thin (around the eyes, fingers and toes), as well as pain and bruising from pointed objects.

মিলেফোলিয়াম(Millefolium)
Contusions or sprains that involve small broken blood-vessels and lead to bruiselike bleeding beneath the skin suggest the use of this remedy. It is often also useful for nosebleeds after injury, and for bleeding in other parts of the body (for instance, after childbirth or surgery).

ফসফরাস(Phosphorus)
When small wounds bleed easily, or a person has a tendency to bruise from minor injuries, this remedy can be helpful. It is also useful for nosebleeds.
রুটা(Ruta graveolens)
This remedy relieves strained ligaments and tendons.

সিম্ফাইটম(Symphytum)
This remedy is best known for its healing effect on broken bones, and is also good for bone-bruises. It is valuable if blunt injury occurs to the eyeball (from a rock, a stick, a flying object, etc.) Any injury to the eye or eyeball should be examined by a doctor.

সকল হোমিও ঔষধ

A
Abies-c. Abies canadensis.
Abies-n. Abies nigra.
Abrot. Abrotanum artemisia.
Absin. Absinthium.
Acet-ac. Acetic acid.
Acon. Aconitum napellus.
Acon-c. Aconitum cammarum.
Acon-f. Aconitum ferox.
Acon-l. Aconitum lycoctonum.
Act-sp. Actaea spicata.
Act-r. Actaea racemosa.
Adren. Adrenalin.
aesc. aesculus hippocastanum.
aesc-g. aesculus glabra.
aeth. aethusa.
Agar. Agaricus muscarius.
Agar-em. Agaricus emeticus.
Agn. Agnus castus. (Vitex.)
Ail. Ailanthus glandulosa.
Alco. Alcohol.
Alet. Aletris farinosa.
All-c. Allium cepa. (Cepa.)
All-s. Allium sativum.
Aloe Aloe socrotina.
Alst. Alstonia constricta.
Alum. Alumina.
Alum-sil. Alumina silicata. (Kaolin.)
Alumn. Alumen.
Ambr. Ambra grisea.
Am-be. Ammonium benzoicum.
Am-br. Ammonium bromatum.
Am-c. Ammonium carbonicum.
Am-caust. Ammonium causticum.
Am-m. Ammonium muriaticum.
Aml-n. Amylenum nitrosum.
Ammc. Ammoniacum.
Amph. Amphisbaena.
Amyg. Amygdalae amarae aqua.
Anac. Anacardium orientale.
Anag. Anagallis arvensis.
Anan. Anantherum muricatum.
Ang. Angustura vera.
Angel. Angelica atropurpurea.
Anil. Anilinum.
Anis. Anisum stellatum.
Ant-c. Antimonium crudum.
Anth. Anthemis nobilis.
Anthox. Anthoxanthum.
Anthr. Anthracinum.
Antif. Antifebrinum.
Antip. Antipyrinum.
Ant-s-a. Antimonium sulphuratum aureum.
Ant-t. Antimonium et potass. tartaricum.
Aphis Aphis chenopodii glauci.
Apis Apis mellifica.
Ap-g. Apium graveolens.
Apoc. Apocynum cannabinum.
Aqua-m. Aqua marina.
Aqua-pet. Aqua petra.
Aral. Aralia racemosa.
Aran. Aranea diadema.
Aran-s. Aranea scinencia.
Arct-l. Arctium lappa.
Arg-c. Argentum cyanatum.
Arg-m. Argentum metallicum.
Arg-n. Argentum nitricum.
Arm. Armoracea sativa.
Arist-m. Aristolochia milhomens.
Arn. Arnica montana.
Ars. Arsenicum album.
Ars-h. Arsenicum hydrogenisatum.
Ars-i. Arsenicum iodatum.
Ars-m. Arsenicum metallicum.
Ars-s-f. Arsenicum sulphuratum flavum.
Ars-s-r. Arsenicum sulphuratum rubrum.
