Saturday, September 12, 2020

ঔষধের নাম ও তার শত্রুভাবাপন্ন ঔষধের তালিকা



ঔষধ নির্বানের সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হলো - উক্ত রোগীর পুর্বে কি ঔষধ ব্যবহার করা হয়েছে। এই বিষয়টি নিশ্চিত করা।একজন ডাক্তারকে নিচের তালিকা মাথায় রাখা জরুরী। এব্যাপারে অসতর্ক হলে মারাত্বক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
কেহ যদি মনে করে যে,হোমিওপ্যাথিক ঔষধে কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই তবে ভুল করবেন।রোগীর রোগীলিপি সংরক্ষণ প্রয়োজন।হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারগন রোগীর ইতিহাস দেখে নতুন ঔষধ নির্বাচন করুন।

প্রতিটি ঔষধের অনুপুরক, প্রতিষেধক, শত্রুভাবাপন্ন ঔষধের জ্ঞান না থাকলে সঠিক চিকিৎসা হবে না। এমনকি রোগ আরোগ্যে বাধা ও ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে জানুন। রোগ আরোগ্যে সঠিক পথ অনুসরণ করুন।

ঔষধের নামঃ-       শত্রু ভাবাপন্ন ঔষধ

১।এসিড এসেটিঃ-  বোরাক্স, কষ্টিকাম, নাক্স, র‍্যানান বাল্ব, সার্সাপ্যারিলা।

২।এসিড ল্যাকটিকঃ-  কফিয়া।

৩।এসিড নাইট্রিকঃ-  ল্যাকেসিস পরে ক্যাল্কেরিয়া কার্ব।

৪।এলিয়াম সেপাঃ-  এলিয়াম সেট, এলো সকোট্রিনা, স্কুইলাস হিপ।

৫।এলিয়াম সেটাইভাঃ-   এলো, এলিয়াম সেফা, স্কুইলাস।

৬।এলো সকোট্রিনাঃ-  এলিয়াম স্যাট।

৭।অ্যামোনিয়াম কার্বঃ-  ল্যাকেসিস।

৮।এপিসঃ-  রাসটক্স।

৯। অরাম ট্রিফাইলামঃ- ক্যালাডিয়াম।

১০।এষ্টিরিয়াস রিউবেন্স: কফিয়া।

১১।অরাম মিউর নেট্রঃ- কফিয়া, নাক্স।

১২।ব্যারাইটা কার্বঃ- ক্যাল্কেরিয়া কার্বের পরে।

১৩। বেলেডোনাঃ- এসিড-এসিটিক, ডালকামরা।

১৪।বোরাক্সঃ- এসিড-এসিটিক, ভাইবানাম।

১৫।বোভিষ্ঠাঃ- কফিয়া।

১৬।ক্যালা্ডিয়ামঃ- অরাম ট্রিফাইলাম।

১৭।ক্যাল্কেরিয়া কার্বঃ-এসিড নাইট্রিক, ব্যারাইটা-কার্ব এবং সালফারে পরে খাটে না।

১৮।ক্যালেণ্ডুলাঃ- ক্যাম্ফার।

১৯।ক্যাম্ফারঃ- পরে কেলি-নাইট্রিকাম।

২০।ক্যান্থারিসঃ- কফিয়া।
২১।কার্বো-অ্যানিমেলিসঃ- কার্বো-ভেজ।

২২।কার্বো-ভেজঃ- কার্বো-অ্যানিমেলিস, ক্রিয়োজোট খাটে না।

২৩। কলোফাইলামঃ- কফিয়া।

২৪।কষ্টিকামঃ এসিড- এসেটিক, কফিয়া, ফসফরাস, গুয়েকাম, নাক্স ভুমিকা।

২৫।ক্যামমিলাঃ জিঙ্কাম।

২৬।চায়নাঃ- ডিজিটেলিস এবং সেলিনিয়াম।

২৭।সিষ্টাসঃ- কফিয়া।

২৮।কোকিউলাসঃ- কফিয়া।

২৯।কফিয়াঃ-ক্যান্থারিস, কক্কাস, ইগ্নেসিয়া, কষ্টিকাম।

৩০।ডিজিটেলিসঃ-নাইট্রি-স্পিরিডল।

৩১।ডালকামারাঃ-এসিড-এসেটিক, বেল, ল্যাকেসিস।

৩২।ফেরামঃ- এসিড এসেটিক।

৩৩।ইগ্নেসিয়াঃ-কফিয়া, নাক্স, ট্যাবেকাম।

৩৪।কেলি-বাইক্রমঃ- ক্যাল্কেরিয়া পরে খাটে না।

৩৫।কেলি-নাইট্রিকামঃ- ক্যাম্ফার পরে খাটে না।

৩৬।ক্রিয়োজোটঃ- কার্বোভেজের পরে।

৩৭। ল্যাকেসিসঃ-এসিড এসেটিক, এসিড-কার্বোলিক, এসিড নাইট্রিক।

৩৮।ডলকামারাঃ- এমন-কার্ব, সোরিনাম।

৩৯।লাইকোঃ- সালফারের পরে সালফ চক্রের ভেতর ব্যতীত ক্যাল্কেরিয়া, লাইকো, কফিয়া।

৪০।মার্কসলঃ-এসিড-এসেটিক, সাইলি কর্মক্ষম করারআগে বা পরে বিসদৃশ মার্কারি অপক্কবস্তুর উপর কাজ করে।

৪১।মিলিফোলিয়ামঃ- কফিয়া।

৪২।নাক্স ভমিকাঃ- এসিড-এসেটিক, ইগ্নেসিয়া, জিঙ্কাম।

৪৩।ফসফরাসঃ- কষ্টিকাম।

৪৪।সোরিনামঃ- সিপিয়া।

৪৫।র‍্যানান বাল্বঃ-এসিড-এসেটিক, স্টাফি, সালফার, ভাইবারনাম।

৪৬।রাস-টক্সঃ- এপিস বিসদৃশ কিন্তু ফসফরাস ভাল খাটে (কেন্ট)।

৪৭।সার্সাপেরিলাঃ- এসিড এসেটিক।

৪৮।সেলিনিয়ামঃ- চায়না, ভ্যানাডিয়াম।

৪৯।সিপিয়াঃ- ব্রায়োনিয়া, ল্যাকেসিস।

৫০।সাইলিসিয়াঃ- মার্কসল।

৫১।স্কুইলাসঃ- এলিয়াম সেফা।

৫২।স্টাফিসেগ্রিয়াঃ- র‍্যানান-বাল্ব।

৫৩।ষ্ট্রামোনিয়ামঃ- কফিয়া।

৫৪।সালফারঃ- লাইকোর পরে সালফার খাটে কিন্তু সালফারের পরে লাইকো খাটে না
( কেন্ট),র‍্যানান-বাল্ব ।

৫৫। ভেস্পাঃ- আর্জেন্ট নাইট্রিকাম।

৫৬। জিঙ্কামঃ- ক্যামোমিলা, নাক্স, ভাইনাম।

শত্রুভাবাপন্ন হোমিওপ্যাথিক ঔষধ ব্যবহার করে রোগীর ক্ষতি করা একজন ডাক্তারের জন্য নীতি বিরুদ্ধ কাজ। কোন ক্রমেই এই রুপ ভুল করা উচিৎ নয়। একজন রোগীর জন্য উপকার করতে না পারার চেয়ে ভুল ঔষধ প্রয়োগ করা, কোন ক্রমেই মেনে নেয় যায় না।উপরে উল্লেখিত তালিকা মেনে সঠিক ঔষধ নির্বচনই কাম্য।

Monday, July 13, 2020

যৌন_রোগে_হোমিওপ্যাথি_চিকিৎসা



যৌন রোগে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা অন্ধকারে যেন আলোর  দিশারী  । যৌন  সমস্যা বর্তমানে একটি জটিল সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে । এ রোগীর হার দিন দিন বেরেই চলেছে । এই সুযোগে দেশের আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে নানা রংবেরংগের পোস্টার সাজিয়ে বিভিন্ন দাওয়া খানা ও চমকপ্রদ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান । যেখানে চিকিৎসার নামে করা হয় বিভিন্নভাবে প্রতারনা । হতাশা গ্রস্থ যুব সমাজ আরো বেশী হতাশা গ্রস্থ হচ্ছে । এক পর্যায় তারা মনে করে এ রোগের মনে হয় আর চিকিৎসার নেই । অতিরিক্ত হস্তমৈথুন, যৌনবাহিত রোগ( সিফিলিস, গনোরিয়া).রক্তে সেক্স-হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ।

এছাড়াও ডায়াবেটিস, দুশ্চিন্তা,টেনশন, অবসাদ, ও অ-পুষ্টি, যৌনরোগ বা এইডস ভীতি ।  সেক্স-এডুকেশের অভাব, বয়সের পার্থক্য, পার্টনারকে অপছন্দ । নারীর ত্রুটিপূর্ণ যৌনাসন, মানসিক ও শারীরিক সম্যসা। ইত্যাদি কারণে এ রোগ বা সমস্যা  হতে পারে । এ সমস্যা যে কোন বয়সেই হতে পারে, সে ক্ষেএে লজ্জা, অবহেলা, আজ কাল, না করে জটিল হওয়ার পূর্বেই দ্রুত চিকিৎসা নেয়া আবশ্যক। সমস্যার সহজ সমাধান হল সময় নিয়ে  হোমিওচিকিতসা গ্রহন করা । হোমিও ঔষধ পাশাপাশি কাউনসিলিং এর সাহায্যে, পুরুষত্বহীনতা বা যৌনরোগের সহজ এবং স্বল্প খরচে কোন রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন প্রাকৃতিক ভাবে শতভাগ আরোগ্য করে। অন্যদিকে মহিলাদেরও যৌন দুরবলতা, যৌনকর্মে ‍অনীহা ইত্যাদি থাকতে পারে এবং হোমিওপ্যাথিতে তারও চমৎকার চিকিৎসা আছে। হোমিও ঔষধের কোনো বিরূপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। তাই লজ্জা ও জড়তা  ফেলে খোলা মনে ডাঃ এর সাথে আলাপ করুন। এ সমস্যা খুবই সাধারণ এবং এর সফল চিকিৎসাও পাবেন ।

