Saturday, September 12, 2020

ঔষধের নাম ও তার শত্রুভাবাপন্ন ঔষধের তালিকা



ঔষধ নির্বানের সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হলো - উক্ত রোগীর পুর্বে কি ঔষধ ব্যবহার করা হয়েছে। এই বিষয়টি নিশ্চিত করা।একজন ডাক্তারকে নিচের তালিকা মাথায় রাখা জরুরী। এব্যাপারে অসতর্ক হলে মারাত্বক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
কেহ যদি মনে করে যে,হোমিওপ্যাথিক ঔষধে কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই তবে ভুল করবেন।রোগীর রোগীলিপি সংরক্ষণ প্রয়োজন।হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারগন রোগীর ইতিহাস দেখে নতুন ঔষধ নির্বাচন করুন।

প্রতিটি ঔষধের অনুপুরক, প্রতিষেধক, শত্রুভাবাপন্ন ঔষধের জ্ঞান না থাকলে সঠিক চিকিৎসা হবে না। এমনকি রোগ আরোগ্যে বাধা ও ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে জানুন। রোগ আরোগ্যে সঠিক পথ অনুসরণ করুন।

ঔষধের নামঃ-       শত্রু ভাবাপন্ন ঔষধ

১।এসিড এসেটিঃ-  বোরাক্স, কষ্টিকাম, নাক্স, র‍্যানান বাল্ব, সার্সাপ্যারিলা।

২।এসিড ল্যাকটিকঃ-  কফিয়া।

৩।এসিড নাইট্রিকঃ-  ল্যাকেসিস পরে ক্যাল্কেরিয়া কার্ব।

৪।এলিয়াম সেপাঃ-  এলিয়াম সেট, এলো সকোট্রিনা, স্কুইলাস হিপ।

৫।এলিয়াম সেটাইভাঃ-   এলো, এলিয়াম সেফা, স্কুইলাস।

৬।এলো সকোট্রিনাঃ-  এলিয়াম স্যাট।

৭।অ্যামোনিয়াম কার্বঃ-  ল্যাকেসিস।

৮।এপিসঃ-  রাসটক্স।

৯। অরাম ট্রিফাইলামঃ- ক্যালাডিয়াম।

১০।এষ্টিরিয়াস রিউবেন্স: কফিয়া।

১১।অরাম মিউর নেট্রঃ- কফিয়া, নাক্স।

১২।ব্যারাইটা কার্বঃ- ক্যাল্কেরিয়া কার্বের পরে।

১৩। বেলেডোনাঃ- এসিড-এসিটিক, ডালকামরা।

১৪।বোরাক্সঃ- এসিড-এসিটিক, ভাইবানাম।

১৫।বোভিষ্ঠাঃ- কফিয়া।

১৬।ক্যালা্ডিয়ামঃ- অরাম ট্রিফাইলাম।

১৭।ক্যাল্কেরিয়া কার্বঃ-এসিড নাইট্রিক, ব্যারাইটা-কার্ব এবং সালফারে পরে খাটে না।

১৮।ক্যালেণ্ডুলাঃ- ক্যাম্ফার।

১৯।ক্যাম্ফারঃ- পরে কেলি-নাইট্রিকাম।

২০।ক্যান্থারিসঃ- কফিয়া।
২১।কার্বো-অ্যানিমেলিসঃ- কার্বো-ভেজ।

২২।কার্বো-ভেজঃ- কার্বো-অ্যানিমেলিস, ক্রিয়োজোট খাটে না।

২৩। কলোফাইলামঃ- কফিয়া।

২৪।কষ্টিকামঃ এসিড- এসেটিক, কফিয়া, ফসফরাস, গুয়েকাম, নাক্স ভুমিকা।

২৫।ক্যামমিলাঃ জিঙ্কাম।

২৬।চায়নাঃ- ডিজিটেলিস এবং সেলিনিয়াম।

২৭।সিষ্টাসঃ- কফিয়া।

২৮।কোকিউলাসঃ- কফিয়া।

২৯।কফিয়াঃ-ক্যান্থারিস, কক্কাস, ইগ্নেসিয়া, কষ্টিকাম।

৩০।ডিজিটেলিসঃ-নাইট্রি-স্পিরিডল।

৩১।ডালকামারাঃ-এসিড-এসেটিক, বেল, ল্যাকেসিস।

৩২।ফেরামঃ- এসিড এসেটিক।

৩৩।ইগ্নেসিয়াঃ-কফিয়া, নাক্স, ট্যাবেকাম।

৩৪।কেলি-বাইক্রমঃ- ক্যাল্কেরিয়া পরে খাটে না।

৩৫।কেলি-নাইট্রিকামঃ- ক্যাম্ফার পরে খাটে না।

৩৬।ক্রিয়োজোটঃ- কার্বোভেজের পরে।

৩৭। ল্যাকেসিসঃ-এসিড এসেটিক, এসিড-কার্বোলিক, এসিড নাইট্রিক।

৩৮।ডলকামারাঃ- এমন-কার্ব, সোরিনাম।

৩৯।লাইকোঃ- সালফারের পরে সালফ চক্রের ভেতর ব্যতীত ক্যাল্কেরিয়া, লাইকো, কফিয়া।

৪০।মার্কসলঃ-এসিড-এসেটিক, সাইলি কর্মক্ষম করারআগে বা পরে বিসদৃশ মার্কারি অপক্কবস্তুর উপর কাজ করে।

৪১।মিলিফোলিয়ামঃ- কফিয়া।

৪২।নাক্স ভমিকাঃ- এসিড-এসেটিক, ইগ্নেসিয়া, জিঙ্কাম।

৪৩।ফসফরাসঃ- কষ্টিকাম।

৪৪।সোরিনামঃ- সিপিয়া।

৪৫।র‍্যানান বাল্বঃ-এসিড-এসেটিক, স্টাফি, সালফার, ভাইবারনাম।

৪৬।রাস-টক্সঃ- এপিস বিসদৃশ কিন্তু ফসফরাস ভাল খাটে (কেন্ট)।

৪৭।সার্সাপেরিলাঃ- এসিড এসেটিক।

৪৮।সেলিনিয়ামঃ- চায়না, ভ্যানাডিয়াম।

৪৯।সিপিয়াঃ- ব্রায়োনিয়া, ল্যাকেসিস।

৫০।সাইলিসিয়াঃ- মার্কসল।

৫১।স্কুইলাসঃ- এলিয়াম সেফা।

৫২।স্টাফিসেগ্রিয়াঃ- র‍্যানান-বাল্ব।

৫৩।ষ্ট্রামোনিয়ামঃ- কফিয়া।

৫৪।সালফারঃ- লাইকোর পরে সালফার খাটে কিন্তু সালফারের পরে লাইকো খাটে না
( কেন্ট),র‍্যানান-বাল্ব ।

৫৫। ভেস্পাঃ- আর্জেন্ট নাইট্রিকাম।

৫৬। জিঙ্কামঃ- ক্যামোমিলা, নাক্স, ভাইনাম।

শত্রুভাবাপন্ন হোমিওপ্যাথিক ঔষধ ব্যবহার করে রোগীর ক্ষতি করা একজন ডাক্তারের জন্য নীতি বিরুদ্ধ কাজ। কোন ক্রমেই এই রুপ ভুল করা উচিৎ নয়। একজন রোগীর জন্য উপকার করতে না পারার চেয়ে ভুল ঔষধ প্রয়োগ করা, কোন ক্রমেই মেনে নেয় যায় না।উপরে উল্লেখিত তালিকা মেনে সঠিক ঔষধ নির্বচনই কাম্য।