Art-v. Artemisia vulgaris.
Arum-d. Arum dracontium.
Arum-m. Arum maculatum.
Arum-t. Arum triphyllum.
Arund. Arundo mauritanica.
Asaf. Asafoetida.
Asar. Asarum europoeum.
Asc-c. Asclepias cornuti.
Asc-s. Asclepias syriaca.
Asc-t. Asclepias tuberosa.
Asim. Asimina tribola.
Aspar. Asparagus.
Astac. Astacus fluviatilis.
Aster. Asterias rubens.
Atham. Athamantha.
Atro. Atropinum.
Aurant. Aurantium.
Aur. Aurum metallicum.
Aur-m. Aurum muriaticum.
Aur-m-n. Aurum muriaticum natronatum.
Aur-s. Aurum sulphuratum.
Azad. Azadirachta indica.
B
Bad. Badiaga.
Bapt. Baptisia tinctoria.
Bar-ac. Baryta acetica.
Bar-c. Baryta carbonica.
Bar-m. Baryta muriatica.
Bart. Bartfelder.
Bell. Belladonna.
Benz-ac. Benzoicum acidum.
Benz-n. Benzinum nitricum.
Berb. Berberis vulgaris.
Berb-a. Berberis aqui.
Bism. Bismuthum.
Blatta Blatta americana.
Bol. Boletus laricis /Polyporus officinalis.
Bomb. Bombyx processionea.
Bon. Bondonneau.
Bor. Borax.
Bor-ac. Boracicum acidum.
Both. Bothrops lanceolatus.
Both-a. Bothrops atrox.
Bov. Bovista.
Brach. Brachyglottis repens.
Brom. Bromium.
Bruc. Brucea antidysenterica.
Bry. Bryonia alba.
Bufo Bufo rana and sahytiensis.
Bur-p. Bursa pastoris.
C
Cact. Cactus grandiflorus.
Cadm-s. Cadmium sulphuratum.
Cahin. Cahinca.
Cain. Cainca.
Caj. Cajuputum.
Calad. Caladium.
Calc-ac. Calcarea acetica.
Calc-ar. Calcarea arsenicosa.
Calc-c. Calcarea carbonica.
Calc-caust. Calcarea caustica.
Calc-f. Calcarea fluorata.
Calc-i. Calcarea iodata.
Calc-ox. Calcarea oxalica.
Calc-p. Calcarea phosphorica.
Calc-s. Calcarea sulphurica.
Calend. Calendula officinalis.
Camph. Camphora.
Camph-br. Camphora bromata.
Canc-f. Cancer fluviatilis.
Canch. Canchalagua.
Cann-i. Cannabis indica.
Cann-s. Cannabis sativa.
Canth. Cantharis.
Caps. Capsicum.
Carb-ac. Carbolicum acidum.
Carb-an. Carbo animalis.
Carb-o. Carboneum oxigenisatum.
Carb-s. Carboneum sulphuratum.
Carb-v. Carbo vegetabilis.
Card-b. Carduus benedictus.
Card-m. Carduus marianus.
Carl. Carlsbad.
Casc. Cascarilla.
Cast. Castoreum.
Cast-eq. Castor equi.
Caul. Caulophyllum thalictroides.
Caust. Causticum.
Cean. Ceanothus americanus.
Cedr. Cedron.
Celt. Celtis.
Cench. Cenchris contortrix.
Cent. Centaurea tagana.
Cepa Cepa.
Cere-b. Cereus bonplandii.
Cere-s. Cereus serpentinus.
Cerv. Cervus.
Cham. Chamomilla.
Chel. Chelidonium majus.
Chen-a. Chenopodium anthelminticum.
Chen-v. Chenopodium vulvaria.
Chim-mac. Chimaphila maculata.
Chim-rotund. Chimaphila rotundifolia.
Chim-umb. Chimaphila umbellata.
Chin. China officinalis.
Chin-a. Chininum arsenicosum.