পুরুষত্বহীনতা কি?
ইহা পুরুষের যৌনকার্যে  অক্ষমতাকে বুঝায়।

শ্রেণীবিভাগঃ
সাধারণত পুরুষত্বহীনতাকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
১| ইরেকশন ফেইলিউরঃ পুরুষের লিঙ্গের উথ্বানে ব্যার্থতা।
২|পোনিট্রেশন ফেলিউরঃ লিঙ্গের যৌনিদ্বার ছেদনে ব্যার্থতা বা অক্ষমতা।
৩|প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশনঃ সহবাসে দ্রুত বীর্যপাত তথা স্বায়ীত্বের অভাব।

যৌন রোগে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ব্যবহৃত কিছু ঔষধের তালিকা নিম্নে আলোচনা করা হল :

Lycopodium clavatum:
লাইকোপোডিয়াম ধ্বজভঙ্গের একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। মাত্রাতিরিক্ত ধূমপানের কারণে ধ্বজভঙ্গ হলে এটি খেতে পারেন। লাইকোপোডিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো এদের পেটে প্রচুর গ্যাস হয়।  এদের ব্রেন খুব ভালো কিন্তু স্বাস্থ্য খুব খারাপ, এদের প্রস্রাব অথবা পাকস্থলী সংক্রান্ত কোন না কোন সমস্যা থাকবেই । অকাল বার্ধক্য, সকাল বেলা দুর্বলতা ইত্যাদি ইত্যাদি।

Agnus Castus:
সাধারণত গনোরিয়া রোগের পরে যৌন দুর্বলতা দেখা দিলে এটি ভালো কাজ করে। পুরুষাঙ্গ ছোট এবং নরম হয়ে যায়, পায়খানা এবং প্রস্রাবের আগে-পরে আঠালো পদার্থ নির্গত হয়, ঘনঘন স্বপ্নদোষ হয়।

Caladium seguinum:
যারা যৌনমিলনে কোন আনন্দ পান না বা যৌনমিলনের পর বীর্য নির্গত হয় না বা যাদের বীর্য তাড়াতাড়ি নির্গত হয়ে যায় ।বা যারা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন করে দুবর্ল হয়ে পড়েছেন, তাদের জন্য কার্যকরী।

Origanum marjorana:
ওরিগ্যানাম ঔষধটি পুরুষ এবং নারীদের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। তবে এটি নিম্নশক্তিতে খাওয়া উচিত কেননা উচ্চশক্তিতে কোন ফল পাওয়া যায় না।

Selenium:
যৌন শক্তির দুর্বলতা, দ্রুত বীর্য নির্গত হওয়া, স্বপ্নদোষ, মাথার চুল পড়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যায় সেলিনিয়াম একটি প্রথম শ্রেণীর ঔষধ। বিশেষত যাদের কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি ভালো কাজ করে।

Caladium seguinum:
যারা যৌনমিলনে কোন আনন্দ পান না বা যৌনমিলনের পর বীর্য নির্গত হয় না বা যাদের বীর্য তাড়াতাড়ি নির্গত হয়ে যায় ।বা যারা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন করে দুবর্ল হয়ে পড়েছেন, তাদের জন্য কার্যকরী।

Origanum marjorana:
ওরিগ্যানাম ঔষধটি পুরুষ এবং নারীদের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। তবে এটি নিম্নশক্তিতে খাওয়া উচিত কেননা উচ্চশক্তিতে কোন ফল পাওয়া যায় না।

Moschus Moschiferus:
ডায়াবেটিস রোগীদের ধ্বজভঙ্গে এটি ভালো কাজ করে। এটি ক্ষুদ্রাকৃতি হয়ে যাওয়া পুরুষাঙ্গকে পূর্বের আকৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

Salix nigra:
মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম, হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ প্রভৃতি কারণে সৃষ্ট পুরুষদের যৌনকর্মে দুর্বলতা বা অক্ষমতার একটি শ্রেষ্ট ঔষধ হলো স্যালিক্স নাইগ্রা। এসব কারণে যাদের ওজন কমে গেছে, এই ঔষধ একই সাথে তাদের ওজনও বাড়িয়ে দিয়ে থাকে যথেষ্ট পরিমাণে। পাশাপাশি অবিবাহিত যুবক-যুবতী বা যাদের স্বামী-স্ত্রী বিদেশে আছেন অথবা মারা গেছেন । এই ঔষধ তাদের মাত্রাতিরিক্ত উত্তেজনা কমিয়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে সাহায্য করে।

Sabal serrulata:
সেবাল সেরুলেটা পুরুষদের যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে এবং পাশাপাশি হজমশক্তি, ঘুম, শারীরিক শক্তি, ওজন (কম থাকলে) ইত্যাদিও বৃদ্ধি পায়। এটি মেয়েদেরও যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে থাকে ।  ক্ষুদ্রাকৃতির স্তনবিশিষ্ট মেয়েদের স্তনের আকৃতি বৃদ্ধি করে থাকে। বয়ষ্ক পুরুষদের প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধিজনিত যে-কোন সমস্যা এবং ব্রঙ্কাইটিস নির্মূল করতে পারে।

Staphisagria:
পুরুষদের যৌন দুর্বলতা দূর করার ক্ষেত্রে স্টেফিসেগ্রিয়া একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। বিশেষত অতিরিক্ত যৌনকর্ম করার কারণে বা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে যাদের ধ্বজভঙ্গ হয়ে গেছে, তাদের ক্ষেত্রে বেশী প্রযোজ্য। বিয়ের প্রথম কিছুদিনে মেয়েদের প্রস্রাব সম্পর্কিত অথবা যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত কোন সমস্যা হলে নিশ্চিন্তে স্টেফিসেগ্রিয়া নামক ঔষধটি খেতে পারেন। কারণ স্টেফিসেগ্রিয়া একই সাথে যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত রোগে এবং আঘাতজনিত রোগে সমান কাযর্কর।

Conium:
স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা অধিক কিন্তু অক্ষম।সহবাস কালে সোহাগ আলিঙ্গনের সময় লিঙ্গ শিথিল হইয়া পড়ে।

Calcarea Carb:
ক্যালকেরিয়া কার্ব যৌনশক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। বিশেষত মোটা, থলথলে স্বাস্থ্যের অধিকারী লোকদের বেলায় এটি ভালো কাজ করে।

Natrum carbonicum:
যে সব নারীদের পুরুষরা আলিঙ্গন করলেই বীযর্পাত হয়ে যায় (সহবাস ছাড়াই) । অর্থাৎ অল্পতেই তাদের তৃপ্তি ঘটে যায় এবং পরে আর সঙ্গমে আগ্রহ থাকে না, তাদের জন্য উৎকৃষ্ট ঔষধ হলো নেট্রাম কার্ব। এই কারণে যদি তাদের সন্তানাদি না হয় (অর্থাৎ বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়)।  তবে নেট্রাম কার্বে সেই বন্ধ্যাত্বও সেরে যাবে।

Nux Vomica:
নাক্স ভমিকা ঔষধটি যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ । বিশেষত যারা শীতকাতর, যাদের পেটের সমস্যা বেশী হয়, সারাক্ষণ শুয়ে-বসে থাকে ।  শারীরিক পরিশ্রম কম করে, মানসিক পরিশ্রম বেশী করে ইত্যাদি ইত্যাদি।

যৌন রোগে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিন এবং সুস্থ থাকুন ।  ডাক্তারের পরার্মশ ছাড়া ঔষধ খাবেন না।

Sunday, May 10, 2020

বায়োকেমিক বার টি ঔষধের সংক্ষিপ্ত পরিচয়:


বায়োকেমিক ঔষধ গ্রহণ করলে দেহ রোগমুক্ত হয় । এই ঔষধগুলো সাধারণত পাউডার অথবা ট্যাবলেট রূপে পাওয়া যায় । শক্তির মাত্রা ৩এক্স,৬এক্স,১২এক্স ইত্যাদি ।

ট্যবলেটগুলি সাধারণত ৩/৪টি করে দিনে ৩/৪ বার খেতে হয় । গরম পানিতে গুলে খেলে এর ক্রিয়া ভালভাবে হয় । সম্ভব না হলে চিবিয়েও খাওয়া যায় ।

আবার এই ১২টি ঔষিই হোমিওপ্যাথি পদ্ধতিতে শক্তিকৃত করে হোমিওপ্যাথি মতে (সদৃশ্য বিধান) রোগীর দেহে প্রয়োগ করা হয় । সেক্ষেত্রে শক্তির মাত্রা ৩/৬/৩০/২০০/১০০০/১০,০০০/১০০,০০০ এই রকম ।

আমরা এই মহা মুল্যবান ১২টি ঔষধের ক্রিয়া আলোচনা করব ।
১/ ক্যালকেরিয়া ফ্লোর
পরিচয় : ক্যালসিয়াম ফ্লোরাইড,ফ্লোরম্পার ।
প্রয়োগ ক্ষেত্র – চোখের ছানি, কোমর ব্যথা, মচকা ব্যথা, স্তনে গুটি, দাঁত উঠতে দেরি হওয়া, দাঁতের ক্ষয় ও প্রদাহ, চামড়া ফাটা, সহজেই রক্তপাত, বংশগত সিফিলিস,এ্যাডিনয়েডস ।

২/ ক্যালকেরিয়া ফস
পরিচয় : ক্যালসিয়াম ফসফেট,ফসফেট অফ লাইম ।
প্রয়োগ ক্ষেত্র – স্নায়ুর দুব©লতা, মৃগী, অন্ত্রের প্রদাহ, পরিপোষণ বা মেটাবলিজমের ত্রুটি, দাঁত উঠতে দেরি হওয়া, ক্ষয়রোগ, পায়খানার সাথে অভুক্ত দ্রব্য, পেটে বায়ু । ডায়াবেটিস রোগীদের অস্তিভঙ্গ, মস্তিস্কের অবসাদ, ব্রাইটস ডিজিস, রসযুক্ত চম©রোগ ।