Chin-b. China boliviana.
Chin-m. Chininum muriaticum.
Chin-s. Chininum sulphuricum.
Chion. Chionanthus virginica.
Chlf. Chloroformum.
Chlol. Chloralum.
Chlor. Chlorum.
Chr-ac. Chromicum acidum.
Chr-ox. Chromicum oxidatum.
Cic. Cicuta virosa.
Cich. Cichorium.
Cimic. Cimicifuga.
Cimx. Cimex.
Cina Cina.
Cinch. Cinchona.
Cinch-b. Cinchona boliviana.
Cinch-s. Cinchoninum sulphuricum.
Cinnb. Cinnabaris.
Cinnm. Cinnamomum.
Cist. Cistus canadensis.
Cit-v. Citrus vulgaris.
Clem. Clematis erecta.
Cob. Cobaltum.
Coca Coca.
Cocaine Cocaine.
Cocc. Cocculus indicus.
Coc-c. Coccus cacti.
Cocc-s. Coccinella septempunctata.
Coch. Cochlearia armoracea.
Cod. Codeinum.
Coff. Coffea cruda.
Coff-t. Coffea tosta.
Colch. Colchicum autumnale.
Coll. Collinsonia canadensis.
Coloc. Colocynthis.
Colocn. Colocynthinum.
Com. Comocladia.
Con. Conium maculatum.
Coniin. Coniinum.
Conv. Convallaria majalis.
Cop. Copaiva.
Corn. Cornus circinata.
Corn-a. Cornus alternifolia.
Corn-f. Cornus florida.
Cor-r. Corallium rubrum.
Cot. Cotyledon umbilicus.
Crat-ox. Crataegus oxycantha.
Croc. Crocus.
Crot-c. Crotalus cascavella.
Crot-h. Crotalus horridus.
Crot-t. Croton tiglium.
Cub. Cubeba.
Culx. Culex musca.
Cund. Cundurango.
Cupr. Cuprum metallicum.
Cupr-ac. Cuprum aceticum.
Cupr-ar. Cuprum arsenicosum.
Cupr-n. Cuprum nitricum.
Cupr-s. Cuprum sulfuricum.
Cur. Curare.
Cyc. Cyclamen europaeum.
D
Daph. Daphne indica.
Daph-o. Daphne odorata.
Datura-a. Datura arborea.
Delph. Delphininum.
Der. Derris pinnata.
Dia. Diadema.
Dig. Digitalis.
Digit. Digitoxinum.
Dign. Digitalinum.
Dios. Dioscorea villosa.
Dirc. Dirca palustris.
Dol. Dolichos pruriens.
Dor. Doryphora.
Dros. Drosera.
Dub. Duboisinum.
Dulc. Dulcamara solanum.
E
Echi. Echinacea angustifolia.
Elaeis-guin. Elaeis guineensis.
Elaps Elaps corallinus.
Elat. Elaterium.
Elect. Electricity.
Eosin. Eosinum.
Ephed. Ephedra vulgaris.
Epiph. Epiphegus.
Equis. Equisetum.
Erech. Erechthites.
Erig. Erigeron canadense.
Eriod. Eriodictyon glutinosum.
Ery-a. Eryngium aquaticum.
Ery-m. Eryngium maritimum.
Ether Etherum.
Eth-n. Ethyl nitrate.
Eucal. Eucalyptus.
Eug. Eugenia jambos.
Euon. Euonymus europaeus.
Euon-atrop. Euonymus atropurpura.
Euph. Euphorbium officinarum.
Euph-amyg. Euphorbium amygdaloides.
Euphr. Euphrasia.
Eupi. Eupion.
Eup-per. Eupatorium perfoliatum.
Eup-pur. Eupatorium purpureum.
Exal. Exalgin.
F
Fago. Fagopyrum.
Fel-t. Fel tauri.
Fer-g. Ferula glauca.
Ferr. Ferrum metallicum.
Ferr-ac. Ferrum aceticum.
Ferr-i. Ferrum iodatum.
Ferr-ma. Ferrum magneticum.
Ferr-p. Ferrum phosphoricum.
Ferr-pic. Ferrum picricum.
Ferr-s. Ferrum sulphuricum.
Ferr-t. Ferrum tartaricum.
Fil. Filix mas.
Fl-ac. Fluoricum acidum.
Form. Formica.
Franc. Franciscea uniflora.
Franz. Franzenbad.
Frax. Fraxinus americana.
Fuc-ves. Fucus vesiculosus.
G
Gad. Gadus morrhua.
Gal-ac. Gallicum acidum.
Galvan. Galvanismus.
Gamb. Gambogia.
Gast. Gastein.
Gels. Gelsemium.
Genist. Genista.
Gent-c. Gentiana cruciata.
Gent-l. Gentiana lutea.
Get. Gettysburg water.
Gins. Ginseng.
Glon. Glonoinum.
Gnaph. Gnaphalium.
Goss. Gossypium herbaceum.
Gran. Granatum.
Graph. Graphites.
Grat. Gratiola.
Grin. Grindelia robusta.
Gua. Guaco.
Guai. Guaiacum.
Guan. Guano.
Guare. Guarea.
Gymn. Gymnocladus canadensis.
H
Haem. Haematoxylon.
Hall Hall.
Ham. Hamamelis.
Hecla Hecla lava.
Hedeo. Hedeoma.
Helio. Heliotropium.
Hell. Helleborus niger.
Hell-f. Helleborus foetidus.
Helod. Heloderma.
Helon. Helonias.
Hep. Hepar sulphuris calcareum.
Hepat. Hepatica.
Herac. Heracleum.
Hipp. Hippomanes.
Homar. Homarus.
Hura Hura brasiliensis.
Hydr. Hydrophobinum.
Hydr-ac. Hydrocyanicum acidum.
Hydrc. Hydrocotyle asiatica.
Hydrs. Hydrastis.
Hyos. Hyoscyamus niger.
Hyper. Hypericum.
I
Iber. Iberis.
Ictod. Ictodes foetida.
Ign. Ignatia.
Ill. Illicum anisatum.
Ind. Indium metallicum.
Indg. Indigo.
Inul. Inula.
Iod. Iodium.
Iodof. Iodoformum.
Ip. Ipecacuanha.
Irid. Iridium.
Iris Iris versicolor.
Iris-fl. Iris florentina.
Iris-foe. Iris foetidissima.
Iris-t. Iris tenax.
Itu Itu.
J
Jab. Jaborandi.
Jac. Jacaranda.
Jacea Jacea.
Jalap. Jalapa.
Jamb. Jambos eugenia.
Jatr. Jatropha.
Jug-c. Juglans cinerea.
Jug-r. Juglans regia.
Juncus Juncus effusus.
Juni. Juniperus virginianus.
K
Kali-a. Kali aceticum.
Kali-ar. Kali arsenicosum.
Kali-bi. Kali bichromicum.
Kali-br. Kali bromatum.
Kali-c. Kali carbonicum.
Kali-chl. Kali chloricum.
Kali-cy. Kali cyanatum.
Kali-fer. Kali ferrocyanatum.
Kali-i. Kali iodatum.
Kali-m. Kali muriaticum.
Kali-n. Kali nitricum.
Kali-ox. Kali oxalicum.
Kali-p. Kali phosphoricum.
Kali-per. Kali permanganicum.
Kali-t. Kali tartaricum.
Kalm. Kalmia latifolia.
Kaol. Kaolin.
Kersln. Kerosolene.
Kiss. Kissengen.
Kreos. Kreosotum.
L
Lac-ac. Lacticum acidum.
Lac-butyr. Lac butyric.
Lac-c. Lac caninum.
Lac-d. Lac vaccinum defloratum.
Lac-f. Lac felinum.
Lach. Lachesis.