৩/ ক্যালকেরিয়া সালফ
পরিচয় : ক্যালসিয়াম সালফেট,জিপসাম, প্লাস্টার অফ প্যারিস ।
প্রয়োগ ক্ষেত্র – ফোঁড়া, কাবা©ঙ্কল, পুঁজযুক্ত ব্রণ, পোড়া ঘাঁ, চুলকানি, ফিস্টুলা, গ্রন্থিস্ফীতি, স্নায়বিক দুব©লতা, জনন ইন্দ্রিয়ের দুব©লতা, পরিবত©শীল মানসিকতা, পায়ের তালুতে জ্বালা-পড়া এবং চুলকানি, অ্যালোপ্যাথিক ঔষধ খাওয়ার পর শারীরিক দুব©লতা ।

৪/ ফেরাম ফস
পরিচয় : ফেরোসো ফেরিক ফসফেট, ফসফেট অফ আয়রণ ।
প্রয়োগ ক্ষেত্র – অ্যানিমিয়া, রক্তপাতের ফলে রক্তাল্পতা, নাড়ীর গতি দ্রুত, মাথার যন্ত্রণা, জিভের প্রদাহ, জিভ লেপাকৃত অথবা রক্তাভ, অক্ষুধা, দেহের ওজন এবং শক্তি কমে যাওয়া, শিশুদের মানসিক ও দৈহিক বল হ্রাস, শীণ©তা, ক্ষুধামান্দ্য ।

৫/ ক্যালি মিউর
পরিচয় : পটাসিয়াম ক্লোরাইড ।
প্রয়োগ ক্ষেত্র – হাটে©র দুব©লতা, বুক ধড়ফড় করা, হৃদপিণ্ড বৃদ্ধি পাওয়া, পেরিকাডা©ইটিস, থ্রম্বসিস, গ্রন্থ বৃদ্ধি, ফুসফুস প্রদাহ, নিউমোনিয়া, পিত্ত নিঃসরণ কম হওয়ার ফলে অজীণ©, অক্ষুধা, গলক্ষত, লিভারের দুব©লতা ।

৬/ ক্যালি ফস
পরিচয় : পটাসিয়াম ফসফেট ।
প্রয়োগ ক্ষেত্র – মানসিক দুব©লতা, মানসিক বিপয©য়, মানসিক অবসাদ, মানসিক কারণে মাথার যন্ত্রণা, মস্তিস্কের দুব©লতা ও অবসাদ, পেটে বায়ু এবং সে কারণে হৃদপিণ্ডের অপক্রিয়া, দুগ©ন্ধযুক্ত পায়খানা, উঠে দাড়ালে মাথা ঘোরা, সেরিব্রাল অ্যানিমিয়া, জননাঙ্গের দুব©লতা ।

৭/ ক্যালি সালফ
প্রয়োগ ক্ষেত্র – হাম,বসন্ত চম©পীড়া, বুকে ঘড়ঘড় শব্দযুক্ত হাঁপানী, বিকালের জ্বর,চমে©র উপর ইহার ক্রিয়া অনেক বেশি,স্রাব আঠালো, সবুজবণে©র, দুগ©ন্ধযুক্ত, ইহার অভাবে চম© থেকে খুশকি উঠে ।

৮/ ম্যাগ ফস
পরিচয় : ম্যাগনেসিয়াম ফসফেট ।
প্রয়োগ ক্ষেত্র – বিভিন্ন প্রকার ব্যথা ও যন্ত্রণা, মাথার যন্ত্রণা, পেটে ব্যথা, স্নায়ুশূল, স্প্যাজমেডিক পেইন, স্মৃতিশক্তিহীনতা, চিন্তাশক্তির দুব©লতা, স্নায়বিক দুব©লতা, দাঁড়ানো অবস্থায় এবং চলতে চলতে মলত্যাগের ইচ্ছা । এই ঔষধটি স্নায়ুকোষে পুষ্টি জোগায় ।

৯/ ন্যাট্রাম মিউর
পরিচয় : সোডিয়াম ক্লোরাইড ।
প্রয়োগ ক্ষেত্র – নুন বেশি খাওয়ার প্রবণতা, কোষ্টকাঠিন্য, মাথা যন্ত্রণা (হাপানি সহ), সদি© কাশির প্রবণতা, হাঁচি, নাক দিয়ে কাঁচা পানি পড়া, হিস্টিরিয়াম, সংজ্ঞালোপ, টাইফয়েড, জ্বরে প্রলাপ বকা, পেটে শূল বেদনা, লিভারের গোলযোগ, বোধ শক্তির অভাব, ক্রিমি, মস্তিস্কের দুব©লতা ।

১০/ ন্যাট্রাম ফস
পরিচয় : সোডিয়াম ফসফেট ।
প্রয়োগ ক্ষেত্র – অম্লরোগ, পাকস্থলী এবং অন্ত্রের গোলযোগ, শিশুদের অতিরিক্ত দুধ খাওয়ানোর ফলে ল্যাকটিক এসিড বৃদ্ধি পাওয়া, গনোরিয়া জিভে হালকা প্রলেপ, বুকের বাঁদিকে ব্যথা (নিপ্ল এর নীচে) ডান কাধে বাত জনিত ব্যথা, স্বপ্নদোষ ব্যতিত ধাতুক্ষয়, অপথ্যালমিয়া, কান থেকে রস পড়া ।

১১/ ন্যাট্রাম সালফ
পরিচয় : সোডিয়াম সালফেড, প্লবারস সল্ট ।
প্রয়োগ ক্ষেত্র – গ্যাসট্রাইটিস, পেটে বায়ু, পেটে ব্যথা, লিভারের গোলমাল, নখের গোড়ায় প্রদাহ এবং পুজ, অবসাদ, তন্দ্রলুতা, আঁচিল - চোখের চার পাশে, মাথায়, মুখে, বুকে ও মলদ্বারে, নেফ্রাইটিস, মেরুদন্ডে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা, সেক্রামে ব্যথা ।

১২/ সাইলিসিয়া
পরিচয় : সিলিকা, সিলিসিক অক্সাইড ।
প্রয়োগ ক্ষেত্র – রিকেট, বাতরোগ, প্রস্টেট গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধি, মধ্য কানের প্রদাহ, দেহের কোথাও পুঁজ, গেঁটেবাত, কোষ্টকাঠিন্য, অম্ল, অজীণ©, পুরানো কাশি ।      

লেখক : মুহাঃ আব্দুর রহিম (হোমিওপ্যাথ)

Monday, February 17, 2020

ব্রণ

যৌবনকালে অনেকেরই মুখে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এক প্রকার স্ফোটক বাহির হয় যাকে আমরা বয়স পোড়া বা বায়োব্রন  এবং ইরেজিতে acne বলে।

★এবার আমরা জানবো ব্রণ কি?
আমাদের ত্বক থেকে সেবাসিয়াম গ্রন্থি সেবাম নামে এক প্রকার তৈলাক্ত পদার্থ নিঃসরন করে যা ত্বককে মসৃন রাখে। কোন কারনে সেবাসিয়াম গ্রন্থির নালির মুখ বন্ধ হয়ে গেলে সেবাম নিঃসরনের বাধার সৃষ্টি হয়। এবং তা ভিতরে জমে ফুলে উঠে যা (acne) ব্রণ নামে পরিচিত। এতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমন হয়। এভাবে জীবানুর বিষক্রিয়ায় ত্বকে ব্রণ সৃষ্টি হয়। ব্রণ তৈরি হওয়ার পর্যায়ে এর মুখ বন্ধ থাকায় সাদাটে দেখায়। প্রায় ব্রণের চার পাশে প্রদাহ শুরু হয় এবং এর রং লাল দেখায়। এর উপর জীবানু সংক্রমন ঘটলে পুজ তৈরি হয়। বাইরে থেকে এদের ছোট দেখালেও এরা বেশ গভির হতে পারে।
এ জন্য ব্রনের সংক্রমন সেরে গেলেও মুখে কালো দাগ থেকে যেতে পারে।

★এবার জানবো ব্রণ হলে কি করা যাবে আর কি করা যাবে না?
১) ব্রণে হাত লাগানো যাবে না।
২) রাতে ঠিকমতো ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
৩) মানসিক চাপ পরিহার করুন।
৪) প্রচুর পরিমানে ফল,সবজি ও পানি পান করুন।
৫) রাতে ঘুমানোর আগে ভালো করে মুখ পরিস্কার করে ঘুমাবেন।
৬) হজমের গোলমাল হলে তার চিকিৎসা করুন।

★এবার আমরা জানবো কত বছর বয়স থেকে ব্রণ হয়?
ছেলেদের ক্ষত্রে ১৬-১৮ বছর বয়সের মাঝে এবং মেয়েদের ১৪-১৬ বছর বয়সে ব্রণ হওয়ার প্রবনতা দেখা যায়। তবে ৮০ শতাংশের ক্ষত্রে ২০ বছরের পর থেকে ব্রণ হওয়ার হার কমে যায়। তবে অনেকের ৩০-৪০ বছর বয়স পর্যন্ত ব্রণ হওয়ার প্রবনতা থেকে যায়।

★প্রয়োজনে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিতে পারেন।
লক্ষনের উপর নির্ভর করে ভিবিন্ন হোমিওপ্যাথিক ঔষধ খেতে পারেন। তবে সংক্ষিপ্ত ভাবে আমরা কিছু ঔষধের বর্ণনা দিচ্ছি।
১) বোভিষ্টা২০০(Bovista) দৈনিক ৪ ডোজ খেতে পারেন। ত্রিশ-চল্লিশ দিন সেবনে আরোগ্য হওয়া যায়। 
২)অরাম মেট ২০০, দৈনিক তিন ডোজ, বোভিষ্টার পর ভালো কাজ দেয়।
৩) বোভিষ্টা ২০০ ও হিপার সালফ ২০০ এর সংমিশ্রণ প্রত্যহ চার ডোজ সেবন করিলে প্রথম কিছু বাহির হইয়া পরে সারিয়া যায়। 
৪) হিপার সালফ ও নাইট্রিক এসিড ২০০ এর সংমিশ্রণ প্রত্যহ দুই ডোজ এবং ষ্ট্যাফাইসেগরিয়া ২০০ রাত্রে এক ডোজ সেবন করিয়া মুক্তি পেতে পারেন।
৫) কালী ব্রোম ২০০ প্রতিদিন দুই ডোজ সেবন করিয়া সুফল লাভ করা যায়।
৬) সোরিনাম ২০০, ক্যালকেরিয়া ফস ২০০,প্রতিদিন দুই ডোজ সেবনে অনেক ভালো ফল পাওয়া যায়। 
৭) আর্সেনিক ২০০ ও নেট্রাম মিউর ৩০ সংমিশ্রণ সেবনে খুব ভাল ফল পাওয়া গেছে।
৮) নাট্রিক এসিড ২০০ এবং থুজা টিংচার এর সংমিশ্রন আধ ড্রাম ২ আউন্স গ্লিসারিন মিশিয়ে ব্রণে লাগাইলে খুব ভালো কাজ পাওয়া যায়। ঠোট ফাটাতেও ইহা বিশেষ কর্যকরী।

সর্বাধিক জরুরি হোমিওপ্যাথিক ঔষধের নাম সাথে প্রধান প্রধান লক্ষণসহ


১)**একোনাইট নেপিলাস-Aconitum  napellus :- যে-কোন  রোগই  হউক  না  কেন (জ্বর-কাশি-ডায়েরিয়া-আমাশয়-নিউমোনিয়া-পেটব্যথা-হাঁপানি-মাথাব্যথা-বুকেব্যথা-শ্বাসকষ্ট-বার্ড  ফ্লু-বুক  ধড়ফড়ানি  প্রভৃতি),  যদি  হঠাৎ  শুরু  হয়  এবং  শুরু  থেকেই  মারাত্মকরূপে  দেখা  দেয়  অথবা  দুয়েক  ঘণ্টার  মধ্যে  সেটি  মারাত্মক  আকার  ধারণ  করে,  তবে  একোনাইট  ঔষধটি  হলো  তার  এক  নাম্বার  ঔষধ।  একোনাইটকে  তুলনা  করা  যায়  ঝড়-তুফান-টর্নেডোর  সাথে…..প্রচণ্ড  কিন্তু  ক্ষণস্থায়ী।  একোনাইটের  রোগী  রোগের  যন্ত্রণায়  একেবারে  অস্থির  হয়ে  পড়ে।  রোগের  উৎপাত  এত  বেশী  হয়  যে,  তাতে  রোগী  মৃত্যুর  ভয়ে  ভীত  হয়ে  পড়ে। রোগী  ভাবে  সে  এখনই  মরে  যাবে।

২)**ব্রাইয়োনিয়া এলবম- Bryonia  alba :  ব্রায়োনিয়ার  প্রধান  প্রধান  লক্ষণ  হলো  রোগীর  ঠোট-জিহ্বা-গলা  শুকিয়ে  কাঠ  হয়ে  থাকে,প্রচুর  পানি  পিপাসা  থাকে,  রোগী  অনেকক্ষণ  পরপর  একসাথে  প্রচুর  ঠান্ডা  পানি  পান  করে,  নড়াচড়া  করলে  রোগীর  কষ্ট  বৃদ্ধি  পায়,  রোগীর  মেজাজ  খুবই  বিগড়ে  থাকে,  কোষ্টকাঠিন্য  দেখা  দেয়  অর্থাৎ  পায়খানা  শক্ত  হয়ে  যায়,  প্রলাপ  বকার  সময়  তারা  সারাদিনের  পেশাগত  কাজের  কথা  বলতে  থাকে  অথবা  বিছানা  থেকে  নেমে  বাড়ি  যাওয়ার  কথা  বলে,  শিশুদের  কোলে  নিলে  তারা  বিরক্ত  হয়,  মুখে  সবকিছু  তিতা  লাগে।  যে-কোন  রোগই  হউক  না  কেন,  যদি  উপরের  লক্ষণগুলোর  অন্তত  দু-তিনটি  লক্ষণও  রোগীর  মধ্যে  পাওয়া  যায়,  তবে  ব্রায়োনিয়া  সেই  রোগ  সারিয়ে  দিবে।  ব্রায়োনিয়া  ঔষধটি  নিউমোনিয়ার  জন্য  আল্লাহ্‌র  একটি  বিরাট  রহমত  স্বরূপ।  সাধারণত  নিম্নশক্তিতে  খাওয়ালে  ঘনঘন  খাওয়াতে  হয়  কয়েকদিন  কিন্তু  (১০,০০০  বা  ৫০,০০০  ইত্যাদি)  উচ্চশক্তিতে  খাওয়ালে  দুয়েক  ডোজই  যথেষ্ট।

 ৩)**রাস টক্স- Rhus  toxicodendron :  রাস  টক্সের  প্রধান  প্রধান  লক্ষণ  হলো  প্রচণ্ড  অস্থিরতা,  রোগী  এতই  অস্থিরতায়  ভোগে  যে  এক  পজিশনে  বেশীক্ষণ  স্থির  থাকতে  পারে  না,  রোগীর  শীতভাব  এমন  বেশী  যে  তার  মনে  হয়  কেউ  যেন  বালতি  দিয়ে  তার  গায়ে  ঠান্ডা  পানি  ঢালতেছে,  নড়াচড়া  করলে  (অথবা  শরীর  টিপে  দিলে)  তার  ভালো  লাগে  অর্থাৎ  রোগের  কষ্ট  কমে  যায়,  স্বপ্ন  দেখে  যেন  খুব  পরিশ্রমের  কাজ  করতেছে।  বর্ষাকাল,  ভ্যাপসা  আবহাওয়া  বা  ভিজা  বাতাসের  সময়কার  যে-কোন  জ্বরে (বা  অন্যান্য  রোগে)  রাস  টক্স  এক  নাম্বার  ঔষধ।  রাস  টক্স  খাওয়ার  সময়  ঠান্ডা  পানিতে  গোসল  বা  ঠান্ডা  পানিতে  গামছা  ভিজিয়ে  শরীর  মোছা  যাবে  না।  বরং  এজন্য  কুসুম  কুসুম  গরম  পানি  ব্যবহার  করতে  হবে।  কেননা  ঠান্ডা  পানিতে  গোসল  করলে  রাস  টক্সের  একশান  নষ্ট  হয়ে  যায়।  (*  ব্রায়োনিয়া  এবং  রাস  টক্সের  প্রধান  দুটি  লক্ষণ  মনে  রাখলেই  চলবে ;  আর  তা  হলো –  নড়াচড়া  করলে  ব্রায়োনিয়ার  রোগ  বেড়ে  যায়  এবং  রাস  টক্সের  রোগ  হ্রাস  পায় / কমে  যায়।)

৪)**লাইকোপোডিয়াম-  Lycopodium  clavatum :  লাইকোপোডিয়ামের  প্রধান  প্রধান  লক্ষণ  হলো  রোগের  মাত্রা  বিকাল  ৪-৮টার  সময়  বৃদ্ধি  পায়,  এদের  রোগ  ডান  পাশে  বেশী  হয়,  রোগ  ডান  পাশ  থেকে  বাম  পাশে  যায়,  এদের  পেটে  প্রচুর  গ্যাস  হয়,  এদের  সারা  বৎসর  প্রস্রাবের  বা  হজমের  সমস্যা  লেগেই  থাকে,  এদের  দেখতে  তাদের  বয়সের  চাইতেও  বেশী  বয়ষ্ক  মনে  হয়,  এদের  স্বাস্থ্য  খারাপ  কিন্তু  ব্রেন  খুব  ভালো,এরা  খুবই  সেনসিটিভ  এমনকি  ধন্যবাদ  দিলেও  কেঁদে  ফেলে  ইত্যাদি  ইত্যাদি।  উপরের  লক্ষণগুলোর  দু’তিনটিও  কোন  রোগীর  মধ্যে  থাকলে  লাইকোপোডিয়াম  তার  যে-কোন  রোগ (জ্বর-কাশি-ডায়েরিয়া-আমাশয়-নিউমোনিয়া-পেটব্যথা-হাঁপানি-মাথাব্যথা-বুকেব্যথা-শ্বাসকষ্ট-বার্ড ফ্লু-বুক  ধড়ফড়ানি-চুলপড়া-ধ্বজভঙ্গ  প্রভৃতি)  সারিয়ে  দেবে।

৫)**বেলেডোনা-  Belladonna :  তিনটি  লক্ষণের  উপর  ভিত্তি  করে  বেলেডোনা  ঔষধটি  প্রয়োগ  করা  হয়ে  থাকে,  যথা-উত্তাপ,  লাল  রঙ  এবং  জ্বালা-পোড়া  ভাব।  যদি  শরীরে  বা  আক্রান্ত  স্থানে  উত্তাপ  বেশী  থাকে,  যদি  আক্রান্ত  স্থান  লাল  হয়ে  যায় (যেমন- মাথা  ব্যথার  সময়  মুখ  লাল  হওয়া,  পায়খানার  সাথে  টকটকে  লাল  রক্ত  যাওয়া),  শরীরে  জ্বালা-পোড়াভাব  থাকে,  রোগী  ভয়ঙ্কর  সব  জিনিস  দেখে,  ভয়ে  পালাতে  চেষ্টা  করে,  অনেক  সময়  মারমুখী  হয়ে  উঠে  ইত্যাদি  ইত্যাদি।  জ্বরের  সাথে  যদি  রোগী  প্রলাপ  বকতে  থাকে,  তবে  বেলেডোনা  তাকে  উদ্ধার  করবে  নিশ্চিত।  উপরের  লক্ষণগুলো  কোন  রোগীর  মধ্যে  পাওয়া  গেলে  যে-কোন  রোগে (জ্বর-কাশি-ডায়েরিয়া-আমাশয়-রক্তআমাশয়-পেটব্যথা-মাথাব্যথা-বুকেব্যথা-শ্বাসকষ্ট-বার্ড  ফ্লু-বুক  ধড়ফড়ানি  প্রভৃতি)  বেলেডোনা  প্রয়োগ  করতে  পারেন।