Lachn. Lachnanthes.
Lact. Lactuca virosa.
Lac-v. Lac vaccinum.
Lappa-a. Lappa arctium.
Lappa-o. Lappa officinalis
Laps-c. Lapsana communis.
Lath. Lathyrus.
Lat-k. Latrodectus katipo.
Lat-m. Latrodectus mactans.
Laur. Laurocerasus.
Lecith. Lecithinum.
Led. Ledum palustre.
Leon. Leonurus cardiaca.
Lepi. Lepidium bonariense.
Lept. Leptandra virginica.
Lil-sup. Lilium superbum.
Lil-t. Lilium tigrinum.
Linar. Linaria.
Linum Linum.
Lipp. Lippspringe.
Lith. Lithium carbonicum.
Lith-m. Lithium muriaticum.
Lob. Lobelia inflata.
Lob-c. Lobelia cardinalis.
Lob-coe. Lobelia coerulia.
Lob-d. Lobelia dortmanna.
Lob-e. Lobelia erinus.
Lob-s. Lobelia syphilitica.
Lol-tem. Lolium temulentum.
Lonic. Lonicera xylosteum.
Luna Luna.
Lyc. Lycopodium clavatum.
Lycpr. Lycopersicum.
Lycps. Lycopus virginicus.
Lyss. Lyssin.
M
Macrot. Macrotinum.
Mag-c. Magnesia carbonica.
Mag-m. Magnesia muriatica.
Magnol. Magnolia grandiflora.
Magnol-gl. Magnolia glauca.
Mag-p. Magnesia phosphorica.
Mag-p-ambo Magnetis poli ambo.
Mag-p-arct. Magnetis polus arcticus.
Mag-p-aust. Magnetis polus australis.
Mag-s. Magnesia sulphurica.
Maland. Malandrinum.
Malar. Malaria officinalis.
Manc. Mancinella.
Mand. Mandragora.
Mang. Manganum.
Mar. Marum verum.
Med. Medorrhinum.
Meli. Melilotus.
Menis. Menispermum.
Ment. Mentha piperita.
Ment-pu. Mentha pulegium.
Meny. Menyanthes.
Meph. Mephitis.
Merc. Mercurius (Mercurius solubilis et vivus).
Merc-c. Mercurius corrosivus.
Merc-cy. Mercurius cyanatus.
Merc-d. Mercurius dulcis.
Merc-i-f. Mercurius iodatus flavus.
Merc-i-r. Mercurius iodatus ruber.
Merc-m. Mercurius methylenus.
Merc-n. Mercurius nitricus.
Merc-p. Mercurius protoiodatus.
Merc-p-r. Mercurius praecipitatus ruber.
Merc-sul. Mercurius sulphuricus.
Merl. Mercurialis perennis.
Mez. Mezereum.
Mill. Millefolium.
Mim. Mimosa.
Mit. Mitchella repens.
Momor. Momordica.
Morph. Morphinum.
Mosch. Moschus.
Mur-ac. Muriaticum acidum.
Murx. Murex.
Musa Musa.
Muscn. Muscarin.
Myric. Myrica cerifera.
Myris. Myristica sebifera.
N
Nabalus Nabalus.
Naja Naja.
Naph. Naphthalinum.
Narcot. Narcotinum.
Narz. Narzan.
Nast. Nasturtium aquaticum.
Nat-a. Natrum arsenicatum.
Nat-ac. Natrum aceticum.
Nat-c. Natrum carbonicum.
Nat-h. Natrum hypochlorosum.
Nat-m. Natrum muriaticum.
Nat-n. Natrum nitricum.
Nat-ntrs. Natrum nitrosum.
Nat-p. Natrum phosphoricum.
Nat-s. Natrum sulphuricum.
Nat-sal. Natrum salicylicum.
Nicc. Niccolum.
Nicot. Nicotinum.
Nit-ac. Nitricum acidum.
Nit-m-ac. Nitroso-Muriaticum acidum.