৬)**আর্সেনিক এলবম-  Arsenicum  album :  আর্সেনিকের  প্রধান  প্রধান  লক্ষণ  হলো  রোগীর  মধ্যে  প্রচণ্ড  অস্থিরতা (অর্থাৎ  রোগী  এক  জায়গায়  বা  এক  পজিশনে  বেশীক্ষণ  থাকতে  পারে  না।  এমনকি  গভীর  ঘুমের  মধ্যেও  সে  নড়াচড়া  করতে  থাকে।),  শরীরের  বিভিন্ন  স্থানে  ভীষণ  জ্বালা-পোড়া  ভাব,  অল্প  সময়ের  মধ্যেই  রোগী  দুর্বল-কাহিল-নিস্তেজ  হয়ে  পড়ে,  রোগীর  বাইরে  থাকে  ঠান্ডা  কিন্তু  ভেতরে  থাকে  জ্বালা-পোড়া,  অতি  মাত্রায়  মৃত্যু  ভয়,  রোগী  মনে  করে  ঔষধ  খেয়ে  কোন  লাভ  নেই- তার  মৃত্যু  নিশ্চিত,  গরম  পানি  খাওয়ার  জন্য  পাগল  কিন্তু  খাওয়ার  সময়  খাবে  দুয়েক  চুমুক।  বাসি-পচাঁ-বিষাক্ত  খাবার  খেয়ে  যত  মারাত্মক  রোগই  হউক  না  কেন,  আর্সেনিক  খেতে  দেরি  করবেন  না।  ফল-ফ্রুট  খেয়ে (ডায়েরিয়া,  আমাশয়,  পেট ব্যথা  ইত্যাদি)  যে-কোন  রোগ  হলে  আর্সেনিক  হলো  তার  এক  নম্বর  ঔষধ।

৬)**আর্নিকা মন্টেনা-  Arnica  montana :  যে-কোন  ধরনের  আঘাত, থেতলানো, মচকানো, মোচড়ানো,  ঘুষি,  লাঠির  আঘাত  বা  উপর  থেকে  পড়ার  কারণে  ব্যথা  পেলে  আর্নিকা  খেতে  হবে।  শরীরের  কোন  একটি  অঙ্গের  বেশী  ব্যবহারের  ফলে  যদি  তাতে  ব্যথা  শুরু  হয়,  তবে  আর্নিকা  খেতে  ভুলবেন  না।  আক্রান্ত  স্থানে  এমন  তীব্র  ব্যথা  থাকে  যে,  কাউকে  তার  দিকে  আসতে  দেখলেই  সে  ভয়  পেয়ে  যায় (কারণ  ধাক্কা  লাগলে  ব্যথার  চোটে  তার  প্রাণ  বেরিয়ে  যাবে)।  রোগী  ভীষণ  অসুস্থ  হয়েও  মনে  করে  তার  কোন  অসুখ  নেই,  সে  ভালো  আছে।  উপরের  লক্ষণগুলোর  কোনটি  থাকলে  যে-কোন  রোগে  আর্নিকা  প্রয়োগ  করতে  পারেন।

 ৭)**মার্ক সল- Mercurius  solubilis:  মার্ক  সল  ঔষধটির  প্রধান  প্রধান  লক্ষণ  হলো  প্রচুর  ঘাম  হয়  কিন্তু  রোগী  আরাম  পায়  না,  ঘামে  দুর্গন্ধ  বা  মিষ্টি  গন্ধ  থাকে,  কথার  বিরোধীতা  সহ্য  করতে  পারে  না,  ঘুমের  মধ্যে  মুখ  থেকে  লালা  ঝরে,  পায়খানা  করার  সময়  কোথানি,  পায়খানা  করেও  মনে  হয়  আরো  রয়ে  গেছে,  অধিকাংশ  রোগ  রাতের  বেলা  বেড়ে  যায়।  রোগী  ঠান্ডা  পানির  জন্য  পাগল।  ঘামের  কারণে  যাদের  কাপড়ে  হলুদ  দাগ  পড়ে  যায়,  তাদের  যে-কোন  রোগে  মার্ক  সল  উপকারী।  এটি  আমাশয়ের  এক  নম্বর  ঔষধ।  উপরের  লক্ষণগুলো  থাকলে  যে-কোন  রোগে  মার্ক  সল  প্রয়োগ  করতে  পারেন।

 ৮)**জেলসেমিয়াম- Gelsemium  sempervirens :  জেলসিমিয়ামের  প্রধান  প্রধান  লক্ষণ  হলো  রোগীর  মধ্যে  ঘুমঘুম  ভাব  থাকে  বেশী,  রোগী  অচেতন-অজ্ঞান-বে‍ঁহুশের  মতো  পড়ে  থাকে,  দেখা  যাবে  গায়ে  প্রচণ্ড  জ্বর  অথচ  রোগী  নাক  ডেকে  ঘুমাচ্ছে,  মাথা  ঘুড়ানি  থাকে,  শরীর  ভারভার  লাগে,  মাত্রাতিরিক্ত  দুর্বলতার  কারণে  রোগী  নড়াচড়া  করতে  পারে  না  এবং  একটু  নড়াচড়া  করতে  গেলে  শরীর  কাঁপতে  থাকে,  ওপর  থেকে  পড়ে  যাওয়ার  ভয়  এবং  হৃৎপিন্ড  বন্ধ  হয়ে  যাওয়ার  ভয়,  সাহসহীনতা,  শরীরের  জোর  বা  মনের  জোর  কম  হওয়া,  ইত্যাদি  লক্ষণ  আছে।  পরীক্ষার  বা  ইন্টারভিউর  পূর্বে  বেশী  উৎকন্ঠিত  হলে  Argentum  nitricum  অথবা  Gelsemium (শক্তি  ৩০)  এক  মাত্রা  খেয়ে  নিতে  পারেন।

৯)**হিপার সালফ-  Hepar  sulph‍:  হিপার  সালফের  প্রধান  প্রধান  লক্ষণ  হলো  এরা  সাংঘাতিক  সেনসেটিভ (over-sensitiveness),  এতই  সেনসেটিভ  যে  রোগাক্রান্ত  স্থানে  সামান্য  স্পর্শও  সহ্য  করতে  পারে  না,  এমনকি  কাপড়ের  স্পর্শও  না।  কেবল  মানুষের  বা  কাপড়ের  স্পর্শ  নয়,  এমনকি  ঠান্ডা  বাতাসের  স্পর্শও  সহ্য  করতে  পারে  না।  সাথে  সাথে  শব্দ (গোলমাল)  এবং  গন্ধও  সহ্য  করতে  পারে  না।  হিপারের  শুধু  শরীরই  সেনসেটিভ  নয়,  সাথে  সাথে  মনও  সেনসেটিভ।  অর্থাৎ  মেজাজ  খুবই  খিটখিটে।  ইহা  সাধারণত  ফোড়া, ঘা,  ক্ষত  ইত্যাদি  অর্থাৎ  ইনফেকশান  দূর  করার  জন্য  এন্টিবায়োটিক  হিসাবে  বেশী  ব্যবহৃত  হয়ে  থাকে ।  তবে  লক্ষণ  থাকলে  যে-কোন  রোগে  হিপার  প্রয়োগ  করতে  পারেন ।

 ১০)**ফসফরাস- Phosphorus :  ফসফরাসের  প্রধান  প্রধান  লক্ষণ  হলো  এই  রোগীরা  খুব  দ্রুত  লম্বা  হয়ে  যায় (এবং  এই  কারণে  হাঁটার  সময়  সামনের  দিকে  বেঁকে  যায়),  অধিকাংশ  সময়  রক্তশূণ্যতায়  ভোগে,  রক্তক্ষরণ  হয়  বেশী,  অল্প  একটু  কেটে  গেলেই  তা  থেকে  অনেকক্ষণ  রক্ত  ঝরতে  থাকে,রোগী  বরফের  মতো  কড়া  ঠান্ডা  পানি  খেতে  চায়,মেরুদন্ড  থেকে  মনে  হয়  তাপ  বেরুচ্ছে,  একা  থাকতে  ভয়  পায়,  হাতের  তালুতে  জ্বালাপোড়া  ইত্যাদি  ইত্যাদি  লক্ষণ  থাকলে  যে-কোন  রোগে  ফসফরাস  প্রয়োগ  করতে  হবে। 

১১)**নাক্স ভুমিকা-  Nux  vomica :  যারা  অধিকাংশ  সময়ে  পেটের  অসুখে-বদহজমে  ভোগে,  বদমেজাজী,  ঝগড়াটে,  বেশীর  ভাগ  সময়  শুয়ে-বসে  কাটায়,  কথার  বিরোধীতা  সহ্য  করতে  পারে  না  এবং  অল্প  শীতেই  কাতর  হয়ে  পড়ে,  এটি  তাদের (জ্বর-কাশি-ডায়েরিয়া-আমাশয়-রক্তআমাশয়-পেটব্যথা-মাথাব্যথা-বুকেব্যথা-শ্বাসকষ্ট প্রভৃতি)  ক্ষেত্রে  ভালো  কাজ  করে।  অধিকাংশ  রোগ  রাতের  বেলা  বেড়ে  যায়।  পান-সিগারেট-মদ-গাজা-ফেনসিডিল-হিরোইন  দীর্ঘদিন  সেবনে  শরীরের  যে  ক্ষতি  হয়,  নাক্স  ভমিকা  তাকে  পুষিয়ে  দিতে  পারে।  পাশাপাশি  এটি  মদ-ফেনসিডিলের  নেশা  ছাড়তে  ব্যবহার  করতে  পারেন।  লক্ষণ  মিলে  গেলে  এটি  জ্বর,  আমাশয়,  পেটব্যথা,  নিদ্রাহীনতা,  কোষ্টকাঠিন্য,  গ্যাস্ট্রিক  আলসার,  হিস্টেরিয়া,  খিচুনি,  ধনুস্টংকার,  পাইলস,  দুর্বলতা,  ক্ষুধাহীনতা,  প্যারালাইসিস,  ধ্বজভঙ্গ  বা  যৌন  দুর্বলতা  প্রভৃতি  রোগের  একটি  শ্রেষ্ট  ঔষধ  গণ্য  হতে  পারে। 