Nitro-o. Nitrogenium oxygenatum.
Nit-s-d. Nitri spiritus dulcis.
Nuph. Nuphar luteum.
Nux-m. Nux moschata.
Nux-v. Nux vomica.
Nym. Nymphaea odorata.
O
Oena. Oenanthe crocata.
Ol-an. Oleum animale.
Ol-j. Oleum jecoris aselli.
Olnd. Oleander.
Onos. Onosmodium.
Op. Opium.
Opun. Opuntia.
Ornith. Ornithogalum.
Osm. Osmium.
Ostrya Ostrya.
Ovi-g-p. Ovi galinae pellicula.
Ox-ac. Oxalic acidum.
Oxyt. Oxytropis lamberti.
P
Paeon. Paeonia.
Pall. Palladium.
Pana. Panacea.
Par. Paris quadrifolia.
Paraf. Paraffinum.
Pareir. Pareira brava.
Parth. Parthenium.
Passi. Passiflora.
Paull. Paullinia pinnata.
Pedi. Pediculus.
Pen. Penthorum sedoides.
Pers. Persica.
Peti. Petiveria.
Petr. Petroleum.
Petros. Petroselinum.
Phal. Phallus impudicus.
Phaseo. Phaseolus.
Phel. Phellandrium.
Phos. Phosphorus.
Phos-ac. Phosphoricum acidum.
Phys. Physostigma.
Phyt. Phytolacca.
Pic-ac. Picricum acidum.
Picrot. Picrotoxinum.
Pim. Pimenta.
Pimp. Pimpinella.
Pin-s. Pinus sylvestris.
Pip-m. Piper methysticum.
Pip-n. Piper nigrum.
Plan. Plantago.
Plat. Platinum.
Plb. Plumbum.
Plect. Plectranthus.
Podo. Podophyllum.
Polyg. Polygonum hydropireroides.
Polyp-o. Polyporus officinalis.
Polyp-p. Polyporus pinicola.
Pop. Populus.
Poth. Pothos foetidus.
Prim. Primula veris.
Prun. Prunus spinosa.
Prun-p. Prunus padus.
Psor. Psorinum.
Ptel. Ptelea trifoliata.
Puls. Pulsatilla.
Puls-n. Pulsatilla nuttaliana.
Pulx. Pulex irritans.
Pyrog. Pyrogenium.
Pyrus Pyrus americana.
Q
Quass. Quassia.
Quer. Quercus.
R
Rad. Radium(Radium bromatum).
Rad-br. Radium bromatum.
Ran-b. Ranunculus bulbosus.
Ran-g. Ranunculus glacialis.
Ran-s. Ranunculus sceleratus.
Raph. Raphanus.
Rat. Ratanhia.
Rheum Rheum.
Rhod. Rhododendron.
Rhus-g. Rhus glabra.
Rhus-r. Rhus radicans.
Rhus-t. Rhus toxicodendron.
Rhus-v. Rhus venenata.
Ricin. Ricinus.
Rob. Robinia.
Rumx. Rumex crispus.
Ruta Ruta graveolens.
S
Saba. Sabadilla.
Sabal Sabal serrulata.
Sabin. Sabina.
Sacc. Saccharum album.
Sac-lac. Saccharum lactis.
Sal-ac. Salicylicum acidum.
Salix-p. Salix purpurea.
Samars. Samarsite.
Samb. Sambucus nigra.
Sang. Sanguinaria canadensis.
Sang-n. Sanguinarinum nitricum.
Sanic. Sanicula aqua.
Sant. Santoninum.
Saponin. Saponinum.
Sarr. Sarracenia.
Sars. Sarsaparilla.
Schinus Schinus.
Scroph. Scrophularia.
Scut. Scutellaria.
Sec. Secale cornutum.
Sel. Selenium.
Semp. Sempervivum tectorum.
Senec. Senecio aureus.
Senec-j. Senecio jacoboea.