১২)**পালসেটিলা-  Pulsatilla  pratensis :  পালসেটিলার  প্রধান  প্রধান  লক্ষণ  হলো  গলা  শুকিয়ে  থাকে  কিন্তুকোন  পানি  পিপাসা  থাকে  না,ঠান্ডা  বাতাস-ঠান্ডা  খাবার-ঠান্ডা  পানি  পছন্দ  করে,  গরম-আলো-বাতাসহীন  বদ্ধ  ঘরে  রোগীনী  বিরক্ত  বোধ  করে  ইত্যাদি  ইত্যাদি।  আবেগপ্রবন,  অল্পতেই  কেঁদে  ফেলে  এবং  যত  দিন  যায়  ততই  মোটা  হতে  থাকে,  এমন  মেয়েদের  ক্ষেত্রে  পালসেটিলা  ভালো  কাজ  করে।এসব  লক্ষণ  কারো  মধ্যে  থাকলে  যে-কোন  রোগে  পালসেটিলা  খাওয়াতে  হবে।  বাতের  ব্যথা  ঘনঘন  স্থান  পরিবর্তন  করলে  পালসেটিলা  খেতে  হবে  (যেমন- সকালে  এক  জায়গায়  ব্যথা  তো  বিকালে  অন্য  জায়গায়।)।  মাসিক  বন্ধ  থাকলে  পালসেটিলা  সেটি  চালু  করতে  পারে।  ঘি-চবি  জাতীয়  খাবার  খেয়ে  যে-কোন  রোগ  হলে  পালসেটিলা  অবশ্যই  খাবেন।এটি  নারী-পুরুষ  উভয়ের  যৌন  উত্তেজনা  বৃদ্ধি  করতে  পারে।  গর্ভবতী  মেয়েদের  প্রায়  সকল  সমস্যাই  পালসেটিলা  দূর  করে  দিতে  পারে।  প্রসব  ব্যথা  বাড়িয়ে  দিয়ে  পালসেটিলা  প্রসবকাজ  দ্রুতগতিতে  সম্পন্ন  করতে  পারে।পালসেটিলা  বুকের  দুধ  বৃদ্ধি  করতে  পারে।  এমনকি  গর্ভস্থশিশুর  পজিশন  ঠিক  না  থাকলে  তাও  ঠিক  করে  দেওয়ার  মতো  অলৌকিক  ক্ষমতা  পালসেটিলার  আছে।

১৩)**ক্যান্থারিস-  Cantharis :  জ্বালা-পোড়া  এবং  ছিড়ে  ফেলার  মতো  ব্যথা  হলো  ক্যান্থারিসের  প্রধান  লক্ষণ।  প্রস্রাবে  জ্বালাপোড়া  এবং  ঘনঘন  প্রস্রাবের  সমস্যায়  ইহা  একটি  যাদুকরী  ঔষধ।  ভীষণ  জ্বালাপোড়া  থাকলে  যে-কোন  রোগে  ক্যান্থারিস  ব্যবহার  করতে  পারেন।  এটি  জলাতঙ্ক  রোগের  একটি  শ্রেষ্ট  ঔষধ।  এটি  যৌন  উত্তেজনা  বৃদ্ধি  করে  থাকে  ভীষণভাবে।  কোন  জায়গা  পুড়ে  গেলে  একই  সাথে  খাওয়ান  এবং  পানির  সাথে  মিশিয়ে  পোড়া  জায়গায়  লাগান।  এটি  পেটের  মরা  বাচ্চা,  গর্ভফুল  বের  করে  দিতে  পারে  এবং  বন্ধ্যাত্ব  নির্মূল  করতে  পারে।

 ১৪)**কোলোসিন্থ- Colocynthis :  পেটের  ব্যথা  যদি  শক্ত  কোন  কিছু  দিয়ে  পেটে  চাপ  দিলে  অথবা  সামনের  দিকে  বাঁকা  হলে  কমে  যায়,  তবে  কলোসিন্থআপনাকে  সেই  ব্যথা  থেকে  মুক্ত  করবে।কলোসিনে’র  ব্যথা  ছুরি  মারার  মতো  খুবই  মারাত্মক  ধরণের  অথবা  মনে  হবে  যেন  দুটি  পাথর  দিয়ে  পেটের  নাড়ি-ভূড়িগুলোকে  কেউ  পিষতেছে।  যে-কোন  রোগের  সাথে  যদি  এরকম  চিড়িক  মারা  পেট  ব্যথা  থাকে,  তবে  কলোসিন্থেসেই  রোগ  সেরে  যাবে (হউক  তা  ডায়েরিয়া-আমাশয়  অথবা  টিউমার)।  রেগে  যাওয়া,  অপমানিত  হওয়া,  ঝগড়া-ঝাটি,  ফল-ফ্রুট  খাওয়া,  ঠান্ডা  পানি  পান  করা  ইত্যাদি  কারণে  ডায়েরিয়া  হলে  তাতে  কলোসিন্থ  খেতে  হবে।

১৫)**থুজা অক্সিডেন্টাল-  Thuja  occidentalis : সোরিক ,সিফিলিটিক ও সুগভীর সাইকোটিক ।তিনটি দোষের সমন্বয়যুক্ত এই ঔষধটি দোষঘ্ন চিকিৎসা ক্ষেত্রে একটি সুদৃঢ স্তম্ভ বিশেষ । সাইকোসিস দোষের উপরই ইহার ক্রিয়া সর্বাধিক , কাজেই সাইকোসিস দোষজ ঔষধসমূহের মধ্যে থুজা শীর্ষমণিরুপে অভিহিত হইবার যোগ্য । সাইকোসিস দোষজাত যত প্রকার মনোবৃত্তি আছে ,তাহার সমস্ত ইহাতে বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যায় । মানব মনের বুদ্ধিবৃত্তির সুদৃঢ লৌহকপাটটিকে বিপর্যস্ত করিয়া নানা প্রকার কাল্পনিক ধারনা ও ভ্রান্ত অনুভূতি সৃষ্টি করাই ইহার মুখ্য উদ্দেশ্য এবং ইহাই থুজার বৈশিষ্ট্যজনক মানসিক লক্ষণ । সংক্ষিপ্ত চিত্র । সাইকোটিক শ্রেণীভূক্ত ঔষধসমূহের মধ্যে অনুভবাত্বক লক্ষণে থুজাই শ্রেষ্টত্বই সর্বাধিক । বহু প্রকার অবান্তর ও অসত্য অনুভূতিই ইহাতে বর্তমান । থুজার সমস্যাদৃশ্যযুক্ত লক্ষণসমুহ চাপা দেওয়ার ফলে সাইকোসিস দোষযুক্ত বহু রোগীই পাগল হয়ে থাকে । নানা প্রকার জান্তব বিষ এবং পেয়াজ ,রসুন ইত্যাদির কুফলে থুজার দ্বারা প্রতিষেধিত হয় ,আবার ঐ বস্তগুলির দ্বারাই থুজার ক্রিয়াও নষ্ট হয় কাজেই ঐ সকল বস্তুসমুহ থুজার সহিত প্রতিষেধক ও শক্রতাভাবাপন্ন এই দুই প্রকার সমন্ধেই আবদ্ধ, একথা মনে রাখিতে হয় ।  যে-কোন  টিকা (বিসিজি,  ডিপিটি,  পোলিও,  এটিএস  ইত্যাদি)  নেওয়ার  কারণে  জ্বর  আসলে  অথবা  অন্য  যে-কোন (মামুলি  অথবা  মারাত্মক  ধরণের)  রোগ  হলে  সেক্ষেত্রে  থুজা  একটি  অতুলনীয়  ঔষধ।যে-কোন  টিকা  নেওয়ার  সময়  পাশাপাশি  রোজ  তিনবেলা  করে  থুজা  খান,  তাহলে  সেই  টিকার  ক্ষতিকর  পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া  থেকে  বাঁচতে  পারবেন।  জ্বরের  মধ্যে  কেউ  যদি  ‘উপর  থেকে  পড়ে  যাওয়ার’  স্বপ্ন  দেখে,  তবে  সেটি  যেই  নামের  জ্বরই  হোক  না  কেন,  থুজা  তাকে  নিরাময়  করে  দিবে।  আঁচিল  বা  মেঞ্জের  এক  নম্বর  ঔষধ  হলো  থুজা।  গনোরিয়া  রোগে  এবং  মাসিকের  সময়  ব্যথা  হলে  থুজা  সবচেয়ে  ভালো  ঔষধ।  প্রস্রাবের  অধিকাংশ  সমস্যা  থুজায়  নিরাময়  হয়ে  যায়।  নরম  টিউমার  ইহাতে  আরোগ্য  হয়।  যে-সব  রোগ  বর্ষাকালে  বা  ভ্যাপসা  আবহাওয়ার  সময়  বৃদ্ধি  পায়, সে-সব  রোগে  থুজা  খান।

১৬)**হাইপেরিকাম-  Hypericum  perforatum :  যে-সব  আঘাতে  কোন  স্মায়ু  ছিড়ে  যায়,  তাতে  খুবই  মারাত্মক  ব্যথা  শুরু  হয়  যা  নিবারণে  হাইপেরিকাম  খাওয়া  ছাড়া  গতি  নেই।  শরীরের  সপর্শকাতর  স্থানে  {যেমন- ব্রেন  বা  মাথা,  মেরুদন্ড,  (পাছার  নিকটে)  কণ্ডার  হাড়ে,  আঙুলের  মাথায়,  অণ্ডকোষে  ইত্যাদিতে}  আঘাত  পেলে  বা  কিছু  বিদ্ধ  হলে,  তাতে  হাইপেরিকাম  খেতে  দেরি  করবেন  না।আঘাত  পাওয়ার  স্থান  থেকে  প্রচণ্ড  ব্যথা  যদি  চারদিকে  ছড়াতে  থাকে  বা  খিঁচুনি  দেখা  দেয়  অথবা  শরীর  ধনুকের  ন্যায়  বাঁকা  হয়ে  যায় (ধনুষ্টঙ্কার),তবে  হাইপেরিকাম  ঘনঘন  খাওয়াতে  থাকুন।  (তবে  যে-সব  ক্ষেত্রে  পেশী  এবং  স্নায়ু  দুটোই  আঘাত  প্রাপ্ত  হয়েছে  বলে  মনে  হয়,  তাতে  আর্নিকা  এবং  হাইপেরিকাম  একত্রে  মিশিয়ে  খেতে  পারেন।)  হাইপেরিকাম  খেতে  পারলে  আর  এটিএস  ইনজেকশন  নেওয়ার  কোন  দরকার  হবে  না।

১৭)**কেমোমিলা-  Chamomilla  :  যদি  ব্যথার  তীব্রতায়  কোন  রোগী  দিগ্‌বিদিক  জ্ঞানশূণ্য  হয়ে  পড়ে, তার  ভদ্রতাজ্ঞানও  লোপ  পেয়ে  যায়,  সে  ডাক্তার  বা  নার্সকে  পযর্ন্ত  গালাগালি  দিতে  থাকে;  তবে  তাকে  ক্যামোমিলা  খাওয়াতে  হবে।ক্যামোমিলা  হলো  অভদ্র  রোগীদের  ঔষধ।  স্কুলের  শিক্ষকদের  হাতে  শিশুরা  মার  খাওয়ার  ফলে,  অপমানিত  হওয়ার  কারণে,  শারীরিক-মানসিক  নিরযাতনের  ফলে  কোন  রোগ  হলে  ক্যামোমিলা  খাওয়াতে  ভুলবেন  না।যারা  ব্যথা  একদম  সহ্য  করতে  পারে  না,  ক্যামোমিলা  হলো  তাদের  ঔষধ।  যে-সব  মেয়েরা  প্রসব  ব্যথায়  পাগলের  মতো  হয়ে  যায়,  তাদেরকে  এটি  খাওয়াতে  হবে।  গরম  কিছু  খেলে  যদি  দাঁত  ব্যথা  বেড়ে  যায়,  তবে  ক্যামোমিলা  প্রযোজ্য।  ডায়েরিয়া  বা  আমাশয়ের  পায়খানা  থেকে  যদি  পঁচা  ডিমের  গন্ধ  আসে,  তবে  এটি  খাওয়াতে  হবে।  শিশুদের  দাঁত  ওঠার  সময়ে  পেটের  অসুখ  হলে  ক্যামোমিলা  খাওয়াবেন।  কোন  শিশু  যদি  সারাক্ষণ  কোলে  ওঠে  থাকতে  চায়,  তবে  তাকে  যে-কোন  রোগে  ক্যামোমিলা  খাওয়ালে  তা  সেরে  যাবে।

১৮)**প্লান্টেগো মেজোরা  Plantago  Major :  দাঁত,  কান  এবং  মুখের  ব্যথায়  প্লানটাগো  মেজর  এমন  চমৎকার  কাজ  করে  যে,  তাকে  এক  কথায়  যাদু  বলাই  যুক্তিসঙ্গত।একদিন  পত্রিকায়  দেখলাম,  একজন  প্রখ্যাত  সাংবাদিকের  দাঁতব্যথা  সারাতে  না  পেরে  ডেন্টিস্টরা  শেষ  পযর্ন্ত  একে  একে  তাঁর  ভালো  ভালো  চারটি  দাঁতই  তুলে  ফেলেছেন।  আহা !  বেচারা  ডেন্টিস্টরা  যদি  প্লানটাগো’র  গুণের  কথা  জানত,  তবে  প্রবীণ  এই  সাংবাদিকের  দাঁতগুলো  শহীদ  হতো  না।

১৯)**লিডাম পাল-  Ledum  palustre :  সূচ,  আলপিন,  তারকাটা,  পেরেক,  টেটা  প্রভৃতি  বিদ্ধ  হলে  ব্যথা  কমাতে  এবং  ধনুষ্টঙ্কার / খিচুনি  ঠেকাতে  লিডাম  ঘনঘন  খাওয়ান।পক্ষান্তরে  ধনুষ্টঙ্কার  দেখা  দিলে  বা  আক্রান্ত  স্থান  থেকে  তীব্র  ব্যথা  শরীরের  বিভিন্ন  দিকে  যেতে  থাকলে  এবং  শরীর  ধনুকের  মতো  বাঁকা  হয়ে  গেলে  হাইপেরিকাম (Hypericum  perforatum)  ঘনঘন  খাওয়াতে  থাকুন।   চোখে  ঘুষি  বা  এই  জাতীয়  কোনো  আঘাত  লাগলে  লিডাম  এক  ঘণ্টা  পরপর  খেতে  থাকুন।  ইদুর  এবং  পোকার  কামড়ে  লিডাম  খেতে  হবে।এটি  উকুনের  একটি  শ্রেষ্ট  ঔষধ,  তেল  বা  পানির  সাথে  মিশিয়ে  ব্যবহার  করতে  পারেন।  বাতের  ব্যথায়  উপকারী  বিশেষত  যাদের  পা  দুটি  সব  সময়  ঠান্ডা  থাকে।  আঘাতের  স্থানে  কালশিরা  পড়া  ঠেকাতে  অথবা  কালশিরা  পড়লে  তা  দূর  করতে  লিডাম  খেতে  পারেন।

২০)**ক্যাম্ফোরা-  Camphora :  ক্যাম্ফরা  হলো  শেষ  মুহূর্তের  ঔষধ।  কোন  রোগের  কারণে  অথবা  কোন  দুর্ঘটনার  ফলে  যদি  কেউ  মৃত্যুর  কাছাকাছি  পৌঁছে  যায়,  তবে  তাকে  মৃত্যুর  হাত  থেকে  রক্ষা  করতে  ঘনঘন  ক্যাম্ফরা  খাওয়াতে  থাকুন।  যখনই  কেউ  অজ্ঞান  হয়ে  যায়,  হাত-পা  বরফের  মতো  ঠান্ডা  হয়ে  যায়  কিন্তুতারপরও  সে  কাপড়-চোপড়  গায়ে  দিতে  চায়  না,  রক্তচাপ  কমে  যায়,  কপালে  ঠান্ডা  ঘাম  দেখা  দেয়,  নিঃশ্বাস  গভীর  হয়ে  পড়ে,  তখন  বুঝতে  হবে  তার  মৃত্যু  খুবই  নিকটে।  সেক্ষেত্রে  মৃত্যুর  হাত  থেকে  বাঁচাতে  ঘনঘন  ক্যামফরা  খাওয়াতে  থাকুন।  অন্যকোন  হোমিও  ঔষধে  রিয়েকশন  করলে  ক্যামফরা  খেতে  থাকুন ;  কেননা  এটি  শতকরা  নব্বই  ভাগ  হোমিও  ঔষধের  একশান  নষ্ট  করে  দিতে  পারে।হঠাৎ  কোনো  কারণে  হৃৎপিন্ডের  ক্রিয়া  বন্ধ  হওয়ার  উপক্রম  হলে  বা  অত্যধিক  বুক  ধড়ফড়ানি  শুরু  হলে  ক্যাম্ফরা  পাঁচ  মিনিট  পরপর  খাওয়াতে  থাকুন।  এটি  পুরুষদের  যৌনশক্তি  বৃদ্ধি  করতে  পারে।

২১)**টিক্রিয়াম এম- Teucrium  Marum  verum :  টিউক্রিয়াম  হলো  সবচেয়ে  নিরাপদ  এবং  কাযর্কর  ক্রিমির  ঔষধ।  ছেলে-বুড়ো  সকলেই  এটি  খেতে  পারেন।  রোজ  দুই/তিন  বার  করে  দুই/তিন  দিন  খাওয়া  উচিত।  নাক  বন্ধ  হয়ে  থাকলে,  নাকের  পলিপ (নরম  টিউমার)  এবং  জরায়ুর  পলিপ  ইত্যাদি  ক্ষেত্রে  টিউক্রিয়াম  প্রযোজ্য।

২২)**এলিয়াম সিপা - Allium  cepa :  পেয়াজের  রস  থেকে  তৈরী  করা  এলিয়াম  সেপা  নামক  ঔষধটি,  ক্লার্কের  মতে,  হোমিওপ্যাথিতে  সর্দির  সবচেয়ে  ভালো  ঔষধ।  সর্দির  সাথে  জ্বর,  মাথাব্যথা  অথবা  স্বরভঙ্গ  থাকলেও  এটি  খেতে  পারেন।

২৩)**ইউপ্যাটোরিয়াম-  Eupatorium  perfoliatum :  ইউপেটোরিয়াম  পারফো  নামক  ঔষধটি  প্রধানত  ডেঙ্গু  জ্বরে  ব্যবহৃত  হয়।  তবে  যে-কোন  জ্বরে  এটি  খেতে  পারেন  যদি  তাতে  ডেঙ্গু  জ্বরের  মতো  প্রচণ্ড  শরীর  ব্যথা  থাকে।  জ্বরের  মধ্যে  যদি  শরীরে  এমন  প্রচণ্ড  ব্যথা  থাকে  যেন  মনে  হয়  কেউ  শরীরের  সমস্ত  হাড়  পিটিয়ে  গুড়োঁ  করে  দিয়েছে।  পানি  বা  খাবার  যাই  পেটে  যায়  সাথে  সাথে  বমি  হয়ে  যায়।আইসক্রীম  বা  ঠান্ডা  পানি  খেতে  ইচ্ছে  হয়।  রোগী  খুবই  অস্থির  থাকে,  এক  মুহূর্ত  স্থির  হয়ে  বসতে  পারে  না।  ইনফ্লুয়েঞ্জা  বা  সিজনাল  ভাইরাস  জ্বরেও  যদি  প্রচণ্ড  শরীর  ব্যথা  থাকে  তবে  ইউপেটোরিয়াম  খেতে  হবে।