Seneg. Senega.
Senn. Senna.
Sep. Sepia.
Serp. Serpentaria.
Sil. Silica.
Sin-a. Sinapis alba.
Sin-n. Sinapis nigra.
Slag. Slag.
Sol Sol (Helios).
Solid. (or Sol-v.) Solidago virgaurea.
Sol-m. Solanum mammosum.
Sol-n. Solanum nigrum.
Sol-o. Solanum oleraceum.
Sol-t-ae. Solanum tuberosum aegrotans.
Sphin. Sphingurus (Spiggurus martini).
Spig. Spigelia.
Spigg. Spiggurus martini.
Spira. Spiranthes.
Spire. Spiraea ulmaria.
Spong. Spongia tosta.
Squill. Squilla.
Stach. Stachys betonica.
Stann. Stannum.
Staph. Staphisagria.
Stel. Stellaria media.
Stict. Sticta pulmonaria.
Still. Stillingia sylvatica.
Stram. Stramonium.
Stront. Strontium carbonicum.
Stroph. Strophantus.
Stry. Strychninum.
Sul-ac. Sulphuricum acidum.
Sul-i. Sulphur iodatum.
Sulph. Sulphur.
Suls-ac. Sulphurosum acidum.
Sumb. Sumbul.
Symph. Symphytum officinale.
Syph. Syphilinum.
T
Tab. Tabacum.
Tan. Tanninum.
Tanac. Tanacetum.
Tarax. Taraxacum.
Tarent. Tarentula hispanica.
Tarent-c. Tarentula cubensis.
Tart-ac. Tartaricum acidum.
Tax. Taxus baccata.
Tell. Tellurium.
Tep. Teplitz.
Ter. Terebinthina.
Tetrad. Tetradymite.
Teucr. Teucrium marum verum.
Thal. Thallium.
Thea Thea.
Ther. Theridion.
Thlaspi Thlaspi bursa pastoris.
Thuj. Thuja.
Thyroid. Thyroidinum.
Til. Tilia.
Tong. Tongo.
Trades. Tradescantia.
Trif. Trifolium repens.
Trif-p. Trifolium pratense.
Tril-c. Trillium cernuum.
Tril-e. Trillium erectum.
Tril. Trillium pendulum (Trillium erectum or Trillium cernuum).
Trios. Triosteum.
Trom. Trombidium muscae domesticae.
Tub. Tuberculinum.
Tub-lar. Tuberculin laryngis.
Tus-f. Tussilago fragrans.
Tus-p. Tussilago petasites.
U
Upas Upas.
Uran. Uranium nitricum.
Urea Urea.
Urt-u. Urtica urens.
Usn-bar. Usnea barbata.
Ust. Ustilago.
Uva Uva ursi.
V
Vacc. Vaccininum.
Valer. Valeriana.
Vario. Variolinum.
Verat-a. Veratrum album.
Verat-v. Veratrum viride.
Veratn. Veratrinum.
Verb. Verbascum.
Vesp. Vespa.
Vib. Viburnum opulus.
Vichy Vichy.
Vinc. Vinca minor.
Viol-o. Viola odorata.
Viol-t. Viola tricolor (Jacea).
Vip. Vipera.
Vip-l-f. Vipera lachesis fel.
Visc. Viscum album.
Vit. Vitex agnus castus.
W
Wies. Wiesbaden.
Wild. Wildbad.
Wye. Wyethia.
X
Xanth. Xanthoxylum.
X-ray X-ray.
Y
Yuc. Yucca.
Z
Zinc. Zincum metallicum.
Zinc-ac. Zincum aceticum.
Zinc-i. Zincum iodatum.
Zinc-m. Zincum muriaticum.
Zinc-ox. Zincum oxydatum.
Zinc-p. Zincum phosphoratum.
Zinc-s. Zincum sulphuricum.
Zinc-val. Zincum valerianicum.
Zing. Zingiber.
Ziz. Zizia.