 ২৪)**ক্যালকেরিয়া ফস- Calcarea  Phosphorica :  ক্যালকেরিয়া  ফস  শিশু  এবং  বৃদ্ধদের  জন্য  পৃথিবীর  সেরা  একটি  ভিটামিন।  মায়ের  পেট  থেকে  শুরু  করে  মৃত্যু  পযর্ন্ত  এটি  খেয়ে  যাওয়া  উচিত।  সাত  দিন  বা  পনের  দিন  পরপর  একমাত্রা  করে  খাওয়া  উচিত।  গর্ভকালীন  সময়ে  খেলে  আপনার  সন্তানের  হাড়,  দাঁত,  নাক,  চোখ,  ব্রেন  ইত্যাদির  গঠন  খুব  ভালো  হবে  এবং  আপনার  সন্তান  ঠোক  কাটা,  তালু  কাটা,  হাড়  বাঁকা,  খোঁজা,  বামন,  বুদ্ধি  প্রতিবন্ধি  প্রভৃতি  দোষ  নিয়ে  জন্মনোর  হাত  থেকে  রক্ষা  পাবে।  এটি  শিশুদের  নিয়মিত  খাওয়ালে  তাদের  স্বাস্থ্য  ভালো  থাকবে  এবং  অসুখ-বিসুখ  কম  হবে।  যে-সব  শিশুদের  মাথার  খুলির  হাড়  ঠিক  মতো  জোড়া  লাগেনি,  তাদেরকে  অবশ্যই  ক্যালকেরিয়া  ফস  খাওয়াতে  হবে।  নাকের,  পায়খানার  রাস্তার  এবং  জরায়ুর  পলিপ  বা  নরম  টিউমার  এই  ঔষধে  দুর  হয়ে  যায়।  হাড়  ভেঙে  গেলে  ক্যালকেরিয়া  ফস  দ্রুত  জোড়া  লাগিয়ে  দেয়।  কোন  শিশু  বিরাট  বড়  মাথা  নিয়ে  জন্মালে (hydrocephalus)  অথবা  জন্মের  পরে  মাথা  বড়  হয়ে  গেলে,  ক্যালকেরিয়া  ফস  তার  এক  নম্বর  ঔষধ।  রোগের  কথা  চিন্তা  করলে  যদি  রোগের  উৎপাত  বেড়ে  যায়,  তবে  তাতে  এই  ঔষধ  প্রযোজ্য।  এটি  টনসিলের  সমস্যা  এবং  মুখের  ব্রণের  সেরা  ঔষধ।যাদের  ঘনঘন  সর্দি  লাগে,  তারা  অবশ্যই  এই  ঔষধ  খাবেন।  ডায়াবেটিসের  এটি  একটি  শ্রেষ্ট  ঔষধ।  শিশুদের  দাঁত  ওঠার  সময়  অবশ্যই  ক্যালকেরিয়া  ফস  খাওয়ানো  উচিত। এটি  নারী-পুরুষদের  যৌন  ক্ষমতা  বৃদ্ধি  করে  থাকে।

২৫)**কোকুলাস ইন্ডিকা-  Cocculus  Indicus :  ককুলাস  হলো  মাথা  ঘুরানির  এক  নম্বর  ঔষধ।ককুলাসের  প্রধান  লক্ষণ  হলো  মাথার  ভেতরটা  ফাঁপা  বা  হালকা  মনে  হয়।  সড়ক-রেল-সমুদ্র  ভ্রমণজনিত  সমস্যায়  (মাথাঘুরানি-বমিবমি  ভাব  ইত্যাদিতে)  এটি  খেতে  পারেন।  ঠিক  মতো  ঘুম  না  হলে  অথবা  রাত  জেগে  কাজ  করার  ফলে  পরদিন  যে-সব  সমস্যা  হয়,  তাতে  ককুলাস  সবচেয়ে  ভালো  কাজ  করে।  তেল  বা  পানির  সাথে  মিশিয়ে  চুলে  মেখে  কিছুক্ষণ  পর  চুল  ধুয়ে  ফেললে  অথবা  পাতলা  চিরুনি  দিয়ে  আচড়ালে  উকুঁন  সাফ  হয়ে  যাবে।

পুরুষের জন্য ডিম

পুরুষরা ডিমের সাদা অংশটি খেয়ে ডিমের কুসুম খান না। কিন্তু পুরুষদের জন্য বিশেষ উপকারী কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে ডিমের কুসুমে, যা অনেকেই জানেন না। চলুন জেনে নেয়া যাক উপকারিতাগুলো।
১। ডিমের কুসুমে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডস থাকে, যা ছেলেদের স্পার্ম কাউন্ট বাড়াতে সাহায্য করে।
২। কুসুমে অতিরিক্ত পরিমাণে কপার থাকে, যা ছেলেদের টাক পড়া রোধ করে।
৩। কুসুমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকায় ছেলের মাংসপেশি এবং অ্যাবস শক্তিশালী হয়।
৪। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকায় ডিমের কুসুম খেলে হাড় শক্ত হয়।
৫। ডিমের কুসুমে কোলিন থাকে, যা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৬। কুসুমে প্রচুর মাত্রায় আয়রন থাকায় তা অ্যানিমিয়া রোধে সাহায্য করে।
৭। ডিমের কুসুমে ভিটামিন-ই থাকে, যা ছেলেদের ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করে।
৮। কুসুমে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস থাকে, যা খেলে দাঁত এবং মাড়ি মজবুত হয়।
৯। ক্যানসার প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও ডিমের কুসুম উপকারী। কারণ এতে ভিটামিন কে থাকে।

হোমিওপ্যাথিক ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, সতর্কতা এবং নিষেধাজ্ঞাঃ-



★★★অনেকে ইনবক্স করেন ঔষধের বর্ননা দিলেন সতর্কতা দিলেন না।তাদের কথা মাথায় রেখেই বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে আজকের পোষ্টটি।আশা করি সবাই সংগ্রহ করে রাখবেন।

★★★কষ্টিকাম (Causticum) ঔষধটিকে কখনও ফসফরাসের (Phosphorus) আগে বা পরে ব্যবহার করবেন না ।

★★★বিশেষত Sulphur, Silicea, Psorinum, Phosphorus, Lachesis, Kali carb, Graphities, Carcinosinum, Zincum নামক ঔষধগুলি ভুলেও উচ্চশক্তিতে খাবেন না । কেননা এতে রোগ বেড়ে যেতে
পারে মারাত্মকভাবে এবং তাছাড়াও অন্য ধরণের বিরাট ক্ষতি হয়ে যেতে পারে । এজন্য প্রথমে নিম্নশক্তিতে (৩০, ২০০) ব্যবহার করে উপকৃত হলেই কেবল প্রয়োজনে উচ্চশক্তিতে প্রয়োগ করতে পারেন ।

★★★লাইকোপোডিয়াম (Lycopodium) নিম্নশক্তিতে দীর্ঘদিন ভুল প্রয়োগে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে । এমনকি মৃত্যু পযর্ন্ত হতে পারে ।

★★★হ্যানিম্যানের মতে, সালফারের ( Sulphur ) পূর্বে ক্যালকেরিয়া কার্ব ( Calcarea
Carbonica ) ব্যবহার করা উচিত নয় । ( এতে শরীর মারাত্মক দুর্বল হয়ে যেতে পারে )।

★★★ক্যাল্কেরিয়া কার্ব ( Calcarea Carbonica ) এবং ব্রায়োনিয়া ( Bryonia alba ) শত্রুভাবাপন্ন
( inimical ) ঔষধ । কাজেই এই দুটিকে কাছাকাছিসময়ে একটির আগে বা পরে অন্যটিকে ব্যবহার করা নিষেধ ।

★★★মার্ক সল ( Mercurius solbulis ) এবং সিলিশিয়া ( Silicea ) ঔষধ দুটির একটিকে অপরটি ( কাছাকাছি সময় ) আগেবা পরে ব্যবহার করাউচিত নয় ।

★★★ জ্বরের উচ্চ তাপের সময় নেট্রাম মিউর ( Natrum mur ) ঔষধটি প্রয়োগ করা নিষেধ।

★★★ক্যাল্কেরিয়া কার্ব ( Calcarea Carbonica )ঔষধটি সালফার বা নাইট্রিক এসিডের ( Nitricumacidum ) পূর্বে ব্যবহার করা নিষেধ ।

★★★ লিডাম ( Ledum ) খেয়ে সৃষ্ট দুর্বলতার চিকিৎসায় চায়না ব্যবহার করা ক্ষতিকর ।

★★★ কোন রোগীর যদি নিদ্রাহীনতা থাকে তবে তাকে রাতের বেলা সালফার ( Sulphur )দিতে পারেন । পক্ষান্তরে যেই রোগী ভালো ঘুমায়, তাকে সকাল বেলায় সালফার খাওয়ানো উচিত । কেননা রাতের বেলা সালফার দিলে তার ঘুমে অসুবিধা হতে পারে ।

★★★নাক্স ভমিকা ( Nux vomica ) রাতে এবং সালফার সকালে দিতে পারেন যদি তাদের সম্পূরক ( complementary ) ক্রিয়া প্রত্যাশা করেন ।

★★★ বাম ফুসফুসের ব্যথায় ফসফরাস ( Phosphorus ) ঔষধটি ঘন ঘন প্রয়োগ করা বিপদজ্জনক । কেননা এতে রোগীর তাড়াতাড়ি যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

★★★মেডোরিনাম ( Medorrhinum ) ঔষধটি হৃদরোগীদেরকে কখনও উচ্চশক্তিতে দিতে নাই । এতে করে তার হৃদরোগ বৃদ্ধি পেয়ে মৃত্যুর সম্ভাবনা আছে । প্রথমে ২০০ শক্তিতে প্রয়োগ করে তারপর সহ্য শক্তি অনুযায়ী উপরের শক্তি প্রয়োগ করা যেতে পারে ।

★★★ কলিনসোনিয়া ক্যান ( Collinsonia Canadensis ) ঔষধটি হৃদরোগীদের ক্ষেত্রে কখনও নিম্নশক্তিতে প্রয়োগ
করতে নাই ।

★★★ Apis, Lac defloratum, Gossipium,Pinus lamb, Viscum album ইত্যাদি ঔষধ গর্ভবতীদের দেওয়া নিষেধ ।কেননা এতে গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে ।

★★★সিলিশিয়া ( Silicea ) ঔষধটি কারো কোন অপারেশনের ছয়মাসের মধ্যে ব্যবহারনিষিদ্ধ । অন্যথায় সেখানে ঘা / পূঁজ হয়ে জোড়া ছুটে যেতে পারে ।

★★★কয়েকদিন যাবত অচেতন রোগীদেরকে জিংকাম মেট ( Zincummetallicum ) দিতে হয় । কিন্তু ভুলেও এক মাত্রার বেশী দিবেন না ।

"""" জর্জ ভিথুলকাসের মতে, কোন রোগীর মধ্যে যদি কোন একটি ঔষধের ১০০ ভাগ লক্ষণ পাওয়া যায়, তবে সেই রোগীকে সেই ঔষধটি নিম্নশক্তিতে খাওয়ানো তাকে হত্যা করার সমতুল্য""" কাজেই আপনার রোগীর লক্ষণের সাথে যদি আপনার নির্বাচিত ঔষধটির লক্ষণ যদি অনেক মিল থাকে, তবে ভূলেও ৩০ শক্তির নীচে প্রয়োগ করবেন না ।

"""সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পেতে হলে জানতে হবে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ/নির্দেশনা
ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা  উচিত নয়"""